বিপদ-আপদে হতাশ না হয়ে এই সাতটি মূল্যবান উপদেশ সব সময় মাথায় রাখুন৷
●● ০১] যে কোন পরিস্থিতি মেনে নেয়ার মানসিকতা লালন করাঃ
প্রত্যেকের প্রয়োজন মুসিবত আসার পূর্বেই নিজকে মুসিবত সহনীয় করে তোলা, অনুশীলন করা এবং নিজেকে শুধরে নেয়া। কারণ ধৈর্য খুব কষ্টসাধ্য জিনিস, যার জন্য পরিশ্রম অপরিহার্য।
স্মর্তব্য যে, দুনিয়া অনিত্য, ভঙ্গুর ও ক্ষণস্থায়ী। এতে কোনো প্রাণীর স্থায়িত্ব বলে কিছু নেই। আছে শুধু ক্ষয়িষ্ণু এক মেয়াদ এবং সিমীত সামর্থ। এ ছাড়া আর কিছুই নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম পার্থিব জীবনের উদাহরণে বলেনঃ "পার্থিব জীবন ঐ পথিকের ন্যায়, যে গ্রীষ্মে রৌদ্রজ্জ্বল তাপদগ্ধ দিনে যাত্রা আরম্ভ করল, অতঃপর দিনের ক্লান্তময় কিছু সময় একটি গাছের নীচে বিশ্রাম নিল, ক্ষণিক পরেই তা ত্যাগ করে পুনরায় যাত্রা আরম্ভ করল।" -(মুসনাদে আহমাদঃ ২৭৪৪)
হে মুসলিম! দুনিয়ার সচ্ছলতার দ্বারা ধোঁকা খেও না! মনে করো না, দুনিয়া স্বীয় অবস্থায় আবহমানকাল বিদ্যমান থাকবে কিংবা পট পরিবর্তন বা উত্থান-পতন থেকে নিরাপদ রবে। অবশ্য যে দুনিয়াকে চিনেছে, এর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে, তার নিকট দুনিয়ার সচ্ছলতা মূল্যহীন।
●জনৈক বিদ্বান ব্যক্তি বলেনঃ"যে দুনিয়া থেকে সতর্ক থেকেছে ভবিষ্যত জীবনে সে অস্থির হয়নি। যে অনুশীলন করেছে, ফলে পরবর্তীতে তার পদস্খলন ঘটেনি। যে অবর্তমানে অপেক্ষমাণ ছিল বর্তমানে সে দুঃখিত হয়নি।"
মুদ্দা কথাঃ যে পার্থিব জগতে দীর্ঘজীবি হতে চায়, তার জন্য প্রয়োজন মুসিবতের জন্য ধৈর্য্যশীল এক হৃদয়।
●● ০২] হতাশ না হয়ে তাকদিরের উপর ঈমান রাখা.
যে ব্যক্তি মনে করবে তাকদির অপরিহার্য বাস্তবতা এবং তা অপরিবর্তনীয়।পক্ষান্তরে দুনিয়া সংকটময় ও পরিবর্তনশীল, তার আত্মা প্রশান্তি লাভ করবে।
দুনিয়ার উত্থান-পতন সুখ-দুঃখ স্বাভাবিক এবং নগন্য মনে হবে তার কাছে। আমরা দেখতে পাই, তাকদিরে বিশ্বাসী মুমিনগণ পার্থিব মুসিবতে সবচে' কম প্রতিক্রিয়াশীল, কম অস্থির ও কম হতাশাগ্রস্ত হন। বলা যায় তাকদিরের প্রতি ঈমান শান্তি এবং নিরাপত্তার ঠিকানা। তাকদির-ই আল্লাহর কুদরতে মোমিনদের হৃদয়-আত্মা নৈরাশ্য এবং হতাশা মুক্ত রাখে। তদুপরি চিরসত্যবাদী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীসে বিশ্বাস তো আছেইঃ
-"জেনে রেখ! সমস্ত মানুষ জড়ো হয়ে যদি তোমার উপকার করতে চায়, কোনও উপকার করতে পারবে না, তবে যতটুকু আল্লাহ তোমার জন্য লিখে রেখেছেন। আবার তারা সকলে মিলে যদি তোমার ক্ষতি করতে চায়, কোনও ক্ষতি করতে পারবে না, তবে যততুটু আল্লাহ তোমার কপালে লিখে রেখেছেন। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে, কিতাব শুকিয়ে গেছে।" -(তিরমিজীঃ ২৪৪০)
আমাদের আরো বিশ্বাস, মানুষের হায়াত, রিযিক তার মায়ের উদর থেকেই নির্দিষ্ট। আনাস রাদিআল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণিত, রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
"আল্লাহ তা8আলা গর্ভাশয়ে একজন ফেরেস্তা নিযুক্ত করে রেখেছেন, পর্যায়ক্রমে সে বলতে থাকে, হে প্রভু জমাট রক্ত, হে প্রভু মাংস পিণ্ড। যখন আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করার ইচ্ছা করেন, ফেরেস্তা তখন বলে, হে প্রভু পুঃলিঙ্গ না স্ত্রী লিঙ্গ? ভাগ্যবান না হতভাগা? রিযিক কতটুকু? হায়াত কতটুকু? উত্তর অনুযায়ী পূর্ণ বিবরণ মায়ের পেটেই লিপিবদ্ধ করে দেয়া হয়।" -(বুখারীঃ ৬১০৬; মুসলিমঃ ৪৭৮৫)
●একদা রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লামের সহধর্মিনী উম্মে হাবিবা রাদিআল্লাহু আনহা মুনাজাতে বলেনঃ -"হে আল্লাহ! আমার স্বামী রাসূল, আমার পিতা আবু সুফিয়ান ও আমার ভাই মুয়াবিয়ার দ্বারা আমাকে উপকৃত করুন।" তা শুনে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ -"তুমি নির্ধারিত হায়াত, নির্দিষ্ট কিছু দিন ও বণ্টনকৃত রিযিকের প্রাথর্না করেছ। যাতে আল্লাহ তা'আলা আগ-পাছ কিংবা কম-বেশী করবেন না। এরচে' বরং তুমি যদি
জা|হান্না|মের আ|গুন এবং কবরের আ|যাব থেকে নাজাত প্রার্থনা করতে, তাহলে তোমার জন্য কল্যাণকর এবং মঙ্গলজনক হত।" -(মুসলিমঃ ৪৮১৪)
●ইমাম নাববী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ "হাদীসের বক্তব্যে সুষ্পষ্ট। মানুষের হায়াত, রিযিক আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তার অবিনশ্বর জ্ঞান অনুযায়ী লিপিবদ্ধ এবং হ্রাস-বৃদ্ধিহীন ও অপরিবর্তনীয়।"
ইবনে দায়লামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উবাই ইবনে কাব রাদিআল্লাহু আনহুর নিকট আসেন এবং বলেনঃ -"আমার অন্তরে তাকদির সম্পর্কে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আমাকে কিছু বর্ণনা করে শোনান। হতে পারে আল্লাহ আমার অন্তর থেকে তা দূর করে দিবেন।"
তিনি বলেনঃ"আল্লাহ আসমান এবং জমিনবাসীদের শা|স্তি দিলে, জা|লেম হিসেবে গণ্য হবেন না। আর তিনি তাদের সকলের উপর রহম করলে, তার রহম-ই তাদের আমলের তুলনায় বেশী হবে। তাকদিরের প্রতি ঈমান ব্যতীত ওহুদ পরিমান স্বর্ণ দান করলেও কবুল হবে না। স্মরণ রেখ, যা তোমার হস্তগত হওয়ার তা কোনভাবেই হস্তচ্যুত হওয়ার সাধ্য রাখে না। এতদ্ভিন্ন অন্য আকিদা নিয়ে মৃত্যুবরণ করলে জা|হান্নাম অবধারিত।" তিনি বলেনঃ -"অতঃপর আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) এর কাছে আসি। তিনিও তদ্রূপ শোনালেন। হুযাইফাতুল য়ামান (রাঃ) এর কাছে আসি, তিনিও তদ্রুপ বললেন। যায়েদ বিন ছাবেত(রাঃ) এর কাছে আসি, তিনিও রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করে শোনালেন।"
মুদ্দা কথাঃ তাকদীরের উপর ঈমান ব্যতীত সব কিছুই বরবাদ।
●● ০৩] রাসূলু সাঃ আদর্শ পূর্বসূরীদের জীবন চরিত পর্যালোচনা করাঃ
পরকালে বিশ্বাসী আল্লাহ ভীরু গোটা মুসলিম জাতির জন্য আদর্শ রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ -"অবশ্যই তোমাদের জন্য রসূলু সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এফ মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ; তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।" -(সূরা আহযাবঃ ২১)
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীরাত চিন্তাশীল, গবেষকদের উপজীব্য ও শান্তনার বস্তু। তার পূর্ণ জীবনটাই ধৈর্য ও ত্যাগের দীপ্ত উপমা।
লক্ষ্য করুন, সল্প সময়ে মধ্যে চাচা আবু তালিব, যিনি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সকল
কা|ফির|দের অ|ত্যাচার প্রতিহত করতেন; একমাত্র বিশ্বস্ত সহধর্মিনী খাদিজা(রাঃ), কয়েকজন ঔরসজাত মেয়ে এবং ছেলে ইব্রাহিম(রাঃ) ইন্তেকাল করেন। চক্ষুযুগল অশ্রসিক্ত, হৃদয় ভারাক্রান্ত, স্মায়ুতন্ত্র ও অস্থিমজ্জা নিশ্চল-নির্বাক। এর পরেও প্রভুর ভক্তিমাখা উক্তিঃ "চোখ অশ্রুসিক্ত, অন্তর ব্যথিত, তবুও তা-ই মুখে উচ্চারণ করব, যাতে প্রভু সন্তুষ্ট, হে ইব্রাহিম! তোমার বিরহে আমরা গভীর মর্মাহত।" -(বুখারীঃ ১৩০৩)
আরো অনেক আত্মোৎর্সগকারী সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)গণ মারা যান, যাদের তিনি ভালবাতেন। যাঁরা তাঁর জন্য উৎসর্গ ছিলেন। এত সব দুঃখ-বেদনা তাঁর শক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ধৈর্য-অভিপ্রায়গুলো ম্লান করতে পারেনি।
তদ্রুপ যে আদর্শবান এসব পূর্বসুরীগণের জীবন চরিত পর্যালোচনা করবে, তাঁদের কর্মকুশলতায় অবগাহন করবে, সে সহসাই অবলোকন করবে, তারা বিবিধ কল্যাণ ও উচ্চ মর্যাদার অধিকারী একমাত্র ধৈর্য্যের সিঁড়ি বেয়েই হয়েছেন। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ -"নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য তাদের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে, যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রত্যাশা করে, আর যে মুখ ফিরিয়ে নেয়, (সে জেনে রাখুক) নিশ্চয় আল্লাহ তো অভাবমুক্ত, সপ্রশংসিত।" -(সূরা মুমতাহীনঃ ৬)
●▪উরওয়া ইবনে জুবায়েরের(রাঃ) এর ঘটনা! আল্লাহ তা'আলা তাঁকে এক জায়গাতে, এক সাথেই দুটি মুসিবত দিয়েছেন। পা কাটা এবং সন্তানের মৃত্যু। তা সত্ত্বেও তিনি শুধু এতটুকু বলেছেনঃ "হে আল্লাহ! আমার সাতটি ছেলে ছিল, একটি নিয়েছেন, ছয়টি অবশিষ্ট রেখেছেন। চারটি অঙ্গ ছিল, একটি নিয়েছেন, তিনটি নিরাপদ রেখেছেন। মুসিবত দিয়েছেন, নেয়ামতও প্রদান করেছেন। দিয়েছেন আপনি, নিয়েছেনও আপনি।"
উমর ইবনে আব্দুল আজিজ(রহঃ)এর একজন ছেলের ইন্তেকাল হয়। তিনি তার দাফন সেরে কবরের পাশে সোজা দাঁড়িয়ে গেলেন! লোকজন চারপাশ দিয়ে তাঁকে ঘিরে আছে, তিনি বলেনঃ -"হে বৎস! তোমার প্রতি আল্লাহ রহমত বর্ষণ করুন। অবশ্যই তুমি তোমার পিতার অনুগত ছিলে। আল্লাহর শপথ! যখন থেকে আল্লাহ তোমাকে দান করেছেন, আমি তোমার প্রতি সন্তুষ্টই ছিলাম। তবে আল্লাহর শপথ করে বলছি! তোমাকে এখানে অর্থাৎ আল্লাহর নির্ধারিত স্থান কবরে দাফন করে আগেরচে' বেশি আনন্দিত। আল্লাহর কাছে তোমার বিনিময়ে আমি অধিক প্রতিদানের আশাবাদী।"
মুদ্দা কথাঃ রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এবং পূর্বসূরীদের জীবন চরিত পর্যালোচনা করে তাঁর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা অপরিহার্য।
●● ০৪] মহান আল্লাহর রহমতের প্রসস্ততা ও করুণার ব্যাপকতার স্মরণ করাঃ
সত্যিকার মুমিন আপন প্রভুর প্রতি সুধারণা পোষণ করেন। হাদীসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ -"আমার ব্যাপারে আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী, আমি ব্যবহার করি।" -(বুখারীঃ ৬৭৫৬: মুসলিমঃ ৪৭২২)
●মুসিবত দৃশ্যত অসহ্য-কষ্টদায়ক হলেও পশ্চাতে তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে। তাই বান্দার কর্তব্য আল্লাহর সুপ্রসস্ত রহমতের উপর আস্থাবান থাকা। ইরশাদ হচ্ছেঃ -"এবং হতে পারে কোন বিষয় তোমরা অপছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।"-(সূরা বাকারাঃ ২১৬)
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "মু'মিনের বিষয়টি চমৎকার, আল্লাহ তা'আলা যা ফয়সালা করেন, তা-ই তার জন্য কল্যাণকর।" -(মুসনাদ - ২০২৮৩)
আল্লাহ তা'আলা মানব জাতিকে যে সমস্ত নিয়ামত ও অনুদান দ্বারা আবৃত করেছেন, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা, যাতে এ অনুভূতির উদয় হয় যে, বর্তমান মুসিবত বিদ্যমান নিয়ামতের তুলনায় বিন্দুমাত্র। আল্লাহ তা'আলা চাইলে মুসিবত আরো বীভৎস-কঠোর হতে পারত। তদুপরি আল্লাহ তা'আলা আরো যে সমস্ত বালা ও মুসিবত থেকে নিরাপদ রেখেছেন, যে সকল দুর্ঘটনা থেকে নাজাত দিয়েছেন, তা অনেক বড়, অনেক বেশী।
খিজির(আঃ) ও মুসা আলাইহিস সালামের ঘটনায় উল্লেখিত বালকটিকে, খিজির(আঃ) হ|ত্যা করেন। প্রথমে মূসা আলাইহিস সালাম আপত্তি জানান। খিজির(আঃ) এর অবহিত করণের দ্বারা জানতে পারেন, তার হ|ত্যায় কল্যাণ নিহিত রয়েছে। ইরশাদ হচ্ছেঃ -"আর বালকটির বিষয় হল, তার পিতা-মাতা ছিল মুমিন। অতঃপর আমি আশংকা করলাম যে, সে সীমালংঘন ও কুফরী দ্বারা তাদেরকে অতিষ্ঠ করে তুলবে। তাই আমি চাইলাম, তাদের রব তাদেরকে তার পরিবর্তে এমন সন্তান দান করবেন, যে হবে তার চেয়ে পবিত্রতায় উত্তম এবং দয়ামায়ায় অধিক ঘনিষ্ঠ।" -(সূরা কাহাফঃ ৮০-৮১(
এ প্রসঙ্গে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ -"খিজির আলাইহিস সালাম যে ছেলেটিকে হ|ত্যা করেছেন, তার জন্মই ছিল কা|ফির অবস্থায়, যদি সে বেঁচে থাকত সীমালঙ্ঘন ও অকৃতজ্ঞতা দ্বারা নিজ পিতা-মাতাকে হ|ত্যা করত।" (মুসলিমঃ ৪৮১১)
●কাতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ "তার জন্ম লাভে পিতা-মাতা উভয়ে যেমন আনন্দিত হয়েছে, তার মৃত্যুতে উভয়ে তেমন ব্যথিত হয়েছে। অথচ সে বেঁচে থাকলে, উভয়ের ধ্বং|সের কারণ হত। সুতরাং প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ও পরিতৃপ্ত থাকা।"
মুদ্দা কথাঃ সর্বাবস্হায়ই মহান আল্লাহর উপর রাজী-খুশী থাকা এবং তাঁর উপর সুধারণা রাখা অপরিহার্য।
●● ০৫] অধিকতর বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের দেখাঃ
অন্যান্য বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের দেখা, তাদের মুসিবতে স্মরণ করা। বরং অধিকতর বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির দিকে নজর দেয়া। এতে সান্ত্বনা লাভ হয়, দুঃখ দূর হয় ও মুসিবত হয় সহনীয়। হ্রাস পায় অস্থিরতা এবং নৈরাশ্যতা। জেনে রাখা ভালো যে, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "ধৈর্য অসম্ভব বা অসাধ্য কিছু নয়, যে র্ধৈয্যধারণ করে আল্লাহ তাকে ধৈর্য্যধারণের ক্ষমতা দান করেন।" -(বুখারীঃ ১৩৭৬)
●বিকলাঙ্গ বা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তি, তার চেয়ে কঠিন বিপদগ্রস্তকে দেখবে। একজনের বিরহ-কাতর, বেদানায় ব্যথিত ব্যক্তি, দুই বা ততোধিক বিরহে ও ব্যথিত ব্যক্তিকে দেখবে। এক সস্তানহারা ব্যক্তি, অধিক সন্তানহারা ব্যক্তিকে দেখবে। সব সন্তানহারা ব্যক্তি, অন্য পরিবারহারা ব্যক্তিকে দেখবে।
এক ছেলের মৃত্যু শোকে শোকাহত দম্পত্তি স্মরণ করবে নিরুদ্দেশ সন্তান শোকে কাতর দম্পত্তিকে- যারা স্বীয় সন্তান সর্ম্পকে কিছুই জানে না যে, জীবিত না মৃত। ইয়াকুব আলাইহিস সালাম ইউসুফ(আঃ)-কে হারিয়ে অনেক বছর যাবৎ পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে রাখেন। বৃদ্ধ এবং দুর্বল হওয়ার পর আবার দ্বিতীয় সন্তান হারান। প্রথম সন্তান হারিয়ে বলেছিলেনঃ -"সুতরাং (আমার করণীয় হচ্ছে) সুন্দর ধৈর্য। আর তোমরা যা বর্ণনা করছ সে বিষয়ে আল্লাহই সাহায্যস্থল।" (সূরা ইউসূফঃ ১৮)
দ্বিতীয় সন্তান হারিয়ে বলেনঃ "সে বলল, 'বরং তোমাদের নাফ্স তোমাদের জন্য একটি গল্প সাজিয়েছে, সুতরাং (আমার করণীয় হচ্ছে) সুন্দর ধৈর্য। আশা করি, আল্লাহ তাদের সকলকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবেন, নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।" -(সূরা ইউসূফঃ ৮৩)
ওলিদ ইবনে আব্দুল মালেক এর নিকট চোখ ঝলসানো, বিকৃত চেহারার একজন লোক এসে উপস্থিত হন। তিনি তার অবস্থা আপাদ-মস্তক পর্যবেক্ষণ করলেন। কিন্তু তার ভেতর অস্থিরতার কোনও আলামত পেলেন না। অতঃপর তার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন।
সে বললঃ "আমি অনেক সম্পদ, সন্তানের মালিক ছিলাম। একদা আমরা একটি ময়দানে রাত যাপন করি। অকস্মাৎ বিশাল এক মরুঝড় আমাদের আক্রমণ করে বসে। একটা উট, একজন সন্তান ছাড়া সব নিয়ে যায় সে। অবশেষে উটটিও পালিয়ে যেতে লাগল। সন্তানটি আমার কাছে, আমি সন্তান রেখে উট ধরতে গেলাম। সন্তানের কাছে ফিরে এসে দেখি, নেকড়ে বাঘ তার পেটে মাথা ঠুকে আছে, বাকি অংশ সাবাড়। তাকে রেখে উটের পিছু নেই, সে প্রচন্ড এক লাথি মারে, যদ্দরুণ আমার চেহারা বিকৃত হয়ে যায়, সাথে সাথে দৃষ্টিও চলে যায় চোখের। অবশেষে আমি সম্পদ এবং সন্তান ও দৃষ্টি শক্তিহীন এ দুনিয়াতে নিঃসঙ্গ বেঁচে রইলাম।" ওলিদ বললেনঃ -"তাকে উরওয়ার কাছে নিয়ে যাও; সে যাতে বুঝে, তার চে' অধিক বিপদগ্রস্ত লোকও এ পৃথিবীতে বিদ্যমান আছে।"
মুদ্দা কথাঃ যার যে অবস্থান তার উচিত তার চেয়ে নিম্ন শ্রেণীর কারো দিকে লক্ষ্য করা এবং তাকে দেখে ধৈর্যধারণ করা এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা।
●● ০৬] মুসিবত পুণ্যবাণ হওয়ার আলামতঃ
মুসিবত পুণ্যবাণ হওয়ার আলামত ও মহত্বের প্রমাণ। এটাই বাস্তবতা। একদা সাহাবী সাদ বিন ওয়াক্কাস(রাঃ) রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেনঃ হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম! দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত কে?
উত্তরে তিনি বলেনঃ "নবীগণ! অতঃপর যারা তাঁদের সাথে কাজে-কর্মে এবং বিশ্বাসে সামঞ্জস্যতা রাখে, অতঃপর যারা তাঁদের অনুসারীদের সাথে সামঞ্জস্যতা রাখে। মানুষকে তার দ্বীন অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়। দ্বীনি অবস্থান পাকাপোক্ত হলে পরীক্ষা কঠিন হয়। দ্বীনি অবস্থান দুর্বল হলে পরীক্ষাও শিথিল হয়। মুসিবত মুমিন ব্যক্তিকে পাপশূন্য করে দেয়, এক সময়ে দুনিয়াতে সে নিষ্পাপ বিচরণ করতে থাকে।" (তিরমিজীঃ ২৩২২)
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ "আল্লাহ যার সাথে কল্যাণের ইচ্ছা করেন, তার থেকে বাহ্যিক সুখ ছিনিয়ে নেন।"-(বুখারীঃ ৫২১৩; মুসলিমঃ ৭৭৮) তিনি আরো বলেনঃ -"আল্লাহ তা'আলা যখন কোন সম্প্রদায়কে পছন্দ করেন, তখন তাদেরকে বিপদ দেন ও পরীক্ষা করেন।" -(তিরমিজীঃ ২৩২০; ইবনে মাজাহঃ ৪০২১)
মুদ্দা কথাঃ সকল বালা-মুছিবতে ও আপদ-বিপদে মহান আল্লাহ পাক এর উপর সন্তুষ্ট থাকা এবং তাঁর উপর অবিচল থাকা।
●● ০৭] মুসিবতের বিনিময়ে উত্তম প্রতিদানের কথা স্মরণ করাঃ
মু'মিনের কর্তব্য হলো বিপদের মুহূর্তে প্রতিদানের কথা স্মরণ করা। এতে মুসিবত সহনীয় হয়। কারণ, সব কষ্টের পরিমাণ অনুযায়ী সওয়াব অর্জিত হয়। সুখের বিনিময়ে সুখ অর্জন করা যায় না! বরং সাধনার ব্রিজ পার হতে হয়। প্রত্যেককেই পরবর্তী ফলের জন্য নগদ শ্রম দিতে হয়। ইহকালের কষ্টের সিঁড়ি পার হয়ে পরকালের স্বাদ আস্বাদান করতে হয়। ইরশাদ হচ্ছেঃ -"কষ্টের পরিমাণ অনুযায়ী প্রতিদান প্রদান করা হয়।" -(তিরমিজীঃ ২৩২০)
একদা হজরত আবু বকর (রাঃ) ভীত-সত্রস্ত হালতে রাসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেনঃ-"হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম! কুরআনের এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর কীভাবে অন্তরে স্বস্তি আসে?" ইরশাদ হচ্ছেঃ
لَيْسَ بِأَمَانِيِّكُمْ وَلَا أَمَانِيِّ أَهْلِ الْكِتَابِ مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ وَلَا يَجِدْ لَهُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا
"না তোমাদের আশায় এবং না কিতাবীদের আশায় (কাজ হবে)। যে মন্দকাজ করবে তাকে তার প্রতিফল দেয়া হবে। আর সে তার জন্য আল্লাহ ছাড়া কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না।" (সূরা নিসাঃ ১২৩)
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ"হে আবু বকর! আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন। তুমি কি অসুস্থ হও না? তুমি কি বিষণ্ন্ন হও না? মুসিবত তোমাকে কি পিষ্ট করে না?" উত্তর দিলেন, অবশ্যই। বললেনঃ
"এগুলোই তোমাদের অপরাধের কাফফারা এবং প্রায়শ্চিত্ত।" -(মুসনাদঃ ৬৮)
আল্লাহ তা'আলা ধৈর্যশীল বিপদগ্রস্তদের জন্য উত্তম প্রতিদান তৈরী করেছেন। সব বালা-মুসিবতগুলো গু|নাহের কাফফারা এবং উচ্চ মর্যাদার সোপান বানিয়েছেন। আরো রেখেছেন যথার্থ বিনিময় এবং সন্তোষজনক ক্ষতিপূরণ।
জান্নাতের চেয়ে বড় প্রতিদান আর কি হতে পারে! এ জান্নাতেরই ওয়াদা করা হয়েছে ধৈর্য্যশীলদের জন্য। যেমন মৃগী রোগী মহিলার জন্য জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে- ধৈর্য্যধারণের শর্তে। আতা বিন আবি রাবাহ বর্ণনা করেনঃ "একদা ইবনে আব্বাস(রাঃ) আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে জান্নাতি মহিলা দেখাবো?" আমি বললাম অবশ্যই। তিনি বললেন, "এই কালো মহিলাটি জান্নাতি।" ঘটনাটি এরূপঃ
-"একবার সে রাসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলে, হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম! আমি মৃগী রোগী! রোগের দরুন ভূপাতিত হয়ে যাই ও বিবস্ত্র হয়ে পরি। আমার জন্য দু'আ করুন। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ
-"ইচ্ছে করলে ধৈর্যধারণ করতে পার, এর বিনিময়ে জান্নাত পাবে, আর বললে সুস্থ্যতার জন্য দু'আ করে দেই।" সে বলল, আমি ধৈর্যধারণ করব। তবে আমি বিবস্ত্র হয়ে যাই, আমার জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করুন, যাতে বিবস্ত্র না হই। অতঃপর তিনি তার জন্য দু'আ করে দেন।" --(বুখারীঃ ৫২২০; মুসলিমঃ ৪৬৭৩)
অনুরূপ জান্নাতের নিশ্চয়তা আছে দৃষ্টিহীন ব্যক্তির জন্য। রসূল সল্লাল্লাহু আ৩লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ-"আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ আমি যখন আমার বান্দাকে দুটি প্রিয় বস্তু দ্বারা পরীক্ষা করি, আর সে তাতে ধৈর্যধারণ করে, বিনিময়ে আমি তাকে জান্নাত দান করি।"-(বুখারীঃ ৫২২১)
●আরো জান্নাতের ওয়াদা আছে, প্রিয় ব্যক্তির মৃত্যুতে ধৈর্য্যধারণকারীর জন্য। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ-"আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ আমি যখন আমার মুমিন বান্দার অকৃত্রিম ভালোবাসার পাত্রকে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নেইএবং তাতে সে ধৈর্য্যধারণ করে, ছওয়াবের আশা রাখে, আমার কাছে তার বিনিময় জান্নাত বৈ কি হতে পারে?" অর্থাৎঃ নিশ্চিত জান্নাত।(বুখারীঃ ৫৯৪৪)
কারো সন্তান হারাদেরও আল্লাহ তা'আলা জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। কারণ তিনি বান্দার প্রতি দয়ালু, তার শোক-দুঃখ জানেন। যেমনঃ রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন তিন সন্তানের দাফনকারী মহিলাকে। তিনি তাকে বলেনঃ -"তুমি জা|হান্না|মের আ|গুন প্রতিরোধকারী মজবুত ঢাল বেষ্টিত হয়ে গেছ।"
●▪ঘটনাটি নিম্নরূপঃ -সে একটি অসুস্থ বাচ্চা সাথে করে রাসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসেন এবং বলেন, হে আল্লাহর নাবী সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম! তার জন্য আল্লাহর নিকট দু'আ করুন। ইতিপূর্বে আমি তিনজন সন্তান দাফন করেছি। রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম শুনে নির্বাক! دفنت ثلاثة؟! "তিন জন দাফন করেছ!"সে বলল- হ্যাঁ। রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ
-"তুমি জা|হান্না|মের আ|গুন প্রতিরোধকারী মজবুত প্রাচীর ঘেরা সংরক্ষিত দুর্গে প্রবেশ করেছ।" -(মুসলিমঃ ৪৭৭০)
●▪অন্য হাদীসে আছেঃ-"সাবালকত্ব পাওয়ার আগে মৃত তিন সন্তান-তাদের মুসলিম পিতা-মাতার জন্য জা|হান্না|মের আ|গুন থেকে প্রতিরোধকারী মজবুত ঢালে পরিণত হবে।"
আবুযর (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার দু'জন মারা গেছে। রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ:واثنان، "দুজন মারা গেলেও।" উস্তাদুল কুররা আবুল মুনজির উবাই(রাঃ) বলেনঃ হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার একজন মারা গেছে, তিনি বললেনঃ "একজন মারা গেলেও। তবে মুসিবতের শুরুতেই ধৈর্য্যধারণ করতে হবে।"-(মুসনাদঃ ৪৩১৪)
মাহমুদ বিন লাবিদ জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ -"আমি রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, "সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে, যার তিনজন সন্তান মারা যায় এবং সে তাদের পূণ্য জ্ঞান করে।"
তিনি বলেনঃ আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লাম! যার দু'জন মারা যায়? বললেনঃ "দু'জন মারা গেলেও।" মাহমুদ বলেনঃ আমি জাবের (রাঃ)- কে বললাম, আমার মনে হয় আপনারা যদি একজনের কথা বলতেন, তাহলে তিনি একজনের ব্যাপারেও হাঁ বলতেন। তিনি সায় দিয়ে বলেনঃ আমিও তাই মনে করি।" (মুসনাদঃ ১৪২৮৫)
●● ইয়া আল্লাহ তা'আলা! আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার, মেনে চলার ও সর্বাবস্হায়ই আপনার উপর রাজী-খুশী থাকার ও আপনার উপর ভরসা করার তাওফীক দান করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল ও হিফাযত করুন(আ-মীন)।
Post Keywords. উপদেশ মূলক,কিছু উপদেশ মূলক উক্তি,বাংলা উপদেশ মূলক উক্তি,বাংলা উপদেশ মূলক ক্যাপশন,উপদেশ মূলক কথা,ভালো উপদেশ মূলক কথা,উপদেশ মূলক কবিতা,ছোটদের জন্য উপদেশ,উপদেশ মূলক কিছু কথা,উপদেশ মূলক উক্তি,ছাত্রদের জন্য উপদেশ,যারা অপেক্ষা ও উপেক্ষা সইতে,যারা অপেক্ষা ও উপেক্ষা সইতে জানে না,জ্ঞানের উপদেশ মূলক কথা,কিছু উপদেশ,ভালোবাসার উপদেশ মূলক কথা
Post a Comment