পবিত্র মুহাররম মাসে আমাদের করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন!

""মুহাররামুল হারাম” বলা হয়েছে আরবী বছরের বা ইসলামী বছরের বা চন্দ্র বছরের বা হিজরী সালের প্রথম মাসকে। অর্থাৎ সন্মানিত মুহাররাম মাস। 

আল্লাহ তা‘আলা যে চারটি মাসকে অত্যন্ত বেশী সন্মানিত করেছেন, তার মধ্যে মুহাররাম মাস রয়েছে। আগের উম্মতের জন্য সবচেয়ে সন্মানি রোযা ছিল এই মাসের রোযা। একে আশুরার রোযা বলা হয়।

ফরয রোযার পরে তাদের নিকট সবচেয়ে দামী ছিলো আশুরার রোযা। আর আমাদের জন্য ফরয রোযার পরে নফল রোযার মধ্যে সবচেয়ে দামী হলো আরাফার রোযা (যিলহাজ্জ মাসের ৯ম তারিখ) এবং এই মুহাররমের দশ তারিখের রোযা! আশুরার রোযা রাখার কারণে পেছনের যিন্দেগীর এক বছরের গুনাহ মাফ হয় মর্মে সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।

ইয়াহুদিরা বলে, এটি মুসা(আঃ) এর যুগ থেকে শুরু হয়েছে। আসলে তা নয়! আর মুসলমান নামধারী শি‘আ, যারা সত্যিকার অর্থে কা ফি র, তারা বলে বেড়ায়, আশুরা সন্মানী ইমাম হুসাইন(রাঃ) এর সময় থেকে। এই শি‘আদের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সমাজের অত্যন্ত সরলমনা কিছুসংখ্যক ইলমবিহীন সাধারণ মুসলমান তাই বিশ্বাস করে বসে আছে! তাদের ধারণা এই দিনে ইমাম হুসাইন(রাঃ) ও তাঁর সাথীবৃন্দ শহীদ হয়েছেন, তাই এদিনের এতো মর্তবা।

অথচ আশুরার ফযীলত শুরু হয়েছে আদম(আঃ) এর যুগ থেকে। আগেই বলা হয়েছে, আগের উম্মতের জন্য এই দিনে রোযা রাখা নফলের দিক দিয়ে অনেক দামী এবং আমাদের নাবী সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এই মাসের মর্তবার ব্যপারে ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর শহীদ হওয়ার বহু আগেই বলে গেছেন। সুতরাং যদি এভাবে বলা হয় যে, এই দিনটি আগে থেকেই দামী, আর আল্লাহ রব্বুল আ'লামীন সকল শহীদের সর্দার ইমাম হুসাইন(রাঃ) এর মর্যাদা আরো বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই তাঁর শহীদের জন্য এই দিনকে পছন্দ করেছেন। এতে একদিকে যেমন সঠিক কথা বলা হলো এবং অপরদিকে ইমাম হুসাইন(রাঃ) এর সন্মানকে সকল মানুষের নজরে আরো উচুঁ করে তুলে ধরা হলো। 

যেমনঃ আমাদের সকলেরই মৃত্যু আসবে। আল্লাহ যদি কোন মুমিনের মৃত্যু শুক্রবারে নির্ধারণ করেন, এর দ্বারা ঐ মুমিনের মর্তবা বাড়বে, শুযক্রবারের নয়! ঠিক তেমনি যদি সোমবারে কেউ মৃত্যুবরণ করেন, তবে আরো দাম বাড়লো। শুক্রবার থেকে সোমবারে মৃত্যু মুমিনের জন্য আরো বেশী বারাকাতময়! যাই হোক এই মাসে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় আমল আছে, তার বিষয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

আশুরাঃ তাৎপর্য, ফযীলত,করণীয় বর্জনীয়ঃ

তাৎপর্য,

পবিত্র আশুরা মুহাররম মাসের ১০ তারিখকে বলা হয়। ইসলাম ধর্মে এই দিবসটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এই দিনে ইসলামের অনেক ঐতিহাসিক ও তাৎপর্য পূর্ণ ঘটনাবলী সংঘটিত হয়েছে।

যেমনঃ হযরত আবূ হুরাইরা(রাঃ) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে এসেছে যে, "(একদা) নাবী কারীম সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম ইয়াহুদীদের কতিপয় এমন লোকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন, যারা আশুরার দিনে রোযা রেখেছিল। নাবী কারীম সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “এটা কিসের রোযা?” উত্তরে তারা বললঃ “এই দিনে আল্লাহ তা‘আলা হযরত মূসা(আঃ) এবং বনী ইসরাঈলকে ডুবে যাওয়া থেকে উদ্ধার করেছিলেন। (অন্য বর্ণনায় আছে ফিরআউনের নি|র্যাতন থেকে মুক্ত করেছিলেন) এবং ফিরআউনকে দল-বল সহ নিমজ্জিত করেছিলেন। আর এই দিনেই হযরত নূহ(আঃ) এর কিশতী জূদী পর্বতে স্থির হয়েছিল। ফলে এই দিনে হযরত নূহ(আঃ) এবং হযরত মূসা(আঃ) এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নফল রোযা রেখেছিলেন। তাই আমরাও এই দিনে রোযা রাখি।” তখন নাবী কারীম সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ "মূসা(আঃ)-এর অনুসরণের ব্যাপারে এবং এই দিনে রোযা রাখার ব্যাপারে আমি তোমাদের চেয়ে আরো বেশী হক্বদার।” অতঃপর (তিনি) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন (আশুরার দিন) রোযা রাখেন এবং সাহাবাদেরকেও রোযা রাখতে আদেশ করেন।" (বুখারীঃ ২০০৪, মুসলিমঃ ১১৩০, মুসনাদে আহমাদঃ ৩৬০)

আশুরার রোযার ফযীলতঃ🔰

০১. হযরত আবূ কাতাদাহ(রাঃ)থেকে বর্ণিত যে, নাবী কারীম সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন -“আমি আশাবাদী যে, আশুরার দিনের রোযার উসীলায় আল্লাহ তা‘আলা অতীতের এক বৎসরের গুনাহ মাফ করে দিবেন।” -(তিরমিযীঃ ৭৫১)

০২. হযরত আবূ হুরাইরা(রাঃ)থেকে বর্ণিত অপর এক হাদীসে নাবী কারীম সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,-“রমযানের রোযার পর মুহাররম মাসের রোযা সর্বোত্তম।” (মুসলিমঃ হাঃ নং ১১৬৩)

এ মাসে করণীয়ঃ 🔰

০১. আশুরার দিনে রোযা রাখা। তবে এর সাথে নয় তারিখ বা ১১ তারিখ মিলিয়ে রাখা। কারণ নাবী কারীম সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ “তোমরা আশুরার দিনে রোযা রাখ। তবে এ ক্ষেত্রে ই য়া হু দী দে র থেকে ভিন্নতা অবলম্বন করতে তোমরা সবাই আশুরার পূর্বে অথবা পরের একদিন সহ রোযা রাখবে।” (মুসনাদে আহমাদঃ ২৪১)

উল্লেখ্য, হযরত আহমদ ইবনে হাম্বল(রহঃ) বলেছেনঃ "যদি সম্ভব হয়, তাহলে ৯, ১০ ও ১১ তারিখ রোযা রাখবে। যাতে হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী দশ তারিখের আগের দিন এবং পরের দিন দশ তারিখের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়।"

০২. এই দিন বেশী বেশী তাওবা-ইস্তিগফার করা এবং বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা, দরূদ পাঠ করা এবং বেশি বেশি দু'আ করা! কারণ, নাবী কারীম সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ-"মুহাররম হলো আল্লাহ তা‘আলার (নিকট একটি মর্যাদাবান) মাস। এই মাসে এমন একটি দিন আছে, যাতে তিনি অতীতে একটি সম্প্রদায়কে ক্ষমা করেছেন এবং ভবিষ্যতেও অপরাপর সম্প্রদায়কে ক্ষমা করবেন।" আর সেই দিনটি আশুরার দিন হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী!--(তিরমিযীঃ ৭৪১)

০৩. হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে,"এই দিনে নিজের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী নিজ পরিবারের জন্য সাধ্যানুযায়ী খরচ করে উন্নত ও ভালো খাবারের ব্যবস্থা করলে, এর উছিলায়/বারাককতে মহান আল্লাহ পাক সারা বছর সচ্ছলতার মধ্যে রাখবেন!"

এই হাদীসকে কেউ কেউ জয়ীফ হিসেবে উল্লেখ করলেও অধিকাংশের মত হোল, এর উপর আমল করা যায় বা যাবে! 

০৪. এই মাসে আইয়্যামে বীযের নফল রোযা রাখা! আইয়্যামে বীযের রোযা হলো, এমাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখ!

৫. দ্বীনের খাতিরে এই দিনে হযরত হুসাইন(রাঃ) যে কঠিন ত্যাগ-তিতিক্ষা প্রদর্শন করেছেন তা থেকে সকল মুসলমানের দ্বীনের জন্য যে কোন ধরণের ত্যাগ ও কুরবানী পেশ করার শিক্ষা গ্রহণ করা।

আশুরার দিনে বর্জনীয় 🔰

০১. তা’যিয়া বানানোঃ 

অর্থাৎ, হযরত হুসাইন (রাঃ)এর নকল কবর বানানো! এটা বস্তুত এক ধরণের ফা|সেকী এবং শি|রকী কাজ। কারণ, মূর্খ লোকেরা ‘হযরত হুসাইন(রাঃ) এতে সমাসীন হন’ এই বিশ্বাসে এর পাদদেশে নযর-নিয়ায পেশ করে, এর সামনে হাত জোড় করে দাঁড়ায়, এর দিকে পিঠ প্রদর্শন করাকে তারা বেয়াদবী মনে করে, তা’যিয়ার দর্শনকে ‘যিয়ারত’ বলে আখ্যা দেয় এবং এতে নানা রকমের পতাকা এবং ব্যানার টাঙ্গিয়ে মিছিল করে; যা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয ও হা|রাম। এছাড়াও আরো বহুবিধ কুপ্রথা এবং গর্হিত কাজের সমষ্টি হচ্ছে এ তা’যিয়া। (ইমদাদুল ফাতাওয়াঃ ৫/২৯৪,৩৩৫, কিফায়াতুল মুফতীঃ ৯/৩২, ফাতাওয়ায়ে রহীমিয়াঃ ২/৩৪৩)

কর্তব্যঃ

০১] তা’যিয়ার সামনে যে সমস্ত নযর-নিয়ায পেশ করা হয় তা গাইরুল্লাহর নামে উৎসর্গ করা হয় বিধায় তা খাওয়া সকল মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য হা|রাম। (সূরা মাইদাহঃ ৩)

০২. মর্সিয়া বা শোকগাঁথা পাঠ করাঃ 

এর জন্য মজলিস করা এবং তাতে অংশগ্রহণ করা সবই নাজায়িয। (ইমদাদুল ফাতাওয়াঃ ৫/২৯৪, কিফায়াতুল মুফতীঃ ৯/৩২, ৪২)

০৩. ‘হায় হুসেন’, ‘হায় আলী’ ইত্যাদি বলে বলে বিলাপ এবং মাতম করা এবং ছুরি মেরে নিজের বুক ও পিঠ থেকে রক্ত বের করা। এগুলো করনেওয়ালা, এর আয়োজক সহ এর দর্শক ও শ্রোতা উভয়ের প্রতি নাবী কারীম সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম অভিসম্পাত করেছেন। (আবূ দাউদঃ ৩১২, ইবনে মাজাহঃ ১৫৮৪)

০৪. কারবালার সকল শহীদগণ পিপাসার্ত অবস্থায় শাহাদতবরণ করেছেন, তাই তাঁদের পিপাসা নিবারণের জন্য বা অন্য কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র এই দিনে বিভিন্ন লোকদেরকে পানি ও শরবত পান করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। -(ইমদাদুল ফাতাওয়াঃ ৫/২৮৯, কিফায়াতুল মুফতীঃ ৯/৪০)

০৫. হযরত হুসাইন(রাঃ) ও তাঁর স্বজনদের উদ্দেশ্যে ঈছালে সাওয়াবের জন্য বিশেষ করে এই দিনটিতে খিচুড়ি পাকিয়ে তা আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যান্য গরীব মিসকীনকে খাওয়ানো এবং বিলানো বৈধ। কিন্তু একে কেন্দ্র করে যেহেতু সাধারণ মানুষ নানাবিধ কু-প্রথার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে, তাই তাও নিষিদ্ধ ও না-জায়িয। -(কিফায়াতুল মুফতীঃ ৯/৪০)

০৬. হযরত হুসাইন(রাঃ)-এর নামে ছোট ছোট কিছু বাচ্চাদেরকে ভিক্ষুক বানিয়ে ভিক্ষা করানো। এটা করিয়ে মনে করা যে, ঐ বাচ্চা দীর্ঘায়ু হবে। এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ধোঁকাবাজি বিষয়ক কু-প্রথা ও বিদ‘আত। যা সম্পূর্ণ হা|রাম ও নিষিদ্ধ! -(ইসলাহুর রুসূম)

০৭. তা’যিয়ার সাথে ঢাক-ঢোল ও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো হা|রাম। -(সূরায়ে লুকমানঃ ৬)

০৮. আশুরার দিনে শোক পালন করা; চাই তা যেকোন সূরতেই হোক। কারণ, শরীয়ত শুধুমাত্র স্বামীর মৃত্যুর পর বিধবা স্ত্রীর জন্য ৪ মাস ১০ দিন,আর বিধবা গর্ভবতীর জন্য সন্তান প্রসব পর্যন্ত এবং অন্যান্য সকল আত্মীয়-স্বজনের মৃত্যুতে সর্বোচ্চ ৩ দিন শোক পালনের অনুমতি দিয়েছে। এই সময়ের পর শোক পালন করা জায়িয নেই। আর উল্লেখিত শোক পালন এগুলোর কোনটার মধ্যে পড়ে না। -(বুখারীঃ ৫৩৩৪, ৫৩৩৫, ৫৩৩৬, ফাতাওয়ায়ে রহীমিয়াঃ ২/৩৪৪)

■ উল্লেখ্য যে, শরীয়ত কর্তৃক অনুমোদিত শোক পালনের অর্থ হলো, শুধুমাত্র সাজ সজ্জা বর্জন করা। শোক পালনের নামে যাচ্ছেতাই করার অনুমতি ইসলামী শরী‘আতে নেই। ---(দুররে মুখতারঃ ২/৫৩০)

০৯. শোক প্রকাশ করার জন্য কালো ও সবুজ রঙের বিশেষ পোশাক পরিধান করা নিষিদ্ধ। ---(ফাতাওয়ায়ে রহীমিয়াঃ ২/৩৪৪)

১০. এই দিনের গুরুত্ব ও ফযীলত বয়ান করার জন্য মিথ্যা এবং জা‘ল হাদীস বর্ণনা করা কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ। কারণ হাদীসে মিথ্যা হাদীস বর্ণনাকারীকে জা|হান্না|মে তার ঠিকানা বানিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ----(বুখারীঃ ১০৭)

এখানে আশুরার দিনের নিন্দিত এবং গর্হিত কতিপয় কাজসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নমুনা পেশ করা হলো মাত্র। 

■■ মূলকথা/শেষ কথাঃ 

বক্ষ্যমাণ পর্চার ‘করনীয়’ শিরোনামের অধীনে উল্লেখিত ৫টি আমল ব্যতীত এই দিনে/মাসে আর কোন বিশেষ আমলের কথা শরী‘আতে প্রমাণিত নেই। তাই উল্লেখিত এই পাঁচটি কাজ ব্যতীত মুহাররম/আশুরাকে কেন্দ্র করে বিশেষ যে কোন কাজই করা হবে তা বিদ‘আত এবং মনগড়া আমল হিসেবে গণ্য হবে এবং এজন্য তাতে সওয়াবের পরিবর্তে তা অন্যায় ও পা|প হিসেবে বিবেচিত হবে! সুতরাং প্রত্যেকটি মু'মিন-মুসলিম নর-নারীর উচিত পবিত্র আশুরার পবিত্রতা রক্ষা করা এবং এ দিনের পরিপূর্ণ সম্মান ও মর্যাদার দিকে লক্ষ্য রাথা এবং কুরআন ও সূন্নাহভিত্তিক বিভিন্ন আমলের মাধ্যমে এ দিনটিকে অতিবাহিত বা উদযাপন করা!!

বিঃদ্রঃ

আলোচ্য নিবন্ধটি পবিত্র কুরআন ও সূন্নাহভিত্তিক স্পষ্ট দলিল সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। সুতরাং সব ধরণের উস্কানিমূলক, আক্রামনমূলক, হিং|সাত্মক এবং বিতর্কিত কথা ও মন্তব্য অগ্রহণীয়! তাই কেহ এ ধরণের কোন বাজে কথা ও মন্তব্য করবেন না! বিষয়টি সবার জন্য প্রযোজ্য!!

●● ইয়া আল্লাহ তা‘আলা! আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার ও মেনে চলার এবং সকল প্রকার শি|রক, বিদ‘আত এদং গু|নাহের কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল ও হিফাযত করুন(আ-মীন)।।

Post a Comment

Previous Post Next Post
icon যে কোন প্রয়োজনে টেলিগ্রাম চ্যানেলে মেসেজ দিন