সংবিধান সংশোধন-নির্বাচনকালীন সরকারের প্রস্তাব দিলো ইসলামী আন্দোলন



বাংলাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে রূপান্তর করতে ১৯ দফা সংস্কার প্রস্তাব ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির জাতীয় সম্মেলনে এই ১৯ দফা প্রস্তাব করা হয়।


ক্ষমতার পালাবদলের সময় দেশে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয় উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব নয়। সেজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করছে।


আরেক প্রস্তাবে তিনি বলেন, জনমতের ভিত্তিতে শাসনতন্ত্রের সংস্কার, বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র তথা সংবিধানকে যথেচ্ছা সংশোধন করে জন-অধিকার খর্ব করার ঢাল বানানো হয়েছে। বর্তমান সংবিধান নিয়ে দেশের কোনো পক্ষই সন্তুষ্ট নয়। বিরোধীরা এটাকে সংস্কার করতে চাইছে।


তিনি আরও বলেন, সরকার পক্ষও বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরত যাওয়ার কথা বলে বর্তমান সংবিধানের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও চলমান গণঅসন্তোষ বিবেচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ ভূখণ্ডের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য বোধ, বিশ্বাস ও মনস্তত্ত্ব আমলে নিয়ে এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনের ভিত্তিতে সংবিধানের সামগ্রিক সংশোধনের প্রস্তাব করছে।


দলটির অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে প্রশাসনকে দক্ষতা ও সততার ভিত্তিতে ‘জনতার সেবক দর্শন’-এ খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শে গড়ে তোলা। সেপারেশন অব পাওয়ার নীতির প্রয়োগ করে শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও ন্যায়পাল বিভাগকে পরস্পর থেকে স্বাধীন ও স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে।


অর্থ খাত, অর্থনীতি, শিল্পায়ন, কৃষি ও জ্বালানি খাতে বিদ্যমান সব দুর্নীতি-অনিয়ম দূর করতে, খাতগুলোকে শক্তিশালী ও বহুমাত্রিক করতে এবং স্বনির্ভর এনার্জি সেক্টর নির্মাণে জাতীয় কাউন্সিল গঠন করা, উৎপাদক কৃষক ও ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় বাজার ব্যবস্থাপনা তথা পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণসহ পুরো ব্যবস্থাকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার অধীনে এনে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল করা, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গড়ে তোলা হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post
icon যে কোন প্রয়োজনে টেলিগ্রাম চ্যানেলে মেসেজ দিন