সকল মাতা-পিতা এবং অভিভাবকদের জন্য জানার, বোঝার এবং মেনে চলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কতীপয় বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন!!
অনেক সময় হিজড়া সন্তানের জন্ম হয়! এর কি কোনো বিশেষ কারণ রয়েছে? অর্থাৎ কোনো ধর্মীয়/ইসলামী এবং বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা? চলুন জেনে নিই।
হিজড়া জন্ম হওয়ার কারণঃ ইসলামী ব্যাখ্যাঃ
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ "হিজড়ারা জীনদের সন্তান!" কোন এক বাক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কেমন করে হতে পারে। জবাবে তিনি বলেছিলেনঃ
"আল্লাহ এবং রসূলুল্লাহ সল্লালাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লিম নিষেধ করেছেন যে, মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে। সুতরাং কোন মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে, শয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা ঐ মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে।"
মানুষ এবং জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলামে বলা হয় “খুন্নাস!"
▪প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমানঃ ৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।
■ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছেঃ
দেখা যায় XX প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন থেকে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়। অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। এক্ষেত্রে ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ ও বিভাজনের ফলে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা XYY। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।
একটা ব্যাপার হলো, একটি হিজড়া শিশুকে পরিণত বয়সে যাওয়ার আগে যদি যথযথ মেডিকেল ট্রিটমেন্ট করা হয় তাহলে বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তাকে সুস্থ করা সম্ভব। কিন্তু যখন বোঝা যায়, সে সাধারণ আর দশজনের থেকে আলাদা, তখন আসলে অনেক দেরী হয়ে যায়। একইভাবে কোন পুরুষ বা নারীও হিজড়া হতে পারেন।
●▪︎আল্লাহ পাক আমাদের বংশধরদের শয়তানের হাত হতে রক্ষা করুন এবং অবৈধ মেলামেশা থেকে হিফাযত করুন(আ-মীন)।
০২] শিশুর সাথে আমাদের করণীয়ঃ
ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে বা্চ্চার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে আপনার উপর।
০১) বাচ্চার কোনো ভুলের কারণে,তার সাথে রাগারাগি করবেন না! তাহলে আপনার বাচ্চা বড় হয়ে মিথ্যাবাদী হবে।
০২) আপনার বাচ্চাকে সবার সামনে ছোটো করবেন না।তাহলে আপনার বাচ্চা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে।
০৩) বাচ্চার কোনো ব্যাপারে আপনাদের সিদ্ধান্ত তার উপর চাপিয়ে দিবেন না। তাহলে সে নিজে থেকে কখনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে না।
০৪) বাচ্চার কোনো ব্যাপারে সমস্যায় পড়লে তার দায়িত্ব নিজে নিবেন না। বরং তাকেই সামলাতে দিন। তা না হলে সে বড় হয়ে ভীরু প্রকৃতির হবে।
০৫) বাচ্চার সাথে অন্য কারো তুলনা করবেন না। তাহলে সে মানুষকে হিংসা ও ঈর্ষা করতে শিখবে।
০৬) আপনার রাগ বাচ্চার উপর ঝাড়বেন না। তাহলে সে পরবর্তীতে সবকিছুর জন্য নিজেকে দোষী ভাববে।
০৭) আপনার বাচ্চার কাছে কোনো প্রতিজ্ঞা করলে তা কখনো ভঙ্গ করবেন না। তা না হলে সে পরবর্তীতে প্রতিজ্ঞার কোনো মূল্য বুঝবে না।
০৮) আপনার বাচ্চার কোন আগ্রহকে কখনো তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবেন না। তাহলে সে নিজেকে নিয়ে হতাশায় ভুগবে।
০৯) আপনার বাচ্চাকে শেখান কীভাবে তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তা না হলে সে স্নায়ুবিক সমস্যায় ভুগবে।
১০) বাচ্চাদের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলে তারা চিরজীবনের জন্য এটা মনে রাখবে। আর এতে পরবর্তীতে তারা আত্মবিশ্বাস হাড়িয়ে ফেলবে এবং হতাশাগ্রস্হ হবে।
বাচ্চাদেরকে আন্তরিকতার সাথে ভালোবাসুন এবং ভালোবাসতে শেখান।
Masha Allah onek valo legese
ردحذفজাযাকাল্লাহ খায়ের
حذفإرسال تعليق