প্রশ্নঃ..?
(১) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কিসের তৈরী?
উত্তরঃ
(১) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত -এর উলামায়ে কেরামের মতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাটির তৈরী মানুষ।
নিম্নে এর প্রমাণ দেয়া হলো-
★কুরআন শরীফ:
সূরা কাহাফ, ১১০ নং আয়াতে উল্লেখ আছে- আল্লাহ তাআলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে উদ্দেশ্য বলেন
قُلۡ اِنَّمَاۤ اَنَا بَشَرٌ مِّثۡلُکُمۡ یُوۡحٰۤی اِلَیَّ اَنَّمَاۤ اِلٰـہُکُمۡ اِلٰہٌ وَّاحِدٌ
অর্থঃ হে নবী আপনি বলুন ‘আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট ওহী প্রেরণ করা হয় যে, তোমাদের ইলাহই এক ইলাহ।
‘বাশার’ এর আভিধানিক অর্থ : বিশ্ববিখ্যাত অভিধান 'তাজুল আরুস' ১/২৫১৩ পৃষ্ঠা, ও 'লিসানুল আরব' নামক অভিধানের ৪/৫৯ পৃষ্ঠাতে উল্লেখ আছে- বাশার এর অর্থ ইনসান, মানুষ। যা পুরুষ মহিলা একবচন, দ্বিবচন, বহুবচন সবার জন্য সমান-ভাবে ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং এই বাশার শব্দটি মানুষ ছাড়া ভিন্ন কোনো অর্থে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। সঠিক ও হবে না।
বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সমস্ত নবী রাসূলগণ সবাই মানুষ ছিলেন। যার বর্ণনা কুরআন শরীফে একাধিক আয়াতে উল্লেখ রয়েছে।
দৃষ্টান্তস্বরুপ কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করা হলো-
(১) মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা সূরা বনী ইসরাইল -এর ৯৩ নং আয়াতে বলেন-
قُلۡ سُبۡحَانَ رَبِّیۡ ہَلۡ کُنۡتُ اِلَّا بَشَرًا رَّسُوۡلًا
হে নবী আপনি কাফেরদেরকে বলুন! আমার প্রভু পবিত্র, আমি তো একজন রাসূল, মানুষ ছাড়া কিছু নই’?
(২) কাহাফ, ১১০ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন-
হে রাসূল! আপনি বলুন যে, আমি তোমাদের মতো একজন মানুষ।
এখানে একটি বিষয় ভালো ভাবে জেনে রাখা দরকার যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগতভাবে আমাদের মতো একজন মানুষ, মর্যাদা বা সম্মানের দিক দিয়ে আবার আমাদেরও মতো নন।
যেহেতু মানবীয় সমস্ত গুণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মধ্যে বিদ্যমান ছিল। যেমন বিবাহ করা, খানা পিনা করা, চলাফেলা করা, পেশাব পায়খানা করা, নিদ্রা যাওয়া ইত্যাদি।
কিন্তু এর দ্বারা রাসূল (সাঃ) আমাদের মতো সাধারণ মানুষ তা মোটেও বুঝায় না।
রাসূল (সাঃ) হলেন মহামানব, গোটা মানবগোষ্ঠির শ্রেষ্ঠ মানব, সমস্ত নবী ও রাসূলগণের সর্দার এবং ইমাম।
এখানে একটি হাদীস উল্লেখ করা অতীব সমীচীন মনে করছি,
রাসূল (সাঃ) একবার একটি বনের উট এসে সেজদা করে । তখন উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ), আপনাকে বনের পশু এবং বৃক্ষলতা সেজদা করে অথচ আমরা হলাম আপনার সাহাবী, তাহলে আপনাকে সেজদা করার হক আমাদের বেশি। তাই আমাদেরকেও আপনাকে সেজদা করার অনুমতি দিন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছিলেন, তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং সম্মান করো তোমাদের ভাইকে।
হাদিসে স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, এবাদত একমাত্র আল্লাহরই করতে হবে, নবীর এবাদত করা যাবে না। যেহেতু সেজদা করা একটি এবাদত আর এ এবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য ।
সাহাবীগণ চেয়েছিলেন, এ এবাদতটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য করতে। অর্থাৎ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সেজদা করতে। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে নিষেধ করলেন এবং বললেন, এবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য করো এবং তোমাদের ভাইয়ের সম্মান করো।
এখানে ভাই দ্বারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। স্বয়ং রাসুল সাঃ তার নিজে ভাই শব্দ ব্যবহার করছেন।তাতে দেওবন্দী এবং তাবলীগওয়ালাদের কী অপরাধ রয়েছে? অপরাধ ধরতে যদি এতই ইচ্ছা থাকে তবে স্বয়ং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ধরো। যেহেতু একথা কোনো দেওবন্দী বা তাবলীগওয়ালাগণ বলেননি বরং স্বয়ং নবী (সাঃ) বলেছেন।
পূর্ণ হাদীসটি নিয়ে উল্লেখ করা হলো,
অর্থ : হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুহাজির এবং আনসারদেরকে নিয়ে সফর করেছিলেন, হঠাৎ একটি উট এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সেজদা করলো, তখন সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনাকে বনের পশু এবং বৃক্ষলতা সেজদা করছে আমরা সাহাবী হিসেবে আমাদের হক বেশি। আমরা আপনাকে সেজদা করবো।তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে বললেন, তোমরা একমাত্র আল্লাহর এবাদত করো এবং তোমাদের ভাইকে সম্মান করো।
এ হাদীসটি কোন দেওবন্দ বা তাবলীগওয়ালাগের নয় বরং রাসুল (সাঃ) এর হাদীস।
সুতরাং এটাকে পুঁজি করে শুধু দেওবন্দী এবং তাবলীগওয়ালাগণের উপর অপবাদ লাগিয়ে সমাজে এই কথা অপপ্রচার করা যে, তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বড় ভাই বড় মিথ্যা এবং ধোঁকাবাজি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাপারে দেওবন্দী তাবলীগওয়ালাদের আকিদা কী তা নিম্নে আংশিক বর্ণনা করা হলো। কবি বলেন-
অর্থ : মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন মানুষ কিন্তু সাধারণ মানুষের মতো নন। যেমন ইয়াকুত পাথরও একটি পাথর কিন্তু সাধারণ পাথরের মতো নয়। ইয়াকুত পাথরের ছোট একটি টুকরা কোটি কোটি টাকা মূল্যের কিন্তু রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরের কোনো মূল্য নেই।
তেমনিভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন, ইয়াকুত পাথরের ন্যায় আর আমরা হলাম রাস্তায় পড়ে থাকা সাধরাণ পাথরের ন্যায় মানুষ। ইয়াকুত এবং রাস্তার পাথরের মর্যাদা যেমন সমান নয় তেমনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাধারণ মানুষের মর্যাদাও সমান নয় বরং বহু বড় ব্যবধান রয়েছে, আসমান ও জমিনের ব্যবধানের মতো।
হাদীস দ্বারা প্রমাণ :
বুখারী, ১খণ্ড, ৪০২নং হাদিসে আছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন সাহাবীদের নিয়ে যোহরের নামায পড়ছিলেন, (ভুলবশত) চার রাকাতের স্থলে পাঁচ রাকাত পড়েছিলেন। নামায শেষে সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, নামাযের রাকাত কি বৃদ্ধি হয়েছে? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ব্যাপার কী! কী হয়েছে?
তখন সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি নামায পাঁচ রাকাত পড়িয়েছেন। তখন তিনি সকলকে জিজ্ঞাসা করলেন এবং সকলে একই কথা বললেন,
অতপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় পা মুড়ালেন এবং দুইটি সেজদা (সাহু) করলেন এবং বললেন, আমি তোমাদেরকে বলেছি যে, আমি একজন মানুষ আমি ভুলে যাই যেমন তোমারা ভুলে যাও। ভবিষ্যতে যদি এমন ভুল করি তবে স্মরণ করিয়ে দেবে। (বুখারী ১/৫৮ পৃষ্ঠা,৩৯৯ নং হাদীস)
উপরোক্ত আয়াত এবং হাদীসে বলা হয়েছে যে, তিনি আমাদের মতো মানুষ। এমনকি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ মুখে বলেছেন আমি মানুষ।
আর নামধারী কিছু আলেমরা মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস ও কোরআনের বিরোধিতা করে বলে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরের তৈরী। মাটির তৈরী নয়। যখন তাদেরকে বলা হয় যে, এ কথার দলিল দাও, তখন তারা নিম্নে বর্ণিত কিছু জাল হাদীস দ্বারা প্রমাণ দেয়।
১. হাদীস : সর্বপ্রথম আল্লাহ তাআলা আমার নূরকে সৃষ্টি করেছেন।
২. হাদীস : প্রত্যেক বস্তুই আমার নূর থেকে আর আমি আল্লাহর নূর থেকে। তারা এমন আরো কয়েকটি হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে।
তাদের উক্ত হাদীসের জবাব দেওয়ার পূর্বে একটি হাদীস পেশ করবো ইনশাআল্লাহ। (ইবনে মাজাহ, ৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ২৮)
আর তারা যে সমস্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন তার প্রত্যেকটা এমন হাদীস যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে বলেননি কিন্তু তাঁর নামে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তারা রাসূল (সাঃ) কথা অনুযায়ী। কুরআন দ্বারা প্রমাণ পেশ করে....
অর্থ : নিশ্চয় তোমাদের নিকট আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নূর এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে। এখানে নূর দ্বারা আমাদের নবী (সাঃ) কে বুঝানো হয়েছে।
যারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নূরের তৈরী বলে তারা উক্ত আয়াত দ্বারা দলিল দিয়ে থাকেন এবং বলেন যে, আয়াতে নূর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, নবী (সাঃ), কিতাবে মুবিন এর অর্থ কুরআন শরিফ।
কারণ নূরের দ্বারাও যদি কুরআনকেই বোঝানো হয় তখন তো দু'টি শব্দের অর্থ হবে একটি । অর্থাৎ নূর এর অর্থও কুরআন এবং কিতাবুম মুবিন, এর অর্থও কুরআন।
তখন আরবী গ্রামারের দৃষ্টিতে বাকাটি বিশুদ্ধ হবে না। কারণ আরবী গ্রামারের বিশুদ্ধ নিয়ম হলো, মা’তুফ আলাইহি এবং মা'তুফ উভয়টি ভিন্ন জিনিস হয়ে থাকে। উল্লেখিত আয়াতে নূর হলো, মা'তুফ আলাইহি, এবং আর কিতাবুম মুবিন, হলো মা'তুফ।
সুতরাং এখানে নূর এর অর্থ হবে ভিন্ন বস্তু। আর কিতাবুম মুবিন, এর অর্থ হবে ভিন্ন বস্তু। তখন আয়াতটি বিশুদ্ধ ও গ্রামার অনুযায়ী হবে।
আর তা তখনি সম্ভব হবে যখন নূর এর অর্থ নেয়া হবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর কিতাবুম মুবিন এর অর্থ নেয়া হবে কুরআন শরিফ।
সুতরাং বুঝা গেলো নূরের অর্থাৎ হলো, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । তখন অর্থ হবে নিশ্চয় তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে।যেহেতু স্বয়ং আল্লাহ তাআলা রাসূল (সাঃ)কে নূর বলেছেন, তাহলে আমাদের নূর বলতে বাধা কিসের?
তাদের যুক্তির উত্তরঃ...
কোরআনের কোনো আয়াতের অর্থ বিশুদ্ধ বা অশুদ্ধ শুধু আরবী গ্রামার দ্বারা সাব্যস্ত করা যাবে না, বরং প্রথমে আমাদের দেখতে হবে নির্ভরযোগ্য কোরআনের তাফসীরসমূহ। তাফসীরের কিতাবে যা বর্ণিত আছে আমাদেরকে তাই মানতে হবে।
গ্রামারের দুহাই দিয়ে নির্ভরযোগ্য তাফসীরকে অস্বিকার করা যাবে না।
এবার আসুন....
তাফসীরের কিতাবে উলেখিত আয়াতের ব্যাখ্যা কী করা হয়েছে- অর্থ : নূর এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, কুরআন শরিফ। যেহেতু কুরআন সবকিছু বর্ণনা করে দেয় এবং হেদায়াত ও বিশ্বাসের পথ প্রকাশ করে দেয়, এ হিসাবে কুরআন শরীফকে নূর বলা হয়েছে। (তাফসীরে রুহুল মাআনী, ৫/৯৮ পৃষ্ঠা)
এজমায়ে উম্মাত :
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাটির তৈরী এ ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের উলামায়ে কেরাম একমত পোষন করেন।
কিয়াস দ্বারা দলিল...
(১). নূর শব্দটির অর্থ হলো, 'আলো' আর আমরা জানি 'আলো' যেমন বাতির আলো, সূর্যের আলো। এই আলোটা এমন জিনিস যা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
আর এ কথা স্পষ্ট যে, রাসূল (সাঃ) কে ধরা যেতো, ছোঁয়ে যেতো। সুতরাং তিনি নূর অর্থাৎ আলোর তৈরী হতে পারে না।
(২.) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মাটির তৈরী বলে, তারাও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর সম্মানের জন্য বলে।
আর যারা নূরের তৈরী বলে তারাও তাঁর সম্মানের জন্যই বলে থাকে।
এখন বুঝার বিষয় হলো, সম্মান কী মাটিতে না নূরে?
উত্তর : মাটিতে । কেননা, আমরা অর্থাৎ মানুষ যে, মাটির তৈরী এটা কেউ অস্বিকার করে না।
এখন বলার বিষয় হলো, আপনি দুনিয়ার রীতি অনুযায়ী বলেন, একজন নেতার দাম বেশি নাকি পাহারাদার এর দাম বেশি? তখন অবশ্যই আপনি বলবেন যে, নেতার দাম বেশি।
যেমন, আল্লাহ তাআলা সূরা রা'দ, ১১ নং আয়াতে বলেন-
لَہٗ مُعَقِّبٰتٌ مِّنۡۢ بَیۡنِ یَدَیۡہِ وَمِنۡ خَلۡفِہٖ یَحۡفَظُوۡنَہٗ مِنۡ اَمۡرِ اللّٰہِ
অর্থঃ মানুষের জন্য রয়েছে, সামনে ও পেছনে, একের পর এক আগমনকারী প্রহরী, যারা আল্লাহর নির্দেশে তাকে হেফাযত করে।
ব্যাখ্যা : যে ব্যক্তি কথা গোপন করতে কিংবা প্রকাশ করতে চায় এবং যে ব্যক্তি চলা-ফেরাকে রাতের অন্ধাকারে ঢেকে রাখতে চায় অথবা প্রকাশ্য সড়কে ঘোরাফেরা করে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ফেরেশতাদের দল নিযুক্ত রয়েছে। (মোট কথা হলো যে, একজন মানুষের পাহাড়াদারির জন্য অনেক ফেরেস্তা নিযুক্ত থাকে)
অতএব বলার বাকি রাখে না যে, মাটির তৈরী মানুষ, নূরের তৈরী ফেরেশতার চেয়ে বেশি দামি। আর তাই রাসূল (সাঃ) কে সম্মানিত করতে হলে, তাঁকে মাটির তৈরীই বলতে হবে।
(আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক বোঝ দান করে, সীরাতে মুস্তাকিমের উপর অটল থাকার তাওফিক দান করুন)
আমিন।
Post a Comment