সারা জাগানো ইসলামিক উপন্যাস “বিষন্নতা” (পর্ব-০১)

জন্মদাতা পিতা মো রহমান খান এসে রেহানা কে বলছে,,আজ বোরকা পড়বে না তুমি, এই নাও জামা আজ এটা পড়বে তুমি..আর হিজাব করবে না,,কোনো ভবেই যেনো বয়স্ক মহিলাদের মতো না দেখা যায়!

রিমি.... জি বাবা...তোর আপুকে আজ সাজিয়ে দিবি,সুন্দর করে চুল বেধে দিবি... সুন্দর যেনো দেখা যায়।

জি আচ্ছা বাবা...

রেহানার মা .... আজ যদি আমার কথার কোনো নড়চড় করেছে তোমার মেয়ে,আজ ওর এই বাড়িতে শেষ দিন হবে.. কথা গুলো ভালো করে ওকে বুঝিয়ে দাও আমার রাগ যেনো ও না ওঠায়...

রেহানা এখনো জায়নামাজে বসে আছে,চোখের জলে উড়না ভিজে গেছে..

রহমান খান রাগ দেখিয়ে চলে গেলো..

রেহানা ওঠে দাড়ালো জায়নামাজ তুলছে...

আপু শোনো তোমার ডং এবার ছাড়ো,,এতো বেশি বাড়াবাড়ি ভালো নয়... ওই দিন সবার সামনে বাবাকে অপমান করেছো আজ কেও একই ভুল করতে যেয়ো না...

রিমি... যা ঘরে যা সাজার জিনিসপত্র নিয়ে আয়,,আমি কথা বলছি রেহানার সাথে...

রেহানা.. আর কত কষ্ট দিবি মা,,আর কত কষ্ট দিবি, হঠাৎ করে তুই এমন কেনো হয়ে গেলি,,মেহমান কিচ্ছুক্ষন পরেই চলে আসবে তোর বাবা যা বলেছে শুনেছিস তো.. বোরকা খুলে ফেল..হাত মুখ ভালো করে ধুয়ে আয়,তারপর এই নে জামা টা পড়ে নিবি..,,

রিমিকে বাধা দিবি না,,সাজাতে দিবি,,ছেলে পক্ষ যেনো কোনোভাবেই অসন্তুষ্ট না হয়..

জামাটা রেখে সাজেদা বেগম চলে গেলো...

রেহানা দাঁড়ানো থেকে বিছানায় হেল দিয়ে বসে পড়লো জায়নামাজ শক্ত করে বুকে জড়িয়ে তাতে মুখ লুকিয়ে ফুফিয়ে কান্না করতে শুরু করলো.. কষ্টে ওর বুকটা ফেটে যাচ্ছে... ওর কাছে সব কিছু অবাস্তব আর দুঃস্বপ্ন মনে হচ্ছে,,ও এতো কষ্ট আর নিতে পারছে না,,

ও চোখের পানি দ্রুত মুছে নিল.. জায়নামাজ বিছিয়ে নিলো.. আবার নামায পড়তে শুরু করলো,,সিজদায় যেয়ে কান্না করছে আর আল্লাহর সাথে মনের যত কষ্ট আর দুঃখ আছে সব বলছে,মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে সাহায্য চাইছে..আজ যেনো ও বেপর্দা না হয়,,আল্লাহ যেনো তাকে তাই দান করে যা ওর জন্য কল্যাণকর.. আল্লাহর আদেশ যেনো ও পালন করতে পারে.. 

ওই দিকে ছেলে পক্ষ মাঝ পথে এসে পড়েছে, কিচ্ছুক্ষন আগে জ্যামে আটকে পড়েছিল... তবে এখন ফুল স্প্রিডে আসছে... ছেলের নাম শাওন...বাবার বিজনেস সামলাচ্ছে ,,,হঠাৎ শাওন এর কিছু একটা হয়ে যায় পড়া শুনা ছেড়ে সারাদিন রাত নেশা করা শুরু করে, বিষন্ন হয়ে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়,এর জন্য শাওন এর বাবা রেজবি হোসেন ছেলেকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়... কোনো মিল নেই রেহানার সাথে পুরো ভিন্ন পথের দুজন মানুষ। নামায রোজার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই,,নেশা করে,,হারাম রিলেশন শিপে জড়িত,পর্দা সম্পর্কে কোনো ধারণা নেয় তার..

এইদিকে রিমি এসে দেখে রেহানা সিজদারত অবস্থায় আছে,,

কিচ্ছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর,,রিমি ধৈর্য ধরতে না পেরে বলে ওঠে,,আপু ছেলে পক্ষ এসে পড়বে ওঠো এবার রেডি হও,,

রেহানা সালাম ফিরিয়ে বলে,তুই যা আমি একাই রেডি হয়ে নিব..

একাই রেডি হয়ে নিবে... আমি জানি তুমি বোরকা পড়বে,আমি বাবার কথা অমান্য করতে পারবো না,,বুঝলে,,এবার তাড়াতাড়ি আসো..

আমি বলছি তো,,তুই সব কিছু রেখে যা,,আমি রেডি হয়ে নিব,,

রিমি কিছু বলতে যাবে তখন সাজেদা বেগম এসে বলে,,ও যেহেতু একাই রেডি হতে চাইছে,,তুই যা ও রেডি হয়ে নিবে...

রিমি চলে যায়.... সাজেদা বেগম রেহানাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলে,,তোর বাবা অসুস্থ তাকে আর কষ্ট দিস না মা,,এই বলে চোখ মুছতে মুছতে ঘর থেকে বের হয়ে যায় সাজেদা বেগম....

রেহানা ঘরে দরজা লাগিয়ে দেয়...

ওই দিকে মেহমানরা সবাই এসে গেছে,,ছেলে সহ 5জন পুরুষ এসেছে আর একজন মহিলা,,ছেলের ফুফু লাগে,,ছেলের চাচাতো ভাই,একজন প্রানের বন্ধুও এসেছে..

প্রথমেই তাদের আপ্যায়ন করানো হবে. ছেলের ফুফু, বলছিলো যে মেয়েকে খাবার খাওয়ার আগে একটু দেখে নিবে সাজেদা বেগম বলেছেন মেয়ে রেডি হচ্ছে,,সবার সাথে একেবারেই না হয় দেইখেন....

সবার খাওয়া দাওয়া শেষ... সবাইকে বসতে দেওয়া হয়েছে... এবার মেয়ে দেখার পালা..

রেহানার মা মেয়ে কি রেডি হয়েছে?

হ্যাঁ হয়েছে হয়তো..

হয়তো মানে? যাও এবার ওকে নিয়ে এসো.. আগের বারের মতো কোনো ঝামেলা চাই না..

রেহানাকে নিতে এসেছে রিমি ও সাজেদা বেগম,কিন্তু একি..

ঘরে দরজা দিয়ে রেখেছে রেহানা..

ডাকার পরও খুলছে না

মেহমানরা নিচে অপেক্ষা করছে,,,কিন্তু পাত্রীর আসার খবর নেই..এই দিকে অনেকক্ষন ধরে ডাকাডাকি করার পরও দরজা খুলছে না রেহানা..

রিমি আমার তো খুবই ভয় করছে রেহানা আবার কিছু করে ফেললো না তো..

আরে মা, কি সব ভাবো তুমি,,শুনো নি সেইদিন আপু কি বলেছিলো..

আত্মহত্যা করা নাকি হারাম, পাপ।

তুমি তো জানোই যেখানে হারাম শব্দ রয়েছে সেখানে আপু নাই..

এই আপু,দরজা খুলছো না কেনো?? আপু,, আপু..

মা, আমি একটা কাজ করি,,বাবাকে ডেকে আনি,,সেই কিছু একটা করবে...

রিমি নিচে বাবাকে ডাকতে চলে গেলো...

এদিকে রেহানা নামাজে থাকার কারণে দরজা খুলছিলনা,,,মোনাজাত শেষ করে চোখের জল মুছে দরজা খুলে দিলো..

কতক্ষণ ধরে দরজা ধাক্কাচ্ছি খুলছিলি না কেনো,,ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তো...এইগুলো বলতে বলতে সাজেদা বেগম রুমে ঢুকলো... 

একি!! হায় খোদা,,তুই বোরকা পড়েছিস কেনো?? রেহানা কিছুনা বলে বিছানায় বসে পড়লো,,হাত মুজা পা মুজা পড়া.. মুখে নেকাব করা,,,

তোর বাবা আসার আগে এখন ই এসব খুলে ফেল.. তা না হলে আজকে আর রক্ষা নেই..

মেহমান অপেক্ষা করছে আয় তাড়াতাড়ি কর.. 

দেখি,,খুল এগুলো..

মা...(রেহানা সাজেদা বেগম এর চোখের দিকে তাকিয়ে)

আমি মরে গেলেও বোরকা খুলব না...সেটা তুমি জানো..

আমি জানি না আমি কিচ্ছু জানি না,কিন্তু তুই এইভাবে গেলে তোর বাবাকে আর সামলানো যাবে না।

সত্যি করে বলো তো নিচে কতজন পরপুরুষ এসেছে??

ওরা তো শুধু তোকে দেখবে দেখেই চলে যাবে..

ঠিক আছে দেখবে,,দেখেই চলে যাবে সমস্যা নেই,,কিন্তু শুধু পাত্র দেখবে আর কেউ না..এমন মানুষ কে বিয়ে করতে বলছো যে,ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানে না মানে না,না জানি কত হারামের সাথে যুক্ত আছে,,আমি এমন মানুষ এর সাথে কি করে পুরোটা জীবন কাটাবো,,যেখানে নিজের পরিবার ই ইসলাম পালন করতে দেয় না...

তুমি আমাকে এই জামা পড়তে বলছো লাস্ট কবে তুমি আমাকে বেপর্দা দেখেছো বলোতো মা.. 

সেইদিন সবার সামনে বাবা আমার গায়ে হাত তুলে, সারারাত বাইরে বের করে রাখে,,তবুও কি বেপর্দা হয়েছিলাম..

সবই তো করেছো,,এবার মেরে ফেলা টাই বাকি,,

মেরে ফেলো আমাকে, মেরে ফেলো..

বেপর্দা হওয়ার থেকে পর্দাঅবস্থায় আল্লাহর হুকুম পালনের সহিত মরে যাওয়া ভালো... 

তোমরা আমাকে বেপর্দা হতে বলো.. নন মাহরাম ভাই দের সাথে বাড়িতে একা রেখে চলে যাও.. কোরআন তেলাওয়াত এর সময় ইচ্ছে করে গান বাজাও..

নামাজ আদায়ের সময় কথা শোনাও...

তোমরা আমার সাথে সেই জিনিস করো যা একজন নন মুসলিম ও করে না,,তারা মুসলদের ইবাদত করতে দেখলে অন্তত ডিস্টার্ব করে না..

আমি যেনো তোমাদের শত্রু তে পরিনত হয়েছি,প্রতিটা দিন আমার জাহান্নাম বানিয়ে রেখেছো...

আমি কিছু বললে ইচ্ছে করে তার উলটো টা করো....

আমি তোমাদের মেয়ে নই,,আমি তোমাদের শত্রু,,

কি করে একজন বাবা তার মেয়ের সাথে এমন করতে পারে??.....বলো মা,বলো 

এদিকে রিমি বাবাকে জানাচ্ছে..

বাবা.. আপু তো দরজা খুলছে না।

কি?? দরজা খুলছে না মানে?? আবার কোন নাটক শুরু করে দিল...

আপনারা একটু অপেক্ষা করুন আমি উপর থেকে আসছি..

ছেলের ফুফুঃ ছোট মেয়েটাকে দেখেছো? কত সুন্দর, স্মার্ট,

তাহলে বড় মেয়েটা না জানি কত সুন্দর.. 

এদিকে শাওন এর কিছুই ভালো লাগছে না..ওর বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা নেই,,ওর কাছে যেনো সব সম্পর্কের মুল্য শেষ হয়ে গেছে,,

রহমান সাহেব উপরে গেলেন,যেয়ে দেখে মেয়ে বোরকা পড়ে আছে,,

এতো বার বারন করার পর ও বোরকা পড়েছে..

বাবা.. পর্দা করা ফরজ... আপনার দেওয়া জামাতে আমার পর্দা সম্ভব ছিলো না,,

ব্যাস অনেক হয়েছে.. অতিথীরা অনেকক্ষন ধরে অপেক্ষা করছে নিয়ে চলো.. 

সবাই অবাক হয়ে গেলো.. রহমান সাহেব বোরকা পড়া দেখে কিছু বললেন না রাগ ও করলেন না...

রহমান সাহেব মনে মনে ভাবছে আজ মেয়ে আমাকে তুমি থেকে আপনি করে সম্বোধন করছে.. রহমান সাহেব এর ও অনেক কষ্ট হচ্ছে মেয়ের জন্য.. তিনি তো নিজের মেয়েকে আজকাল চিনতেই পারেন না...

 কি এমন হয়েছিলো যে পুরো ফ্যামিলি রেহানার বিপক্ষে চলে যায়.... শুধু কি পর্দা করাই এর কারণ নাকি অন্য এমন কিছু ঘটেছে যা রেহানার পরিবার কে তার বিপক্ষে করে দিয়েছে??

রেহানা সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে আর আল্লাহর কাছে দোয়া করছে.. আর বলছে.. ইয়া আল্লাহ,,ইয়া মালিক,,আমার জন্য যা কল্যাণকর তুমি আমাকে তাই দান করো.. আমার পরিবারকে তুমি হেদায়েত দাও আল্লাহ,হেদায়েত দাও...

রেহানাকে চেয়ারে বসিয়ে দেওয়া হলো,,রেহানা ইচ্ছে করলেও চোখের জল কে থামাতে পারছে না,,সবার সামনে মুছতেও পারছে না। চারপাশ ওর কাছে ঝাপসা লাগছে,,

এদিকে ছেলের পক্ষ রেহানাকে দেখে অনেক অবাক.. রেহানা যে সে বোরকা পড়েনি,,ওর বোরকার মাধ্যমে বুঝা যাচ্ছে না ওর বয়স সম্পর্কে মনে হচ্ছে একজন বুড়ি সামনে বসে আছে,,

একজন বলে উঠলো এই কি মেয়ে??

সাজেদা বেগম জানালো,,জি.. আসলে আমার মেয়ে পর্দা করে তো.. কাউকে মুখ দেখায় না..নামাজী।

এসব আবার কি কথা,,মেয়ে দেখতে এসেছি মেয়ের মুখ দেখবো না,আর আমাদের ছেলে হলো.. পুরো এলাকার মধ্যে সব থেকে স্মার্ট আর সুদর্শন ছেলে,,হাজার হাজার মেয়ে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে লাইন ধরে আছে,আমরা আপনার মেয়ের গুনের কথা অনেক শুনেছি,,আজকাল তো পিউর মেয়ে পাওয়া যায় না তাই এসেছি,,কিন্তু মেয়ে যদি এভাবে থাকে আমাদের ছেলের সাথে তো কোনো ভাবেই মিলবে না,,

রহমান সাহেব বললেন.. চিন্তা করবেন না বিয়ের পর আপনারা আমার মেয়েকে যেভাবে রাখবেন সে ভাবেই থাকবে..

এই কথা শুনে রেহানার চোখের সমস্ত জল যেনো গড়িয়ে পড়ছে,,নেকাব সম্পুর্ন ভিজে গেছে..

সবাই তা লক্ষ্য করলেও.. শাওন খুব মনোযোগ সহকারে রেহানার দিকে তাকিয়ে আছে,,ওর সামান্য ফুফিয়ে ওঠা,চোখের জল.. কিছুই শাওনের চোখ এড়াচ্ছে না,,

সবাই কানা কানি করছে,,ছোট মেয়েটা কি সুন্দর স্মার্ট,স্টাইলিস জামা পড়েছে এই মেয়ে আবার এগুলো কি পড়েছে গরমের মধ্যে, ভাই আমার তো গন্ডোগোল মনে হচ্ছে,,মেয়ের স্বভাব চরিত্র ঠিক আছে তো,,আজকাল তো রাস্তার মেয়েরা এসব বোরকা পড়ে মুখ ঢেকে থাকে..

আহ,শাহানা,থামবি এসব কি বলছিস..চুপ কর আমাদের কথা বলতে দে..

সমস্ত কথা গুলোই রেহানা আর তার পরিবার শুনেছে.. রেহানার বাবা কিছুটা অসুস্থ বোধ করছে,,নিজের মেয়ে সম্পর্কে এসব কথা সে সহ্য করতে পারছে না,

রিমির খুব রাগ হচ্ছে এসব শুনে,,আর শাওন এর দিকে তাকিয়ে আছে তার এক্সপ্রেশন দেখার জন্য.. কিন্তু রিমি বুঝতে পারছে,,শাওন রেহানার দিকে তাকিয়ে মনোযোগ দিয়ে কিছু ভাবছে..

সাজেদা বেগম এর চোখে জল এসে গেছে

ছেলের বাবা রেজবি সাহেব বললেন,এতো ভালো কথা যে পাচ ওয়াক্ত নামায পড়ে,কোরআন পড়ে এমন মেয়েই দরকার,আচ্ছা মা বলো তোমার নাম কি? 

রেহানার একদম চুপ,,ও ভয় পেয়ে গেছে এবং ভয়ে কিছুই বলতে পারছে না,,ছেলের মামা বললেন বলো মা লজ্জা পেয়ো না বলো তোমার নাম কি,,

পিছন থেকে সাজেদা বেগম শক্ত করে হাত টা চেপে ধরলো,এই ইংগিত দিলো যাতে রেহানা তার নাম টা বলে..

ছেলের ফুফু বললো,,মেয়ে কি বোবা নাকি কথা বলে না কেন..

শাওন কখনো এতো লাজুক মেয়ে দেখেনি,ও কখনো দেখেনি কোনো মেয়েকে এভাবে আবৃত করে রাখতে.. শাওন লক্ষ্য করলো রেহানার পা কাপছে...

রেহানা ভয় পাচ্ছে এখনই না সবার সামনে ওর মুখ খুলতে বলে...

আবার জিজ্ঞেস করলো তোমার নাম কি মা? এবার রেহানা বললো...... ধারাবাহিক ভাবে কওমী কলমে প্রকাশ করা হবে 

রেহানা কি পর্দা রক্ষা কর‍তে সক্ষম হবে? রেহানার কি এই পরিবারেই বিয়ে হবে,যেখানে ইসলাম বলতে কিছু নেই? নাকি রেহানার জন্য এমন একজন জীবন সঙ্গী রয়েছে.. ঠিক যেমনটি রেহানা চায়??

জানতে হলে কওমী কলমে চোখ রাখুন..

কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু,পরের পর্বগুলো পেতে কওমী কলমের সাথেই থাকুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post
icon যে কোন প্রয়োজনে টেলিগ্রাম চ্যানেলে মেসেজ দিন