বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর ৪৭তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা হতে মারহালা বিশেষে ২০-২৫% পর্যন্ত পরীক্ষার ফি কমানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই সাথে আসন্ন ৪৭তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা শুরু হবে ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ঈসাব্দ/০২ শাবান ১৪৪৫ হিজরি/৩০ মাঘ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ রোজ মঙ্গলবার।
আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাওয়া এ পরীক্ষায় অংশ নেবে মাদরাসার ছয় স্তরের শিক্ষার্থীরা।
সেই সাথে পরিক্ষার হল মার্কাযের আবেদনের শর্ত সমুহ প্রকাশ করেছে বেফাক বোর্ড,
বেফাকের নতুন মার্কায আবেদন করতে হলে পূরণ করতে হবে শর্ত সমুহ,
বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার মারকায প্রাপ্তির শর্তাবলি
১. মারকায আবেদনের জন্য বেফাকে ইলহাক হওয়ার পর কমপক্ষে ৩ বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা প্রাথমিক শর্ত ।২. পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবরে মাদরাসার প্যাডে মুহতামিমের সীল ও স্বাক্ষর সহ বিস্তারিত অবস্থা লিখে আবেদন করতে হবে।
৩. সাবেক মারকায মাদরাসার প্যাডে সিল স্বাক্ষরসহ অনাপত্তিপত্র দাখিল করতে হবে এবং সাবেক মারকায ও পার্শ্ববর্তী মারকাযের ক্ষতি না হয় এমন হতে হবে।
৪. মাদরাসা কমিটির মারকায আবেদন সম্বলিত রেজুলেশনের ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
৫. বেফাকের জেলা ও থানা কমিটির সভাপতি/সেক্রেটারীর সুপারিশ থাকতে হবে। অন্যথায় বিভাগীয় সাংগঠনিক
সম্পাদকের সুপারিশ থাকতে হবে।
৬. যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যথোপযোগী হওয়া এবং বেফাকের প্রকাশিত বই পড়ানো জরুরি।
৭. পরীক্ষার্থী সংখ্যা (পুরুষ) : দরসিয়াতের জন্য ঢাকা মহানগরী ২২৫ জন, ঢাকা মফস্বল ও জেলা শহর ১৫০ জন এবং মফস্বল
১২৫ জন। (মহিলা) : ঢাকা মহানগরী ১৫০ জন, ঢাকা মফস্বল ও জেলা শহর ১২৫ জন এবং মফস্বল ১০০ জন,
তাহফীযুল কুরআন ও ইলমুত তাজবীদ ওয়াল ক্বিরাআত মারকাযের জন্য ৫০ জন করে পরীক্ষার্থী হতে হবে।
৮. আবেদনকারী মাদরাসার ছাত্র সংখ্যা কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ হতে হবে ।
৯. আবেদনকৃত মারকায এবং পার্শ্ববর্তী মারকাযের দূরত্ব কতটুকু তা স্পষ্টভাবে লিখতে হবে।
১০.সানাবিয়া উলইয়া মারহালার নিচের কোন মাদরাসায় মারকায দেওয়া হবে না।
১১.অনাবাসিক মাদরাসায় মারকায দেওয়া হবে না।
১২.যে সকল মাদরাসা আবেদনকৃত মারকাযে পরীক্ষা দিবে তাদের মাদরাসার প্যাডে সিল স্বাক্ষরসহ সম্মতিপত্র জমা
দিতে হবে এবং এ সকল মাদরাসাকে তাদের সাবেক মারকাযের অনাপত্তিপত্র জমা দিতে হবে।
আরো পড়ুন
- ২০২৩ বেফাক পরিক্ষার সিলেবাস এবং ৪৭তম কেন্দ্রীয় বেফাক পরিক্ষার তারিখ ঘোষনা।
- ৪৭ তম কেন্দ্রীয় বেফাক পরিক্ষার প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন!
মারকাযসমূহের পালনীয় কর্তব্য
১. পরীক্ষার্থীর সংখ্যা-পরিমাণ প্রশস্ত পৃথক হল এবং প্রয়োজনীয় মানসম্মত (৬ফুট) তেপায়া থাকতে হবে যেন একটিতেপায়াতে ৩ জন লিখতে পারে।।
২. বহিরাগত পরীক্ষার্থী, ওস্তাদ ও অভিভাবকদের থাকা-খাওয়া এবং হলের নিকটেই প্রস্রাব-পায়খানার সুব্যবস্থা থাকতে হবে।
৩. নেগরানের জন্য পৃথক কামরা, পৃথক আলমারি এবং খাদেমের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ঐ রুমে অন্য কেউ থাকতে
পারবে না।
৪. মারকাযের সামগ্রিক শৃঙ্খলা বিধানের লক্ষ্যে প্রতি মারকাযে একটি মারকায কমিটি গঠন করতে হবে।
৫. সকল বিধান বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা জ্ঞাপন করে মারকাযওয়ালা মাদরাসার মুহতামিম একটি অঙ্গীকারপত্র দেবেন।
৬. বিগত ৭/৮/১৮ ঈ. তারিখের ইমতিহান কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত মুতাবিক দরসিয়াত মারকায (পুরুষ-মহিলা) মঞ্জুরির ফি,
ঢাকা মহানগর ২৪০০০/- ঢাকা মফস্বল ও জেলা শহর গুলোতে ১৫,০০০/- এবং মফস্বল এলাকায় ৯,০০০/- এককালীন প্রদান করতে হবে। তাহফীযুল কুরআন ও ইলমুল তাজবীদ ওয়াল ক্বিরাআত মারকায মঞ্জুরির ফি সকল ক্ষেত্রে ৯,০০০/-
এককালীন প্রদান করতে হবে।
৭. মহিলা মারকায আবেদনের ক্ষেত্রে ১ জন পুরুষ এবং ৩/৪ জন (প্রয়োজনে ততোধিক) মহিলা নেগরানের নামের তালিকা
নিবন্ধন ফরমের সাথেই জমা দেওয়া আবশ্যক ।
৮. মাদরাসার নামে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন সেট থাকতে হবে।
৯. ই-মেইল, অনলাইন, হোয়াটস অ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদির ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনার জন্য পারদর্শী লোক থাকতে হবে।
১০. কম্পিউটার, এক বা একাধিক ফটোকপি মেশিন এবং প্রিন্টার থাকতে হবে।
১১. বিদ্যুৎব্যবস্থা / জেনারেটর / আই.পি.এস.এর ব্যবস্থা থাকতে হবে।
১২.মারকায মাদরাসার মুহতামিম পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিন মাদরাসায় উপস্থিত থাকবেন।
বেফাকের সকল আপডেট পেতে নিয়মিত কওমী কলমে চোখ রাখুন, ধন্যবাদ
إرسال تعليق