০১] পবিত্র আল-কুরাআন এবং আল-হাদীসের আলোকে অহংকারী মানুষের পরিচয়ঃ
অহংকার কাকে বলে?মানব জীবন ধ্বংসকারী একটি মারাত্মক স্বভাব হলো অহংকার। এই স্বভাবের লোকেরা তাদের উন্নতি ও সফলতা বেশিদিন ধরে রাখতে পারে না! আত্মীয়-স্বজন এবং কাছের মানুষদের ভালোবাসা হারিয়ে ফেলে তারা! এদের মধ্যের অধিকাংশের দ্বারা প্রতিষ্ঠান, সমাজ, সংগঠন, রাষ্ট্র, এমনকি নিজ পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অহংকার পতনেন মূল
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম তিনটি ধ্বংসকারী বস্তু থেকে মানুষকে সাবধান করেছেন। আর সেগুলো হলোঃ (১) প্রবৃত্তি পূজারি হওয়া,(২)লোভের দাস হওয়া এবং (৩) অহংকারী হওয়া। তিনি বলেনঃ ""এটিই হলো সবচেয়ে মারাত্মক।’' (মিশকাত, হাদিসঃ ৫১২২)
অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: إِيَّاكُمْ وَالْحَسَدَ، فَإِنَّ الْحَسَدَ يَأْكُلُ الْحَسَنَاتِ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ.
রাসূল সাঃ বলেন হিংসা হতে দূরে থাকো কেননা হিংসা নেকিকে ধ্বংস করে দেয়, যেমন আগুন শুকনো কাট-লাকরিকে ধ্বংস করে দেয়।
অহংকার হিংসা থেকে বাচার দোয়াঃ
কোরআনে অহংকার থেকে বাচার দোয়া শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতি মোনাজাতের সময় এই দোয়াটি পড়ুন
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ
হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে আগ্রহী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি দয়ালু, পরম করুণাময়।(সূরাঃ হাশর,১০)
যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন অহংকার থেকে বেচে থাকার, অহংকারী ব্যাক্তি কখনো মানসিক শান্তি পাইনা, সব সময় কেমন অস্থিরতা অনুভব হবে,
তাই কারো প্রতি অহংকার করে নিজের মানসিক শান্তি নষ্ট করবেন না!
মানুষের মধ্যে যেসব নিদর্শন থাকলে বোঝা যাবে তিনি একজন অহংকারী মানুষ! এখানে অহংকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিদর্শন বর্ণনা/উপস্থাপন করা হলোঃ
🔸নিজেকে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করাঃ
সবার কাছে নিজেকে শ্রেষ্ঠ করে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা এবং অন্যকে তুচ্ছ ভাবা অহংকারের অন্যতম এবং প্রধান একটা নিদর্শন! আর এটাই মানব জীবন ধ্বংসের অন্যতম কারণ। ইবলিস সর্বপ্রথম নিজেকে বড় মনে করেছিল! যার কারণে মহান আল্লাহ তাকে অভিশাপ দিয়েছেন। হযরত আদম(আঃ)-কে সাজদা দেওয়ার নির্দেশের বিরোধিতায় সে আল্লাহকে যুক্তি দেখিয়ে বলেছিলঃ ""আপনি আমাকে আ|গুন থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং আদমকে সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে।'' (সুরা আরাফঃ ১২)
"অতএব, আমি কি তাকে সাজদা করব! যাকে আপনি মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন? (সুরা ইসরাঃ ৬১)
ইবলিসের এই অ|হংকা|রের শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ তাকে বলেনঃ বের হয়ে যাও এখান থেকে। কেননা তুমি অভিশপ্ত। (সূরা সোয়াদঃ ৭৬)
🔸 সত্য প্রত্যাখ্যান করাঃ
মানুষ কখনো কখনো নিজেকে শ্রেষ্ঠ করে চিত্রিত করার জন্য সত্যকে চাপা দেয়! এর জন্য অন্যের অবদানগুলো নিজের বলে চালিয়ে দেয়! অন্যকে দাবিয়ে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় তাকে তুচ্ছ করে চিত্রিত করে! এটাও মানুষকে ধ্বংস ও বরবাদ করে দেয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ওই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার অন্তরে কণা পরিমাণ অহংকার রয়েছে।
জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেনঃ লোকেরা চায় যে তার পোশাক সুন্দর হোক, তার জুতা জোড়া সুন্দর হোক! জবাবে তিনি বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ সুন্দর। তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার হলো সত্যকে দম্ভের সঙ্গে পরিত্যাগ করা এবং মানুষকে তুচ্ছ জ্ঞান করা। (মুসলিমঃ ৯১)
🔸নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবাঃ
দুনিয়ার প্রত্যেক মানুষ আল্লাহর দয়ায় চলে। কাউকেই আল্লাহ পাক স্বয়ংসম্পূর্ণ করেননি! তাই যারা নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ ভেবে অন্যকে অবজ্ঞা করে, তাদের ব্যাপারে রয়েছে কঠোর হুঁশিয়ারি। পবিত্র আল-কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ মানুষ অবশ্যই সীমা লঙ্ঘন করে। কারণ সে নিজেকে অভাবমুক্ত মনে করে। (সূরা আলাকঃ ৬-৭)
🔸হাঁটাচলায় বড়ত্ব প্রকাশ করাঃ
একবার উবাই ইবনু কাব (রাঃ)-এর পেছনে পেছনে একদল লোককে চলতে দেখে খলিফা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) তাঁকে চাবুক দিয়ে আঘাত করলেন!
এতে চমকে উঠে তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ ব্যাপার কী হে আমিরুল মুমিনিন! এর জবাবে খলিফা বলেনঃ "এটা অনুসরণকারীর জন্য লাঞ্ছনাকর এবং অনুসৃত ব্যক্তিকে ফিতনায় (অহংকারে) নিক্ষেপকারী। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাঃ ৩১২৪৪)
🔸কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করাঃ
অর্থ-সম্পদ, সৌন্দর্যের কারণে অন্যের প্রতি অন্তরে কোনো তুচ্ছভাব উদ্রেক হওয়াটাও অহংকারের লক্ষণ। একদিন সাহাবি আবু জর গিফারি (রাঃ) হাবশি বেলাল (রাঃ) কে তাঁর কালো মায়ের দিকে ইঙ্গিত করে তাচ্ছিল্য করলে, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে ধমক দিয়ে বলেনঃ হে আবু জর! তুমি তাকে, তার মায়ের নামে তাচ্ছিল্য করলে? তোমার মধ্যে জাহেলিয়াত রয়েছে। (বুখারিঃ ৩০)।
একইভাবে অধীনদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করাও মারাত্মক গুনাহ।
🔸প্রভাব খাটিয়ে অন্যের হক নষ্ট করাঃ
এটি হচ্ছে অ|হংকা|রের একটি বড় নিদর্শন! আর এর শাস্তি অত্যন্ত লাঞ্ছনাকর। অযথা বা অন্যায়ভাবে কারো মর্যাদার বা সম্মানহানি করলে কি|য়াম|তের দিন অ|হংকা|রী ব্যক্তিকে পিঁপড়াসদৃশ করে লাঞ্ছনাকর অবস্থায় হাঁটানো হবে! (তিরমিজিঃ ২৪৯২)
🔸অহেতুক জেদ করাঃ
অনেকেই আছে নিজের ভুল কখনো স্বীকার করে না বা স্বীকার করতে চায় না এবং নিজের ভুলগুলো অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়! আবদুর রহমান বিন মাহদি (রহঃ) বলেনঃ
আমরা এক জানাজায় উপস্থিত ছিলাম। সেখানে তখন ওবায়দুল্লাহ বিন হাসান (রহঃ)ও উপস্থিত ছিলেন! যিনি তখন রাজধানী বাগদাদের বিচারপতির দায়িত্বে রত ছিলেন। আমি তাঁকে একটি মাস"আলা জিজ্ঞেস করলে তিনি ভুল জবাব দেন। তখন আমি বললামঃ "আল্লাহ আপনাকে সংশোধন হওয়ার তাওফিক দিন! এ মাস'আলার সঠিক জবাব হলো এই, এই। তখন তিনি কিছুক্ষণ দৃষ্টি অবনত রাখেন। অতঃপর মাথা উঁচু করে দুইবার বলেনঃ এখন আমি প্রত্যাবর্তন করলাম এবং আমি লজ্জিত! অতঃপর তিনি বলেনঃ ""ভুল স্বীকার করে, হকের লেজ হওয়া আমার কাছে অধিক প্রিয়, বাতিলের মাথা হওয়ার চেয়ে।'' (তারিখু বাগদাদঃ ১০/৩০৮)
✍️ সুতরাং আমাদের সবার উচিত মহান আল্লাহর জন্য এগুলোসহ অ|হংকা|র সম্পর্কিত সকল ধরণের কথা-কাজ, আচার-আচরণ ও চলাফেরা ত্যাগ করা এবং সকল সময়ই বিনয়ী হওয়া!!
০২] মিলিয়ে নিন আপনার নিজের সাথে! মিলে গেলে বুঝবেন, আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরী!
●● ০১) কখনো দৃরে থাকলে কিংবা কাছে থাকলে প্রিয় মা-বাবাকে একটি ফোন দেওয়া, একটু সময় দেওয়া, একটু কথা বলা, একটু মিস করা, মনে অনুভব করা ইত্যাদি করার সময় যদি না থাকে...! অথচঃ বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে অযথা আড্ডাবাজি করার সময়ের অভাব নেই
এমন হলে অবশ্যই আপনার মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে এবং তা যত দ্রুত সম্ভব করতে হবে। না হলে ধ্বংস অনিবার্য!!
●● ০২) ঘন্টার পর ঘণ্টা খেলা দেখছেন, গেইম খেলছেন, অ্যাসাইনমেন্ট করছেন.! অথচঃ সালাত পড়ার সময় নেই! আর পড়লেও খুবই তাড়াহুড়ো করে পড়ছেন তাহলে নিশ্চয়ই আপনার মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেছে! দ্রুত আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করুন! না হলে কিন্তু আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচার কোন উপায় থাকবে না!!●● ০৩) রেস্টুরেন্টে খেয়ে ওয়েটারকে ১০০ টাকা বকশিস দিচ্ছেন..! অথচঃ রেস্টুরেন্টের সামনে দাড়িয়ে থাকা একটি অসহায় ভিক্ষুকটিকে মাত্র ১০টি টাকা দিতে পারছেন না,এমন হলে আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করা জরুরী হয়ে পড়েছে!!
●● ০৪) ছেলেমেয়ে কিংবা ভাইবোনদেরকে ইংলিশ, অংক, বিজ্ঞান ইত্যাদি পড়ানোর জন্যে হাজার হাজার টাকা ফি দিতে পারছেন! অথচ কুরআন শিক্ষার জন্য, কিংবা পবিত্র মসজিদের ইমাম সাহেবের মাসিক সম্মানির জন্য, কিংবা কোন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের জন্যে ব্যয় করতেই চোখ মাথায় উঠে যায় এমন হলে নিঃসন্দেহে আপনার মানসিকতা পূর্ণ ভাবে নষ্ট হয়ে গেছে! অবশ্যই আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করা জরুরী!!●● ০৫) কোনো নামী-দামী শপিং মলে এক হাজার টাকার পন্য দু' হাজার টাকায় কিনতে পারছেন! অথচ খেটে খাওয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সাথে দশ/বিশ টাকার জন্যে মন্দ আচরণ করেন, -তাহলে বুঝতে হবে, সত্যিই আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরী!
●● ০৬) উবার/রেন্ট-এ-কার এর জন্যে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে পারেন! আবার ২০০ টাকার বাস ভাড়ার রাস্তায় বাসে না গিয়ে বরং ২,০০০ টাকা দিয়ে কার নিয়ে যেতে পারেন.....! কিন্তু রিক্সাওয়ালা ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাইলেই তার সাথে দূর্ব্যবহার করা শুরু করেন,এমন হলে কিন্তু মস্ত বড় বিপদ! কেননা, আপনার মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেছে এবং তা পরিবর্তন না করলে ধ্বংস অনিবার্য!!
●● ০৭) শরীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য হাজার হাছার টাকার কসমেটিক্স/প্রসাধনী/ফেইসওয়াস/সোপ ব্যবহার করছেন......! অথচঃ সম্পদ পবিত্র করার জন্য দরিদ্রকে তাদের হক্ব বা যাকাত দিতে পারেন না! আর দিলেও হিসাব করে পরিপূর্ণ যাকাত না দিয়ে বরং নিম্ন মানের জামা-কাপড় বা নিম্ন মানের শাড়ি-লুঙ্গি দিয়ে যাকাত দেওয়ার নামে একধরণের লোক দেখানো ফটোশেসনের ব্যবস্থা করছেন.
এরূপ হলে বুঝতে হবে যে, নিঃসন্দেহে আপনার মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে অতিদ্রুত আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে এবং সাথে সাথে মহান আল্লাহ তা'আলার কাছে তাওবা-ইস্তিগফার এবং বিনীত ভাবে রোনাজারী করতে হবে!!
●● ০৮) মানুষকে খুশি করার জন্যে দিনরাত বিভিন্ন প্ল্যান, তোষামোদি এবং আত্মসমর্পন ইত্যাদি করেই যাচ্ছেন! কিন্তু স্বীয় স্রষ্টাকে তুষ্ট করার মতো কোন প্ল্যান-প্রোগ্রাম-পেরেশানী এবং মানসিকতা কিছুই নেই-তাহলে অবশ্যই, অবশ্যই এবং অবশ্যই আপনার মানসিকতা একটুও ঠিক নেই! আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করুন দ্রুত!!
●● ০৯) হারাম জেনেও নাটক, নভেল, উপন্যাস পড়ে অথবা গান-বাদ্য শুনে শতশত ঘন্টা সময় কাটাচ্ছেন! অথচঃ কোন দ্বীনী বই পড়ার বা কুরআন তিলাওয়াত করার বা শোনার বা হাদীস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার কোন সময়ই আপনার নেই -ইন্না-লিল্লাহ! আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করা এতোটাই জরুরী! যতটা জরুরী বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করা!!
●● ১০)একাডেমিক বই কেনার জন্য বাসা থেকে হাজার হাজার টাকা নিতে পারেন! বাট ইসলামিক কোন বই মাসে তো ভালো, বছরেও ৩/৪ টা নিতে না পারলে বুঝা যায়, আপনার ইসলামের প্রতি জানার কোন ধরণের আগ্রহ নেই..এমন হলে অবশ্যই আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করা জরুরী!!
●● ১১) মানুষের বিষোদ্গার করার অফুরন্ত সময় রয়েছে! কারো দোষ-ক্রুটি খোঁজার হাজারো অজুহাত রয়েছে অথচঃ একজন মুসলিমকে ভালোবাসার, ক্ষমা করে দেওয়ার, সাধ্যানুযায়ী সাহায্য-সহযোগীতা করার কোন সময় বা ঔদার্য্য দেখাতে পারছেন না, তাহলে বুঝৃ নিতে হবে, আপনার মানসিকতার পরিবর্তন করা খুবই জরুরী! না হলে ধ্বংস অনিবার্য!!
▪ সুতরাং চিন্তাকে পরিশুদ্ধ করুন......!
▪ অসহায় ও দূর্বলদের পাশে দাঁড়ান.........!!
▪ ইয়াতীম, অসহায় ও দুর্বলদের সাথে উত্তম এবং সহাস্য আচরণ করুন.......!!
ইয়া আল্লাহ তা‘আলা! আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার এবং মেনে চলার এবং সকল প্রকার অহংকার থেকে বেঁচে থাকার ও সর্বাবস্হায়ই বিনয়ী হবার তাওফীক দান করুন, আমীন
إرسال تعليق