আবু বকর সিদ্দিক রাঃ কে ছিলেন?
ইসলামের প্রথম খলিফা এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ) সঙ্গী।
আবু বকর ইবনে কুহাফা ছিলেন হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একজন প্রধান সাহাবী।
জন্মঃ ২৭ অক্টোবর ৫৭৩ খ্রিষ্টাব্দ – মৃত্যুঃ ২৩ আগস্ট ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)
ইসলামের প্রথম খলিফা এবং প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণের সম্মান তাকে দেওয়া হয়। এছাড়া তিনি রাসুল মুহাম্মাদ সাঃএর শ্বশুর ছিলেন। রাসুল সাঃ এর মৃত্যুর পর তিনি খলিফা হন এবং মুসলিমদের নেতৃত্ব দেন।
তরুণ বয়সে আবু বকর (রাঃ) একজন বণিক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। তিনি প্রতিবেশী সিরিয়া, ইয়েমেন ও অন্যান্য অঞ্চলে ব্যবসার কারণে ভ্রমণ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি সম্পদশালী হয়ে উঠেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তিনি তার গোত্রের একজন নেতা হয়ে উঠেছিলেন। ইয়েমেন থেকে বাণিজ্য শেষে ফেরার পর তিনি নবী মুহাম্মাদ সাঃ ইসলাম প্রচারের সংবাদ পান। এরপর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
তার ইসলাম গ্রহণ অন্য অনেকের ইসলাম গ্রহণের উৎসাহ যুগিয়েছে। এছাড়াও আবু বকরের (রাঃ) মেয়ে আয়িশার সাথে মুহাম্মাদ সাঃ বিয়ের ফলে তাদের দুজনের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠে।
আবু বকর একজন একনিষ্ঠ সহচর হিসেবে মুহাম্মাদ সাঃ এর সহযোগিতা করেছেন। তার জীবদ্দশায় আবু বকর বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তাবুকের যুদ্ধে তিনি তার সমস্ত সম্পদ দান করে দেন। হুদায়বিয়ার সন্ধিতে আবু বকর অংশ নিয়েছিলেন এবং তিনি ছিলেন এই চুক্তির অন্যতম সাক্ষী।
আবু বকরের খিলাফত দুই বছরের কিছু বেশি সময় স্থায়ী হয়েছিল। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার খিলাফতকাল দীর্ঘ না হলেও তিনি একজন সফল শাসক ছিলেন। মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মৃত্যুর পর নবী দাবি করা ব্যক্তিদের তিনি রিদ্দার যুদ্ধে সফলভাবে দমন করেছেন এবং তৎকালীন দুটি পরাশক্তি পারস্য ও বাইজেন্টাইনদের উপর সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন। অভিযানের ধারাবাহিকতায় কয়েক দশকে মুসলিম খিলাফত ইতিহাসের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্যের একটিতে পরিণত হয়।
সিদ্দিক নাম করণের কারন 🔸
নবী মাজাহার কে অধিক সত্যায়ন করার কারণে আবু বকর সিদ্দীক উপাধি লাভ করেন । উম্মুল মুমিনীন আয়শা বলেন, নবী -কে যখন মসজিদে আকসায় ভ্রমণ করানো হলো অর্থাৎ যখন মেরাজ সংঘটিত হলো তখন লোকেরা এ নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা শুরু করল । এক পর্যায়ে
ঈমানদার কিছু লোক মুরতাদ হয়ে গেল । আবার কতিপয় লোক আবু বকর এর নিকট গেল এবং তাকে জিজ্ঞেস করল, তোমার বন্ধু মুহাম্মদ সম্পর্কে কি কোন সংবাদ আছে?
তিনি নাকি মনে করেন তাকে রাত্রে বাইতুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণ করানো হয়েছে । আবু বকর (রাঃ) বললেন, নবী সত্যি কি তাই বলেছেন? তাঁরা বলল, হ্যাঁ । আবু বকর বললেন, যদি তিনি তাই বলে থাকেন, তাহলে তিনি সত্যই বলেছেন ।
লোকেরা বলল, তুমি কিভাবে সত্যায়ন করলে যে, তিনি রাত্রে বাইতুল মুকাদ্দাস গেলেন এবং ভোর হওয়ার আগে আবার ফিরে আসলেন ।
তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি অবশ্যই তাঁর কথায় বিশ্বাস করি এমনকি এর চেয়েও কঠিন কোন বিষয় হলেও বিশ্বাস করব। সকাল বিকাল তাঁর কাছে আকাশ থেকে খবর আসার কারণে আমি তাঁর কথা বিশ্বাস করব । এজন্যই আবু বকর -কে সিদ্দীক উপাধি দেয়া হয় জাহেলীজাহেলী । (হাকীম, ৩/৬২৬৩)
জাহেলী যুগেও তিনি মদ পান করেননি 🔸
আবু বকর জাহেলী যুগেও সবচেয়ে উন্নত চরিত্রের অধিকারী ছিলেন, এমনকি তিনি ইসলাম গ্রহণের পূর্বেও মদকে হারাম করে নিয়েছিলেন ।
আয়েশা বলেন, আবু বকর নিজের ওপর মদকে হারাম করেছিলেন ।এমনকি তিনি জাহেলী যুগেও পান করেননি এবং ইসলামী যুগেও তিনি তা পান করেন নি । এটা এজন্য যে, তিনি একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখলেন যে, সে ময়লার মধ্যে হাত দিয়ে তা মুখে দিচ্ছে। সে এর গন্ধ পায় তখন হাত সরিয়ে নেয় । তখন আবু বকর বললেন, নিশ্চয়ই এ ব্যক্তি কি করছে তা জানে না । লোকটির এ অবস্থা দেখে তিনি নিজের উপর মদকে হারাম করে দেন । এক ব্যক্তি আবু বকর রি-কে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি জাহেলী যুগে মদ পান করেছেন? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই । তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কেন এটা করলেন? তিনি বললেন, আমি আমার ইজ্জত ও সম্মানকে হেফাজত করি । কেননা, যে
ব্যক্তি মদ পান করে, সে তাঁর ইজ্জত ও সম্মানকে নষ্ট করে । (তাঁরীখুল খুলাফা লিস সুয়ূতী, পৃঃ ৪৯)
আমি কখনো মূর্তিকে সিজদা করিনি🔸
সাহাবীদের এক মজলিসে আবু বকর বললেন, আমি কখনো মূর্তিকে সিজদা করিনি। আর তা এই কারণে যে, আমি যখন প্রাপ্তবয়স্ক হলাম তখন আমার পিতা আবু কুহাফা আমার হাত ধরে একটি স্থানে নিয়ে গেলেন, যেখানে অনেক মূর্তি ছিল। তিনি আমাকে বললেন, এগুলো তোমার উপাস্য । তখন আমি একটি মূর্তির নিকটবর্তী হলাম এবং বললাম,
আমি ক্ষুধার্ত আমাকে খাদ্য দাও। কিন্তু সে আমার কোন উত্তর দিল না। আমি আবার বললাম, আমি বস্ত্রহীন আমাকে কাপড় দাও। কিন্তু এতেও সে আমার কোন জবাব দিল না। তখন আমি একটি পাথর তাঁর চেহারার
দিকে ছুঁড়ে মারলাম । (আল খুলাফাউর রাশিদূন, মাহমুদ শাকির পৃঃ ৩১)
একটি আশ্চর্যজনক সংবাদ 🔸
আবু বকর একদিন একটি স্বপ্ন দেখলেন । তখন তিনি শামে অবস্থান করা ছিলেন । স্বপ্নটি একটি পাদ্রীর নিকট বর্ণনা করলেন। পাদ্রী তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোথা থেকে এসেছ । আবু বকর মুদ্রি বললেন, মক্কা থেকে । আবার
জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কোন গোত্রের? তিনি বললেন, কোরাইশ গোত্রের । আবার জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কী কর? তিনি বললেন, আমি ব্যবসা করি। এসব শুনে
পাদ্রী বললেন, যদি আল্লাহ তোমার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেন । তাহলে তিনি তোমার সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে এমন একজন নবী পাঠাবেন যার জীবদ্দশায় তুমি তাঁর সাহায্যকারী হবে এবং তাঁর মৃত্যুর পর তুমি তাঁর খলিফা নির্বাচিত হবে । এটা শুনে আবু বকর আক্রমনে মনে আনন্দিত হলেন ।
(আল খুলাফাউর রাশিদূন, মাহমুদ শাকির পৃঃ৩৪)
তালহা আবু বকর রাঃ-কে মূর্তি পূজার জন্য ডেকেছিলেন
আবু বকর ইসলাম গ্রহণ করলে মক্কাবাসীদের নিকট এটা অত্যন্ত কষ্টকর হলো । তাঁরা পরামর্শ করল যে, তাঁর একজন দূত পাঠাবে। যে তাকে মূর্তি পূজার আহ্বান জানাবে এবং তাঁরা এজন্য তালহা ইবনে আবদুল্লাহকে নির্বাচন করল । তালহা তাঁর কাছে আসলেন এবং আবু
বকর কে ডাক দিয়ে বললেন, আমার দিকে আস । আবু বকর বললেন, তুমি আমাকে কি জন্য ডাকছ? তালহা বললেন, তোমাকে লাত ও উযযার ইবাদাত করার জন্য আহ্বান করছি। আবু বকর বললেন, লাত কী জিনিস? তালহা বললেন, আল্লাহর সন্তান। আবু বকর বললেন, তাহলে তাঁর মা কে? তখন তালহা চুপ থাকলেন। একদম ঠোঁটও নাড়াতে পারলেন না । তখন আবু বকর তালহার সাথীদেরকে বললেন, তোমরা
তোমাদের সাথীর উত্তর দাও । কিন্তু তাঁরাও চুপ থাকল কোন উত্তর দিতে পারল না। এমতাবস্থায় তালহা তাদের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন । তাঁরাও চুপ থাকল । এবার তালহা দ্বিতীয় বার আবু বকর
কে ডাক দিয়ে বললেন, আস। আমি মুসলমান হয়ে যাচ্ছি। তখন আবু বকর তালহাকে নিয়ে রাসূল আমার -এর কাছে গেলেন । (উয়ূনুল আখবার,১৯৯/২০০)
কাবার প্রান্তে একটি ঘটনা 🔸
আবু বকর রাঃ তাঁর নিজের সম্পর্কে বললেন,আমি কাবার কিনারে বসা ছিলাম । সেখানে যায়েদ ইবনে আমরও বসা ছিলেন। এমতাবস্থায় ইবনে আবি সালত সেখান দিয়ে গমন করছিলেন । তখন তিনি বললেন, কিভাবে সকাল করেছ হে কল্যাণের অন্বেষণকারী! তিনি বললেন, মঙ্গলের সাথে।
অতঃপর জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি কিছু পেয়েছ? বললেন, না। এবার তিনি বললেন, একনিষ্ঠ দ্বীন ছাড়া যা আছে সবই বাতিল । তুমি কি এমন কোন নবীর সংবাদ শুনেছ যার অপেক্ষা করা হচ্ছে? আবু বকর বললেন, না । অতঃপর তিনি বললেন, আমি ওয়ারাকা ইবনে নাওফেলকে খুঁজতে লাগলাম, তিনি অধিকাংশ সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে
থাকতেন । তিনি অনেক সাহসী ছিলেন। আমি তাঁর কাছে ঘটনা বর্ণনা করলাম । তিনি বললেন, হে ভাতিজা! আমরা কিতাব সম্পর্কে জ্ঞান রাখি ।
নিশ্চয় আরবের উন্নত বংশ থেকে একজন নবী আসবেন। সেটা হচ্ছে তোমার বংশ। আমি বললাম, সেই নবী সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি বললেন, তিনি অত্যাচার করেন না, অত্যাচারিত হন না এবং তাঁর কাছে কেউ অত্যাচারিতও হন না। অতঃপর যখন নবী সাঃ এর আবির্ভাব হলেন, আমি তাঁর প্রতি ঈমান আনলাম এবং তাঁকে সত্যায়ন করলাম । (তাঁরীখূল খুলাফা লিস সুয়ূতী, পৃঃ ৫২)
যেমন ছিলেন আবু বকর 🔸
আয়েশা থেকে বর্ণিত । এক ব্যক্তি তাকে বলল, আবু বকর সম্পর্কে আমাদেরকে বলুন । তিনি বললেন, আবু বকর ছিলেন এমন ব্যক্তি যার গায়ের রং ছিল শুভ্র । তিনি ছিলেন পরিচ্ছন্ন । হালকা পাতলা বাহু বিশিষ্ট । প্রশস্ত চেহারার অধিকারী, লজ্জাশীল চক্ষুবিশিষ্ট । (ইবনে সা’দ, তারকাতুল কুবরা- ৩/১৮৮)
জাহেলী যুগে আবু বকর 🔸
ইমাম নববী বলেন, জাহেলী যুগে আবু বকর কুরাইশদের নেতা ছিলেন । তিনি তাদের পরামর্শ সদস্য ছিলেন এবং তাদের মধ্যে সবচেয়ে
জ্ঞানী ছিলেন । যখন ইসলামের আগমন হলো তখন তিনি সবকিছু বাদ দিয়ে ইসলামকে প্রাধান্য দিলেন এবং পরিপূর্ণভাবে ইসলামের মধ্যে প্রবেশ
করলেন । ইবনে আসাকী মা'রুফ থেকে বর্ণনা করে বলেন, নিশ্চয়ই আবু বকর কুরাইশদের ঐ এগার জনের মধ্যে অন্যতম ছিলেন যাদের
মর্যাদা জাহেলী যুগে ও ইসলামী যুগে অত্যধিক ছিল। তাদের মধ্যে আবু বকর নেতৃত্বস্থানীয় লোক ছিলেন। তৎকালীন সময়ে কুরাইশদের রাজা-বাদশাহ ছিল না যার অধীনে প্রতিটি বিষয়ের সমাধা হত বরং
প্রত্যেক গোত্রের মধ্যে একজন নেতা থাকত। তাঁরাই সব কিছু সমাধা করত । বনী হাশেম গোত্র মেহমানদারী করত এবং পানি পান করত । যখন
তাঁরা কোন ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চাইতো তখন দারুন নদওয়াই বৈঠক করত । (সিরত ও মানাকীব আবু বকর, পৃ: ১৯)
জাহেলী যুগে আবু বকর রাঃ এর বিবাহ 🔸
জাহেলী যুগে আবু বকর আবদুল উযযার মেয়ে কাতীবাহকে বিবাহ করেন । তাঁর গর্ভে আবদুল্লাহ এবং আসমা জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। কাতীবাহ আসমার কাছে কিছু হাদিয়া
প্রেরণ করেছিলেন, আসমা তা গ্রহণ করতে রাজি হননি। তখন আসমা নবী আল-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। নবী বললেন, তুমি তোমার মায়ের সাথে সমাচরণ করা। তবে এর দ্বারা এটা বুঝায় না যে,কাতীবা মুসলমান ছিলেন । (তবাকাতুল কুবরা লি ইবনে সা'দ- ৩/১৬৯)
আবু বকর রাঃ জাহেলী যুগে বনী কেনান গোত্রের উম্মে রুমান বিনতে আমীরকেও বিবাহ করেন । তিনি খুব তাড়াতাড়ি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং
মদীনায় হিজরত করেন। তাঁর গর্ভে আয়েশা ও আবদুর রহমানের জন্ম হয় ।
ইসলামী যুগে আবু বকরের বিবাহ 🔸
ইসলাম গ্রহণ করার পর আবু বকর আবদুল্লাহর মা আসমা বিনতে উমায়েসকে বিবাহ করেন, তিনি ছিলেন প্রথম যুগের মুহাজিরীনদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি পূর্বে জাফর ইবনে আবু তালিবের স্ত্রী ছিলেন। যখন জাফর মারা গেলেন তখন আবু বকরের সাথে তাঁর বিবাহ হয় এবং তাঁর গর্ভে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকরের জন্ম হয়।
এছাড়াও আবু বকর হাবীবা বিনতে খারীজাহকেও বিবাহ করেন। তাঁর গর্ভে উম্মে কুলসুমের জন্ম হয় । তবে তাঁর জন্ম হয়েছিল আবু বকর এর ইন্তেকালের পর ।(সীরাত ওয়া মানাকিবে আবু বকর সিদ্দীক, পৃঃ ৩০)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে জীবন চলার পথে সাহাবায়ে কেরাম রাঃ এর পদচিহ্ণ অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন, আমিন
আবু বকর রাঃ ১৫০ ঘটনা নামক বই থেকে ঘটনাবলী নেওয়া হয়ছে, বাকি ঘটনাগুলো পড়তে কওমী কলমে বই রিভিউ ক্যাটাগরিতে চোখ রাখুন৷ অচিরেই এর রিভিউ দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ
Post a Comment