অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিরাপদ রাখতে যে কাজ কখনোই করবেন না

কেউ কোন লিংক পাঠালে সাথে সাথে ক্লিক করবেন না, অনলাইনে যতজন বিপদে পরে তার ৬০% অপরিচিত লিংকে ক্লিক করে, তাই এই বিষয়টা বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবেন

ডিজিটাল পরিমণ্ডলে নানা ধরনের ঝুঁকি থাকে। ঠিকভাবে ব্যবহার করতে না জানলে সেই ঝুঁকির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। অনেকে না বুঝেই ডিজিটাল দুনিয়ায় এসে খেই হারিয়ে ফেলেন।

তাদের ব্যক্তিগত তথ্য অরক্ষিত থেকে যায়। তখন তারা যেন সব সময় একটা ঝুঁকির মধ্যে বাস করতে থাকেন। এ ধরনের ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সচেতন হতে হবে। সেইসঙ্গে এর থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ও জেনে রাখা জরুরি। 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন তা আগে থেকে জানতে হবে। সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে জানা না থাকার কারণে অনেকে বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা বেশি বিপদে পড়েন। যদি কোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখতে পান তবে সঙ্গে সঙ্গে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিতে হবে। 

অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য জানানোর বিষয়ে সতর্ক হোন। অজ্ঞতার কারণে অনেকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত করে ফেলেন যা তার জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহার আরও সচেতন হোন।

অনেকেই নতুন কোনো বন্ধু তৈরি করতে গিয়ে বিপদে পড়েন। বন্ধুর রূপ ধরে আসে ক্ষতিকর কেউ। কিন্তু তারা তা আগেভাগে বুঝতে পারেন না। তাই অনলাইনে অপরিচিত কারও সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সতর্ক হোন। ভালোভাবে না জেনে কাউকে বন্ধু করতে যাবেন না।

অনেকেই ফিশিং-এর পাল্লায় পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এক্ষেত্রে ফিশিং থেকে রক্ষা পেতে চাইলে ইমেইল কিংবা মেসেজে পাওয়া কোনো লিংকে ক্লিক করবেন না। কোনো ধরনের প্রলোভনেও পড়বেন না। নয়তো পরবর্তীতে আপনিই বিপদে পড়বেন।

আপনার একাউন্টের পাসওয়ার্ড শক্তিশালী ও আনকমন যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে একাউন্ট নিরাপদ রাখা সহজ হবে। টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন সিস্টেম চালু করে রাখুন। এতে অন্য কেউ চাইলেও আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে কেনাকাটা করার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এক্ষেত্রে শুধু নিরাপদ এবং স্বীকৃত মাধ্যম থেকে কেনাকাটা করতে হবে। 

ব্যক্তিগত একাউন্টের ক্ষেত্রে ‘প্রাইভেসি সেটিংস বা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়াসমূহ’ চালু করে রাখবেন। 

রিকভারি ইমেইল বা মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করে রাখুন। এক্ষেত্রে বিকল্প ইমেইল এবং নিজের মোবাইল নম্বরও ব্যবহার করতে পারবেন।

ম্যালওয়ার/র‍্যনসমওয়ার জাতীয় ক্ষতি থেকে বাঁচতে নিয়মিত তথ্য সংরক্ষণ (ডাটা ব্যাক-আপ) করতে হবে। পাশাপাশি ডিভাইসের সুরক্ষায় আপডেটেড এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

কেউ কোন লিংক পাঠালে সাথে সাথে ক্লিক করবেন না, অনলাইনে যতজন বিপদে পরে তার ৬০% অপরিচিত লিংকে ক্লিক করে,  তাই এই বিষয়ে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবেন

১৮+ কোন ছবি বা থাম্বনাইল লিংক সংযুক্ত কোন পোস্টে আপনাকে ট্যাগ করা হলে রিমুভ করে দিন,  সেটাতে প্রবেশ করবেন না,অধিকাংশ ফিসিং সাইট ১৮+ এ জাতীয় হয়ে থাকে দর্শককে আকৃষ্ট করার জন্য 

যেকোনো তথ্য, ফাইল কিংবা নতুন আপডেট ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। উৎসের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করে তবেই ডাউনলোড করুন।

আপডেট করা হয়েছে এমন এন্টি-ভাইরাস ব্যবহার করার মাধ্যমে ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ধন্যবাদ মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পোস্টি পড়ার জন্য,  ভালো লাগলে শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিন। 

২টি মন্তব্য

  1. নামহীন
    সুন্দর উপস্থাপনা, ভালো লাগলো
    1. Qawmi Kolom
      Qawmi Kolom
      ধন্যবাদ, কওমী কলমের সাথেই থাকুন