সইডেনে কুরআন পোড়ানোর ঘটনায় ধর্মীয় বিদ্বেষ ও গোঁড়ামি বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি) একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
বুধবার ‘বৈষম্য, শত্রুতা ও সহিংসতা উদ্রেককারী ধর্মীয় ঘৃণার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’ মর্মে প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়। প্রস্তাবের সপক্ষে ছিল বাংলাদেশসহ আরও ২৮ রাষ্ট্র। বিপক্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ ১২ দেশ। প্রস্তাবটি অনুমোদনে অনুপস্থিত দেশের সংখ্যা ৭টি। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে। জানায়, এটি মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। খবর আলজাজিরার। ঈদুল আজহার ছুটিতে কুরআন অবমাননার ঘটনাটি ঘটে। এ সময় স্টকহোমের প্রধান মসজিদের বাইরে এক ইরাকি অভিবাসী কুরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার বিশেষ বৈঠক শুরু হয়েছে জাতিসংঘে। পাকিস্তানের আহ্বানে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়।ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই বৈঠকে যোগ দেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ইসলামবিদ্বেষ, ঘৃণাত্বক বক্তব্য আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মানুষে মানুষে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে তুলছে। সহিংসতা উসকে দিচ্ছে।’ বৈঠকে মুসলিম বিশ্বের প্রতিনিধিরা বলেন, পবিত্র কুরআন মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত আবেগের বিষয়। কুরআন পোড়ানো মুসলিমদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
প্রস্তাবের পক্ষে ভোটদানকারী
আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, ক্যামেরুন, চীন, কিউবা, ইরিত্রিয়া, গ্যাবন, গাম্বিয়া, ভারত, আইভরি কোস্ট, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালাবি, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, পাকিস্তান, কাতার, সেনেগাল, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম।
প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোটদানকারী
বেলজিয়াম, কোস্টারিকা, চেক প্রজাতন্ত্র, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মন্টিনিগ্রো, রোমানিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র।
ভোটদানে বিরত ছিল যারা
বেনিন, চিলি, জর্জিয়া, হন্ডুরাস, মেক্সিকো, নেপাল ও প্যারাগুয়ে।
Source. Redmik News
إرسال تعليق