দু'আ কবুলের শর্ত এবং দু'আ কবুল হবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে নিনঃ
০১] দু'আ কবুল না হবার কারণ সমূহঃ
৫ টি কারণে আমাদের দু‘আ কবুল হয় না।
আসুন, জেনে নিই সেসব কারণগুলো।এর পাশাপাশি দু‘আ কবুলের আবশ্যকীয় শর্তগুলো সম্পর্কেও জেনে রাখা দরকার।
● যে পাঁচটি কারণে দু‘আ কবুল হয় না, সে কারণ পাঁচটি হলোঃ
এক] খাবার, পানীয় ও পোষাক হালাল না হওয়াঃ
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ পবিত্র; তিনি কেবল পবিত্র বস্তুই গ্রহণ করেন। তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন;
দীর্ঘ সফরের ফলে যার চুল উশকোখুশকো এবং চেহারা ধুলোবালিমাখা। সে হাত দুটো আকাশের দিকে উঠিয়ে বলছে, ‘হে আমার রব! হে আমার রব! কিন্তু তার খাবার হারাম, পানীয় হারাম, পোষাক হারাম আর তার দেহ পরিপুষ্টি হয়েছে হারাম দিয়ে; (এমতাবস্থায়) কীভাবে তার দু‘আয় সাড়া দেওয়া হবে?’’
-----[সহিহ মুসলিমঃ ১০১৫]
সফরে দু‘আ কবুল হয়, হাত উঠিয়ে দু‘আ করলে কবুল হয় এবং নিজেকে হীনজ্ঞান করে আল্লাহকে কায়মনোবাক্যে ডাকলেও দু‘আ কবুল হয়। এতগুলো শর্ত লোকটি পূরণ করার পরও তার দু‘আ কবুল হচ্ছে না, কেবল হারাম খাবার, পানীয় ও পোষাকের জন্য।
-----[ইবনু রজব হাম্বলী, জামি‘উল ‘উলূম ওয়াল হিকাম]
দুই] সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ হতে নিষেধ করা বন্ধ করে দেওয়াঃ
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ শপথ সেই সত্তার! যাঁর হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ দিবে ও অন্যায় কাজ হতে বাঁধা প্রদান করবে। নতুবা, অচিরেই এর ফলে আল্লাহ্ তোমাদের উপর শাস্তি পাঠাবেন। এরপর তোমরা তাঁর কাছে দু‘আ করবে, কিন্তু তোমাদের দু‘আয় সাড়া দেওয়া হবে না।’’
-----[তিরমিযিঃ ২১৬৯, হাদিসটি হাসান]
তিন] দ্রুত ফল না পাওয়ায় দু‘আ বন্ধ করে দেওয়াঃ
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘‘তোমাদের কেউ আল্লাহকে ডাকলে, তার ডাকে সাড়া দেওয়া হবে, যতক্ষণ না সে অধৈর্য হয়ে বলে ওঠে—‘আল্লাহকে তো ডাকলাম, কিন্তু কোনো সাড়া তো পাওয়া গেলো না!"
-----[সহিহ বুখারীঃ ৬৩৪০]
চার] গুনাহ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দু‘আ করা!
পাঁচ] মহান আল্লাহর প্রজ্ঞাঃ তিনি দু‘আ সাথে সাথে কবুল না করে প্রার্থিত বস্তুর চেয়েও অধিক দেওয়ার জন্য রেখে দেনঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
"যখনই কোনো মুসলিম পাপ ও আত্মীয়তা সম্পর্ক নষ্ট করা ছাড়া অন্য যে কোনো বিষয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, তখনই আল্লাহ তার প্রার্থনা পূরণ করে তাকে তিনটি বিষয়ের একটি দান করেন। হয় তার প্রার্থিত বস্তুই তাকে দিয়ে দেন অথবা তার দু'আকে (দু'আর নেকি) তার আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন কিংবা দু'আর পরিমাণ অনুসারে তার অন্য কোনো (অনাগত) বিপদ তিনি দূর করে দেন।’’
-----[তিরমিযিঃ ৫/৫৬৬, আহমাদঃ ৩/১৮, সহিহ সনদ]
০২] দু‘আ কবুলের আবশ্যকীয় শর্তগুলোঃ
দু'আ কবুল হবার জন্য কিছু শর্ত পালন করা কর্তব্য।
আসুন জেনে নেই দু'আ কবুল হবার শর্ত সমূহঃ
❖ শির্কমুক্ত দু‘আঃ
শর্তহীনভাবে শুধু আল্লাহর কাছেই বলা। মানুষকে দেখানো বা শোনানোর উদ্দেশ্য না থাকা। আল্লাহ্ পাক বলেনঃ দ্বীনকে (ইসলামকে) আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ করে শুধু আল্লাহকেই ডাকো।’’ [সূরা গাফিরঃ ১৪]
❖ দু‘আ কবুলের পূর্ণ বিশ্বাস রেখে দু‘আ করাঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
-------"তোমরা দু'আ কবুলের দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দু'আ করো।"
-----[সহিহ আল জামেঃ ২৪৫, হাদিসটি হাসান]
❖ অন্তরকে সজাগ রাখা ও উদাসীনতা পরিহার করাঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ‘‘...কোনো বান্দা অমনোযোগী অন্তরে দু'আ করলে, আল্লাহ তার দু'আ কবুল করেন না।’’
-----[সহিহ আত তারগিবঃ ২/১৩৩, হাদিসটি হাসান]
❖ রাসূলের উপর দরৃদ পাঠ করাঃ
আলি(রাঃ) বলেনঃ
-------‘‘সকল দু'আ পর্দার আড়ালে থাকবে, যতক্ষণ না নাবীর উপর সালাত পাঠ করবে।’’
-----[সিলসিলা সহিহাহঃ ৫/৫৪-৫৮, সহিহ আত তারগিবঃ ২/১৩৮, হাদিসটি হাসান]
●▪অন্য রেওয়ায়েতে এই কথাটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে।
❖ আল্লাহ্ যেকোনো দু‘আ কবুল করতে পারেন। (বৈধ) যেকোনো কিছু দিতে পারেন, এই বিশ্বাস রাখাঃ
-------"এভাবে দু‘আ করতে হাদিসে নিষেধ করা হয়েছে যে, 'হে আল্লাহ! তোমার ইচ্ছা হলে আমাকে দাও।’"
-----[সহিহ বুখারীঃ ৬৩৩৮]
●▪সুতরাং, এভাবে দু‘আ করা যাবে না।
●▪অন্য হাদিসে এসেছেঃ ‘
-------"আল্লাহর জন্য কোনো কিছুই এত বড় নয় যে, তিনি তা দিতে পারবেন না।’’
-----[সহিহ মুসলিমঃ ২৬৭৯]
▪সুতরাং, দু‘আ করতে হবে একান্ত মনোযোগ সহকারে, আন্তরিকতা ও দৃঢ়তার সাথে!!
০৩] দু‘আ করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম-কানুনঃ
দু'আ করার কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। আসুন জেনে নেই দু'আ করার গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম-কানুন সম্পর্কেঃ
০১] দু‘আর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করা এবং এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পাঠ করা এবং একইভাবে দু‘আ শেষ করা।
▪একবার ইবনে মাস'ঊদ(রাঃ) সালাতের বৈঠকে বসে প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করেন, অতঃপর রাসূলের উপর দরূদ পাঠ করেন, তারপর নিজের জন্য দু‘আ করেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
-------‘‘এখন চাও, তোমার প্রার্থিত বস্তু তোমাকে দেয়া হবে; এখন চাও, তোমার প্রার্থিত বস্তু তোমাকে দেয়া হবে।’’
-----[তিরমিযিঃ ২/৪৮৮, হাসান]
▪আরেকজন ব্যক্তি প্রথমেই নিজের জন্য চাওয়া শুরু করেন। তাকে দেখে নাবীজি সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ "সে অনেক বেশি তাড়াহুড়া করে ফেলেছে।’’
---[আবু দাউদঃ ১৪৮১, হাসান]
▪দু‘আর শেষদিকে আবারও প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণ বর্ণনা করা অতঃপর নবীজির উপর দরুদ পড়ার মাধ্যমে দু‘আ শেষ করা।
-----[ইবনুল কায়্যিম, জালাউল আফহামঃ ৩৭৫]
০২] প্রথমে নিজের জন্য দু'আ করাঃ
আবু আইয়ূব আনসারি (রাঃ) বলেনঃ
‘‘নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দু‘আ করতেন, তখন নিজেকে দিয়ে শুরু করতেন।’’
-----[আহমাদঃ ৫/১২১, মাজমাউয যাওয়াইদঃ ১০/১৫২, হাসান]
০দৃঢ় বিশ্বাস রেখে দু'আ করাঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
‘‘হে মানুষেরা! তোমরা যখন আল্লাহর কাছে চাইবে তখন কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে চাইবে; কারণ কোনো বান্দা অমনোযোগী অন্তরে দু'আ করলে আল্লাহ তার দু'আ কবুল করেন না।’’ -[সহিহ আত তারগিবঃ ২/১৩৩, হাসান]
০৪] সম্ভব হলে প্রথমে অজু করে নেওয়াঃ
-"একবার নাবীজি সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম কে আবু আমির(রাঃ)-এর জন্য দু‘আ করতে অনুরোধ করা হলে, তিনি প্রথমে অজু করে নেন, এরপর দু‘আ করেন।"
----[সহিহ বুখারীঃ ৪৩২৩]
০৫] বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ কিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে তিনবার করে বলাঃ
ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেনঃ ‘
--"রাসূল সাল্লাল্লাহু আ2লাইহি ওয়াসাল্লাম দু‘আ করলে (কখনো) তিনবার করে দু‘আ করতেন, কোনো কিছু (আল্লাহর কাছে) চাইলে তিনবার চাইতেন।’’
---[সহিহ মুসলিমঃ ১৭৯৪]
০৬] কিবলামুখী হওয়া বা কিবলামুখী হয়ে দু'আ করাঃ
-------রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বৃষ্টির জন্য দু‘আ করতে চাইলে, তখন তিনি কিবলামুখী হতেন।"
-----[সহিহ বুখারীঃ ১০০৫]
০৭] দু‘আর মধ্যে ছন্দময় কথা না বলাঃ
-------ইবনু আব্বাস(রাঃ) বলেন, আমি দেখেছি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবাগণ ছন্দময় কথা দু‘আর মধ্যে এড়িয়ে চলতেন।"
-----[সহিহ বুখারীঃ ৬৩৩৭]
০৮] দু‘আর মধ্যে আল্লাহপ্রদত্ত নিয়ামত এবং নিজ অপরাধের স্বীকৃতি দেওয়াঃ
সাইয়িদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দু‘আ)-র মধ্যে আমরা এমনটি দেখি, সেখানে বলা হচ্ছঃ —‘‘আমার উপর তুমি যে অনুগ্রহ করেছ, তা স্বীকার করছি এবং আমার কৃত পাপের কথাও স্বীকার করছি।’’
-----[সহিহ বুখারীঃ ৬৩০৬]
০৯] নেক আমলের উসিলা দিয়ে দু‘আ করা এবং পাশাপাশি আল্লাহর রহমত ও বড়ত্বের উসিলায় দু‘আ করা। এছাড়া ইসমে আযম দিয়েও দু‘আ করা উত্তম। (▪এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র পোস্ট দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ!)
-------"একবার তিন ব্যক্তি একটি গুহায় আটকা পড়েছিলো। একটি বিশাল পাথর গুহার মুখে এসে আটকে যায়। এমন কঠিন অবস্থায় তিনজনই তাদের বিভিন্ন নেক আমলের উসিলা দিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ করেছিলো, আল্লাহ তাদের দু‘আ কবুল করে পাথরটি সড়িয়ে দিয়েছিলেন।"[সহিহ বুখারীঃ ২২১৫]
১০] আল্লাহর প্রভুত্ব, মহত্ত্ব, বড়ত্ব, অমুখাপেক্ষিতা এবং তাঁর সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো দু‘আর মধ্যে বারবার স্মরণ করা এবং বলতে থাকা। এটি দু‘আ কবুলের গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
-----[ইবনু রজব, জামি‘উল উলূম ওয়াল হিকাম]
▪হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
-------‘‘তোমরা (দু‘আর মধ্যে) এ বাক্য উচ্চারণ করা বন্ধ করো না—
يا ذا الجلال والإكرام
[ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম]
----হে রাজকীয়তা ও মহানুভবতার অধিকারী!’’
-----[বুখারি, আত তারিখুল কাবিরঃ ৩/২৮০, সহিহ]] স্বাচ্ছন্দ্য ও প্রাচুর্যের সময় বেশি বেশি দু‘আ করাঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
-------"যার মন চায়—তার কষ্ট ও দুশ্চিন্তার সময় তার দু‘আ কবুল হোক, সে যেন প্রাচুর্যের সময় বেশি বেশি দু‘আ করে।’’
-----[তিরমিযিঃ ৩৩৮২, হাসান]
১২] নীচু স্বরে দু‘আ করা এবং খুব জোরে দু‘আ না করা! কারণ এটি সীমালঙ্ঘনঃ
আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ ‘
-------তোমার রবকে ডাকো কান্নাজড়িত কণ্ঠে এবং চুপে চুপে। অবশ্যই তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’’ [সূরা আ’রাফঃ ৫৫]
১৩] কাতর কণ্ঠে এবং ভীত-বিহ্ববলচিত্তে দু‘আ করা।
-[সূরা আ’রাফঃ ২০৫]
১৪] দু‘আর মধ্যে হাত উত্তোলন করা
-----[সহিহ বুখারীঃ ২৮৮৪, আবু দাউদঃ ১৪৮৮]
১৫] আল্লাহর সামনে নিজের সব অসহায়ত্ব পেশ করা।
-----[সূরা আম্বিয়াঃ ৮৯, সূরা ইবরাহিমঃ ৩৭]
১৬] দু‘আর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় শব্দ না বলা।
-----[আবু দাউদঃ ১৪৮০ ও ৯৬, সহিহ]
▪যেমনঃ ‘‘হে আল্লাহ! আমাকে জান্নাতের অমুক ফলটা দিয়ো, তমুক জিনিসটা দিয়ো!"-----এভাবে না বলে শুধু জান্নাত চাওয়া। কারণ জান্নাতে গেলে তো সবই পাওয়া যাবে।
১৭] দু‘আর মধ্যে নিজ পিতা-মাতা এবং সকল মুসলিমদের জন্য দু‘আ করা।
-----[সূরা ইসরাঃ ২৪, সূরা ইবরাহিমঃ ৪১, সূরা মুহাম্মাদঃ ১৯]
১৮] বেশি বেশি করে চাওয়াঃ
হাদিসে এসেছেঃ ‘‘তোমাদের কেউ যখন কামনা বা প্রার্থনা করবে, তখন সে যেন বেশি করে প্রার্থনা করে। কারণ সে তো তার মালিকের কাছেই চাচ্ছে!’’
-----[মাজমাউয যাওয়াইদঃ ১০/১৫০, সনদ সহিহ]
১৯] দু‘আর সময় দৃষ্টি নত রাখা [মাজমাউয যাওয়াইদঃ ১০/১৬৭-১৬৮]
২০] আ-মীন বলে দু‘আ শেষ করা।
-----[আবু দাউদঃ ১/৯৩৮]
▪তবে, এটি দিয়েই শেষ করতে হবে, এমনটি নয়। মাঝেমধ্যে সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত বা কখনো কালিমা তাইয়িবাহ্ ইত্যাদি দিয়েও দু‘আ শেষ করা যাবে।
(▪বিস্তারিত অন্য কোনো পোস্টে ইনশাআল্লাহ!)
ইন শা আল্লাহ! সামনে দু‘আকেন্দ্রিক কিছু ভুল-ভ্রান্তি, দু‘আ কবুলের বিশেষ কিছু সময় এবং অবস্থা ইত্যাদি নিয়ে আরো কিছু পোস্ট দেওয়া হবে!!
▪ইয়া আল্লাহ তা'আলা! আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার এবং মেনে চলার এবং বেশি বেশি করে কবুলযোগ্য নেক আমল ও দু'আ করার তাওফীক দান করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল ও হিফাযত করুন (আ-মীন)।।
Mashallah
ردحذفজাযাকাল্লাহ
حذفإرسال تعليق