বর্তমানে মসজিদগুলোতে চেয়ারে বসে নামায পড়ার হিড়িক পড়ে গেছে! আজকাল চেয়ারে বসে নামায পড়াটা একটা ফ্যাশনে রূপ নিয়েছে! যা কিছুতেই কাম্য নয়!
● একজন ব্যক্তি সারাদিন ঘুরাঘুরি করছেন। বাজারে যাচ্ছেন। বসে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা দিচ্ছেন। কিন্তু মসজিদে এসে চেয়ারে বসে নামায পড়ছেন। এটা যেন-- "দৌঁড়ে দৌঁড়ে মানুষ মারে, আর চেয়ারে বসে নামায পড়ে" বিষয় হয়ে গেছে!!
নামাযের মধ্যে কিয়াম করা বা দাঁড়িয়ে নামায আদায় করা নামাযের মধ্যের একটা ফরয কাজ। কোন কারণে কোন ব্যক্তি এই ফরয কাজটি বাদ দিলে তার নামাযই হবে না! তাই রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে বলেছেন এবং এতে অক্ষম হলে বসে (জমিনে বসে) নামায আদায় করতে বলেছেন এবং এতেও কেউ অক্ষম হলে শুয়ে বা কাত হয়ে ইশারায় নামায আদায় করতে বলেছেন। কিন্তু তিনি বলেননি, মসজিদে চেয়ার বা টুল নিয়ে তাতে বসে নামায আদায় করতে!
● বর্তমান সমাজের মসজিদগুলোতে চেয়ারে বসে নামায আদায় করার একটা ফ্যাশনেবল ব্যবস্থা চালু হয়েছে! যার ফলে, বিভিন্ন মসজিদের প্রথম দিকের কাতারগুলোতে বিভিন্ন ধরণের চেয়ার শোভা পাচ্ছে! আর এর উপর বসে সাধারণত সমাজের উচ্চ শ্রেণীর কিছু মানুষ নামায আদায় করে থাকেন! আবার অনেককে দেখা যায়, চেয়ারে কিংবা জমিনে বসে নামায আদায় করছেন এবং সিজদা দেবার জন্য সামনে উঁচু কোন টুল কিংবা অন্য কোন জিনিস রেখে তার উপরে সাজদা করছেন।
যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং এতে তাদের সাজদা আদায় হচ্ছে না! আর সাজদা আদায় না হবার কারণে ঐসব লোকদের নামাযই আদায় হচ্ছে না! কেননা, সাজদা করতে হবে জমিনে। তাতে কেউ অক্ষম হলে তাকে ইশারায় সাজদা করতে হবে। এছাড়া অন্য কোন ভাবেই সাজদা করার কোন সুযোগ নেই!
🔰 এ ব্যপারে বা চেয়ারে বসে নামায পড়ার বা নামায আদায় সম্পর্কে শরীয়তের বিধান কী? আসুন, আমরা জেনে নেই!!
● প্রশ্ন হচ্ছে ০১] সিজদা করতে না পারলে বা একটু কষ্ট হলেই কি চেয়ারে বসে নামায পড়া যায়?
এই মাসআলা নিয়ে বিশদ আলোচনার প্রারম্ভে প্রিয় রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এর আমল জেনে নেয়া যাক।
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের তিন দিন পূর্বে বৃহস্পতিবার ইশার সময় তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে যান। ইশার নামাযের জন্য ৩বার অজু করেছেন। তিনবারই বেহুঁশ হয়ে পড়ে যান। শেষপর্যন্ত আবু বকর(রাঃ) কে ইশার নামাযের জিম্মাদারী প্রদান করেন। এরপর শুক্র, শনি, রবি ও সোমবার ফজরসহ মোট ১৭ ওয়াক্ত নামায রসূলুল্লাহ সল্লালাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায়ই আবুবকর(রাঃ) ইমামতি করেন।
রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের ১/২ দিন পূর্বে শনি বা রবিবার জোহরের সময় তিনি কিছুটা সূস্থতা অনুভব করেন। ফলে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম দু'জন সাহাবীর কাঁধে ভর করে পা টেনে টেনে মসজিদে আগমন করেন। ইমামতির জায়গা থেকে আবু বকর (রাঃ) সরে যেতে চাইলেন। প্রিয় রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে নিজ আসনে থাকার জন্য হাতে ইশারা দিলেন এবং আবু বকর(রাঃ)কে ডান পাশে রেখে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম তার বাম পাশে বসলেন এবং নামায পড়ালেন। আবু বকর (রাঃ) মুকাব্বির হিসেবে সাহাবীদেরকে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামায শুনালেন।
এতো ভয়াবহ অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও জায়েজ বুঝানোর জন্য হলেও অন্তত একবারও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম চেয়ারে বসে নামায পড়েননি। অথচঃ তৎকালীন যুগে চেয়ারও ছিল এবং ওজরও ছিল! কিন্তু মসজিদে কোন চেয়ার ছিল না এবং চেয়ারে নামাযও ছিল না!
অথচ শারিরীক ওজরের জন্য রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম ওজর বশতঃ স্বয়ং দাঁড়িয়ে পেশাব করেছেন। পালক পুত্রবধুকে তালাকের পর নিজে বিয়ে করেছেন। আরো অনেক সমাজ ও প্রথা বিরোধী আমল করেছেন। কিন্তু চেয়ারে বসে নামায পড়েননি!
এ বিষয়ে অত্যন্ত জরুরী কয়েকটী বিষয় সম্পর্কে জেনে নিনঃ
● ০১. রুকু সাজদা করতে সক্ষম ব্যক্তি যদি চেয়ারে বসে নামায পড়েন, নামায হবে না।
من فرائضها القيام فى فرض لقادر عليه وعلى السجود، الدر المختار مع رد المحتار-2/132)
● ০২. কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু দীর্ঘক্ষণ দাঁড়াতে পারেন না, এমন ব্যক্তি যদি যতটুকু সময় দাঁড়াতে পারেন ততটুকু সময় দাঁড়ানোর চেষ্টা না করেই যদি বসে নামায পড়েন, তাহলে তার নামায হবে না।
যতক্ষণ সময় কেউ দাঁড়াতে পারেন, ততক্ষণ তিনি দাঁড়াবেন। তারপর যখন দাঁড়াতে অক্ষম হয়ে যাবেন, তখন তিনি জমিনে বসে যাবেন। এমনকি যদি লাঠিতে ভর দিয়েও দাঁড়াতে পারেন বা হেলান দিয়ে দাঁড়াতে পারেন, তাহলে যদি নিকটে লাঠি থাকে বা হেলান দেবার সুযোগ থাকে, তাহলে লাঠিতে ভর দিয়ে বা হেলান দিয়ে হলেও তাকে দাঁড়িয়েই নামায আদায় করতে হবে! বসবেন না বা বসা যাবে না! আর বসলে তাকে জমিনে বসতে হবে এবং কেউ জমিনে বসতে না পারলে তাকে জমিনে কাত হয়ে শুয়ে নামায আদায় করতে হবে।
কারো যদি লাঠি বা হেলান দেয়ার সুযোগ থাকা সত্বেও অযথাই বসে নামায পড়েন, তাহলেও উক্ত ব্যক্তির নামায হবে না।
● ০৩. তবে যদি একদম দাঁড়াতেই না পারেন, বা দাঁড়ালে মাথা ঘুরে পড়ে যান, তাহলে বসে নামায পড়ার সুযোগ রয়েছে।
وان قدر على بعض القيام ولو متكئا على عصا أو حائط قام لزوما وما قدر ما يقدر ولو قدر آية أو تكبيرة على المذهب لأن البعض معتبر بالكل، (الدر المختار مع رد المحتار-2/267)
● ০৪. দাঁড়াতে অক্ষম, তবে বসতে পারেন, তাহলে বসেই নামায পড়বেন। চেয়ারে বসে পড়লে নামায হবে না।
وإن عجز عن القيام وقدر على القعود، فإنه يصلى المكتوبة قاعدا بركوع وسجود ولا يجزيه غير ذلك، (تاتارخانية-2/667)
যে ব্যক্তি জমিনে সাজদা করতে অক্ষম, কিন্তু যদি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে সক্ষম হন, তাহলে তাকে দাঁড়িয়েই নামায আদায় করতে হবে। আর যেহেতু সে সাজদা করতে অক্ষম, তাই সে ইশারায় সাজদা করবেন (যদি রুকু করতেও অক্ষম হয, তাহলে রুকুও তিনি ইশারায় আদায় করবেন)। জমিনে সাজদা করতে অক্ষম হওয়ার কারণে দাঁড়ানোর ফরয ছাড়া যাবে না।
-----(ফাতহুল কাদীর’ খ. ১ পৃ. ৪৬০,‘আননাহরুলফায়েক খ. ১ পৃ. ৩৩৭ এবং ‘ইলাউস সুনান খ. ৭ পৃ. ২০৩}
কিয়ামের ফরয আদায় থেকে শুধু ঐ ব্যক্তি ছাড় পাবেন, যে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে অক্ষম। কিন্তু সাজদা করতে অক্ষম হওয়ার কারণে কিয়াম-এর ছাড় পাবে না। কিয়াম নামাযের একটি স্বতন্ত্র ফরয এবং তা শুধু সাজদার জন্য নয়!
যে ব্যক্তি দাড়িয়ে নামায শুরু করতে পারেন, কিন্তু সাজদার জন্য জমিনে বসার পর আবার দাঁড়াতে তার অনেক কষ্ট হয়, এমন ব্যক্তিও কিয়াম (দাঁড়িয়ে নামায পড়া) একেবারে ছাড়বেন না। বরং প্রথম রাকাত দাড়িয়ে আদায় করবেন। এরপর দাঁড়াতে কষ্ট হওয়ার কারণে বাকী নামায বসে আদায় করবেন।
যে ব্যক্তি শুধু আরামের জন্য অথবা মামুলি কষ্টের বাহানায় চেয়ারে বসে নামায আদায় করছেন তিনি মস্ত বড় ভুলকাজ করছেন। এভাবে নামায আদায় করার দ্বারা তার নামাযই হবে না। তার উপর ফরয, দাড়িয়ে নামায আদায় করা এবং যথা নিয়মে রুকু এবং সাজদা আদায় করা।
আর যে ব্যক্তি জমিনের উপর বসে নামায আদায় করতে সক্ষম, তার জন্য শুধু এই বাহানায় চেয়ারে বসে নামায আদায় করা ঠিক নয় যে, সে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে বা রুকু এবং সাজদা করতে অক্ষম। বরং এ ধরণের লোকেরা জমিনে বসে নামায আদায় করবেন। চেয়ারে বসে নামায আদায় করবেন শুধু ঐ লোকেরা, যারা জমিনে বসে নামায আদায় করতে অক্ষম।
● হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারকাতুহুম তার সদ্য লেখা এক ফতওয়ায় চেয়ারে বসে নামায আদায় করার ক্ষতির দিকগুলো আলোচনা করতে গিয়ে বলেনঃ
"জমিনে বসে নামায আদায় করার শক্তি থাকা সত্ত্বেও চেয়ারে বসার যে প্রচলন দেখা যায় তাতে বিভিন্ন দিক থেকে আপত্তি রয়েছে।" যেমনঃ
■▪০১. "মাযুর বা অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য জমিনে বসে নামায আদায় করাই উত্তম ও মাসনূন তরীকা। এর উপরই সাহাবায়ে কেরাম(রাঃ)গণ এবং পরবর্তীদের আমল চলে আসছে। চেয়ারে বসে নামায আদায় করার যে রেওয়াজ কেবল মাত্র শুরু হয়েছে। খায়রুল কুরূনে এর নযীর নেই। অথচ সে যুগে মাযুরও ছিল চেয়ারও ছিল।
■▪০২. যে ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে মাযুর নয়, অর্থাৎ কিয়াম, রুকু এবং সাজদা করতে সক্ষম, তার জন্য জমিনে বা চেয়ারে বসে ফরয এবং ওয়াজিব নামায আদায় করাই জায়েয নেই। অথচ কখনো কখনো দেখা যায় এধরণের সুস্থ ব্যক্তিও সামনে চেয়ার পেয়ে চেয়ারে বসে নামায আদায় করে নেয়। ফলে তার নামাযই হয় না।
■▪০৩. চেয়ারের ব্যবহারের কারণে কাতার সোজা করা ও সোজা রাখার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। অথচ মিলে মিলে দাঁড়ানো ও কাতার সোজা করার বিষয়ে হাদীস শরীফে জোর তাকীদ এসেছে।
■▪০৪. বিনা প্রয়োজনে মসজিদে চেয়ারের অধিক্যের কারণে তা এখন তা না সা রা দে র গি র্জা এবং ই হু দী দে র উপাসনালয়ের সাদৃশ দেখা যায়। তারা গি র্জা য় চেয়ার ও বেঞ্চে বসে উপাসনা করে। আর দ্বীনী বিষয়ে ই হু দী- না সা রা ও অন্যান্য জাতির সাদৃশ্য থেকে নিষেধ করা হয়েছে।
■▪০৫. নামায তো এমন ইবাদত যা আদায় করতে হয় বিনয়াবনত হয়ে এবং বিগলিত চিত্তে। আর চেয়ারে বসে নামায আদায় করার চেয়ে জমিনে বসে নামায আদায়ের মাঝে তা পূর্ণমাত্রায় পাওয়া যায়।
■▪০৬. কোন কোন যুবক এবং সুস্থ ব্যক্তি নামাযের পর মসজিদে রাখা চেয়ারে বসে আরাম করে। কখনো কখনো চেয়ার নিয়ে গোল হয়ে বসে আলাপচারিতায় লিপ্ত হয়। এটা মসজিদের পবিত্রতা, মার্যাদা এবং আদবের খেলাফ।
■▪০৭. মসজিদে চেয়ারের ব্যবহারের কারণে কোন কোন ছুরতে কুরআনে কারীম এবং মুরব্বী নামাযীদের আদবও এহতেরামের ব্যত্যয় ঘটে।’’
■■▪নমুনা স্বরূপ আপত্তির এ সাতটি দিক উল্লেখ করার পর হযরত লেখেনঃ
-------"এ জন্যই ইশারায় নামায আদায় করার জন্যও যথাসম্ভব চেয়ারের ব্যবহার না করা চাই। চেয়ার ব্যবহারের প্রতি নিরুৎসাহিত করা চাই এবং এর ব্যবহার কেবলমাত্র ঐ সকল ব্যক্তির মাঝে সীমাবদ্ধ করা উচিত, যারা জমিনে বসে নামায আদায় করতে সক্ষম নন!"
■■ এই একদম স্পষ্ট বক্তব্য সত্ত্বেও হযরত আবার এটাও লিখেছেন যেঃ
-------"রুকু ও সাজদা করতে অক্ষম ব্যক্তিগণ জমিনের উপর বসে ইশারায় নামায আদায় করতে সক্ষম হওয়ার পরও যদি চেয়ারে বসে নামায আদায় করে থাকেন, তাহলে সেটাও জায়েয, কিন্তু অনুত্তম কাজ। আর দারুল উলূম দেওবন্দের ফতওয়ায় এটাকে শুধু অনুত্তমই বলা হয়নি বরং বলা হয়েছে, তা বিভিন্ন কারণে ‘কারাহাত’ মুক্ত নয়!"
-----{ফাতাওয়া দারুল উলুম করাচি, ফাতাওয়া নং- ৪১/১৫০৮,২ রবিউস সানী ১৪৩৪হিজরী}
তাই রুকু সাজদা করতে সক্ষম না হলেও চেয়ারে না বসে বরং দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে। তবে এমতাবস্থায় রুকু এবং সাজদা চেয়ারে বসে দেয়া জায়েজ আছে। তবে অনুত্তম। কিন্তু কিয়াম বাদ দিবে না, যদি দাঁড়াতে সক্ষম হন।
আর যদি দাঁড়াতেও সক্ষম না হন, তাহলে বসে ইশারায় নামায পড়বেন। এ অবস্থায়ও চেয়ার ব্যবহার অনুচিত। হ্যাঁ, যদি চেয়ার ছাড়া নিচে বসতেই পারেন না, তাহলে দুই পা ছড়িয়ে বসে নামায পড়বেন। যদি এতেও সক্ষম না হন, তাহলে চেয়ারে বসে নামায আদায় করবেন।
عن عمران بن حصین رضي الله عنه قال : کانت بي بواسیرُ، فسألتُ النبي صلی الله علیه وسلم عن الصلاة، فقال : صلّ قائمًا ، فإن لم تستطع فقاعدًا ، فإن لم تستطع فعلی جنبٍ۔
হযরত ইমরান বিন হুসাইন(রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ
-------"তোমরা দাঁড়িয়ে নামায পড়। যদি তোমরা দাঁড়াতে সক্ষম না হও, তাহলে বসে নামায পড়। আর যদি বসতেও সক্ষম না হও তাহলে কাত হয়ে(শুয়ে) নামায পড়।"
-----{বুখারী, হাদীস নং-১১১৭,১০৬৬}
والله اعلم بالصواب
ইয়া আল্লাহ তা'আলা! আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার ও মেনে চলার এবং নামায আদায় ও কায়েম করার তাওফীক দান করুন ও আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল এবং হিফাযত করুন।
Post a Comment