■ অত্যন্ত দরকারী তিনটি চিকিৎসা পদ্ধতিঃ
(১) ওষুধ ছাড়াই টনসিলের ব্যথা দূর করার সহজ উপায়ঃ
শীতে টনসিল সমস্যা সাধারণত বেড়ে যায়। আর ঠান্ডাজনিত কারণে যতগুলো সমস্যা সৃষ্টি হয় টনসিল সংক্রমণ তার মধ্যে অন্যতম। এই সমস্যা যে কোন বয়সে, যে কোন সময়ে হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে প্রাথমিক অবস্থায় অনেক অসুখই ঘরোয়া উপায়ে সমাধান সম্ভব। সমস্যা জানান দেওয়ার পর থেকেই যত্ন নিলে ঘরোয়া কিছু উপায়েও সারিয়ে তুলতে পারেন অসুখ। জেনে নিন কিভাবে ওষুধ ছাড়াই টনসিলের সমস্যা দূর করবেন-
●● লবণ-পানিঃ
গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ভেপার নিন। এই সময় চাদর দিয়ে নিজেকে মুড়ে ফেলুন। কান-মাথা যেন অবস্যই জড়ানো তাকে। ফ্যানের বাতাস থেকেও দূরে থাকতে হবে। গলা ব্যথা, টলসিলের অসুখ থেকে অনেকটা আরাম দেয় এই লবণ-পানির ভেপার।
●● দুধে হলুদঃ
খুশখুশে কাশি থেকে টনসিলের সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই-ফোটানো দুধে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খাওয়া এর অন্যতম ওষুধ! হলুদের অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান সংক্রমণ দূর করে। এছাড়া হলুদে প্রাকৃতিকভাবেই অ্যান্টিসেপটিক উপাদান থাকে। তাই হলুদের প্রভাবে গলার প্রদাহও দূর হয় অনেকটাই।
●● গ্রিন টি-মধুঃ
তিন কাপ পানিতে এক চা চামচ গ্রিন টি এবং এক চামচ মধু দিয়ে মিনিট পাঁচেক ফুটিয়ে নিন। এই চা একটা ফ্লাস্কে রেখে দিন। উষ্ণ থাকাকালীন অল্প অল্প করে বার বার খান। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট; তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এটি শরীরের জীবাণুর সঙ্গে লড়াইও করে। মধুর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল উপাদান প্রদাহ কমায় টনসিলের।
[[০২]] ওষুধ ছাড়াই দূর করুন কালো দাগঃ
ওষুধ ছাড়াই কালো দাগ দূর করতে চান? কিছু উপায় অবলম্বন করলে এই কালো দাগের হাত থেকে মুক্তি মিলবে সহজে। একেবারেই সহজলভ্য উপাদান ও নামমাত্র খরচেই বানিয়ে নিন ঘরোয়া কিছু প্যাক। সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করলে দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যেই ভাল ফল পাবেন।
●● চিনি ও লেবুঃ
পানিতে এক চামচ চিনি মিশিয়ে খানিকটা ফুটিয়ে নিন। চিনি গলে পানিতে মিশে যাওয়ার পর ঠান্ডা করে নিন সেই মিশ্রণ। এ বার এই চিনির রস লেবুর গায়ে মাখিয়ে কালো দাগের উপর লেবুটা ঘষতে থাকুন। মিনিট দশেক পর ভাল করে ধুয়ে নিন।
●● অলিভ অয়েল ও চিনির রসঃ
চিনি যেমন প্রাকৃতির স্ক্রাবার, তেমনই অলিভ অয়েলও ত্বককে নরম ও দাগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে ব্যবহারযোগ্য এক চামচ অলিভ অয়েল ও আধ চামচ চিনির রস মিশিয়ে কনুইয়ের উপর লাগিয়ে রাখুন। মিনিট দশেক পর চিনির রস টেনে গেলে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে বার তিনেক এই প্যাক লাগালে দু’-তিন মাসের মধ্যেই দাগ অনেকটা হালকা হয়ে এক সময় উঠে যাবে।
দই, বেসন ও লেবু: এক চামচ টকদই, এক চামচ বেসন ভাল করে মিশিয়ে তার উপর লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। পাঁচ মিনিট এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন কালো দাগে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগান।
●বেসন রোমকূপের ভিতরে লুকিয়ে থাকা ময়লা সরাতে কাজে আসে। সঙ্গে যোগ হয় দই ও লেবুর অ্যাসিড। তিনে মিলে দীর্ঘমেয়াদী কালো দাগ দূর করে।
🔰 সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা।
শীত এলেই বেড়ে যায় ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট ও মাথাব্যথার সমস্যা। অনেকে এসব রোগে ওষুধ খেয়ে থাকেন। তবে এসব রোগে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। খেয়ে দেখতে পারেন কালোজিরা।
■■ কালোজিরার ঔষধি গুণ বা স্বাস্থ্যগুণ সমৃদ্ধ, যা অনেকেই জানি না।
আসুন জেনে নিই কালোজিরার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঔষধি গুণঃ
●● ০১. পেটের সমস্যায় কালোজিরা খুব ভালো কাজ করে। কালোজিরা তেল ছাড়া ভেজে, গুঁড়ো করে আধাকাপ দুধের সঙ্গে এক চিমটে কালোজিরার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।
●● ০২. কালোজিরায় রয়েছে ফসফরাস, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের যেকোনো জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে কালোজিরা খেতে পারেন।
●● ০৩. কালোজিরাতে থাকা আয়রন ও ফসফেট শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এ ছাড়া শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পেতে খেতে পারেন কালোজিরা।
●● ০৪. প্রস্রাব স্বাভাবিক, নিয়মিত ও পরিষ্কার রাখতে কালোজিরা খেতে পারেন।
●● ০৫. আবহাওয়ার পরিবর্তনে অনেকেরই ঠাণ্ডা লেগে মাথাব্যথা বা মাথা ঝিমঝিম থাকে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন কালোজিরা।
🔰 তথ্যসূত্রঃ জি নিউজ।।
👌👌👌👌
ردحذفإرسال تعليق