কুরবানির ইতিহাস ও ফজিলত, কাদের উপর কুরবানি ওয়াজিব? জরুরি কিছু মাসায়েল।

কুরবানীর ফযীলত কুরবানী কোন নতুন কিছু নয়। কুরবানীর প্রথা হযরত আদম (আঃ) এর পুত্র হাবীল ও কাবীল হতে আরম্ভ হয়ে এ পর্যন্ত চলে আসছে। 
তবে তখনকার কুরবানী ছিল ভিন্ন রূপ, যে কোন বস্তু দিয়ে কুরবানী করা যেত,আজ আমাদের নিকট যেই কুরবানীর প্রথা চালু আছে সেটা হচ্ছে মুসলমান জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর সেই আসমান যমীন সাড়া জাগানো আল্লাহর হুকুমে স্বীয় পুত্র ঈসমাইল (আঃ) কে নিজ হাতে কুরবানী করার নমুনা ও ইতিহাস। তাই আজও যারা পূর্ণ ঈমান ও আল্লাহর ভালবাসায় একটি নিঁখুত পশু কুরবানী করবে, তাঁরাও ইব্রাহীম (আঃ) এর মত কলিজার টুকরা টকবগে এক বালক সন্তানকে আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করার ছাওয়াব পাবে।


এছাড়া  হাদীস শরীফে কুরবানীর ফযীলত সম্পর্কে বহু বর্ণনা এসেছে। যেমন. হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম থেকে বর্ণিত আছে তিনি বলেন, একদা সাহাবায়ে কেরাম হুযূর পাক (সাঃ) কে কুরবানীর প্রতিদান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- কুরবানীর প্রতিদান হচ্ছে কুরবানীর পশুর গায়ের প্রতিটি চুলের বিনিময়ে  একটি করে নেকী দেয়া হবে। অতঃপর সাহাবাগণ বললেন-হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ভেড়ার প্রতিদানও কি অনুরূপ? উত্তরে রাসূলে করীম (সাঃ) ইরশাদ করেন-হ্যাঁ, ভেড়ারও প্রতিটি চুলের বিনিময় একটি করে নেকী দেয়া হবে। (সুবহানাল্লাহ) মিশকাত শরীফ-১২৯)

আম্মাজান হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে:
রাসূল পাক (সাঃ) ইরশাদ করেন- -কুরবানীর দিন কুরবানীর চেয়ে বনী আদমের আর কোন আমল আল্লাহর নিকট বেশী প্রিয় নয়। আর কিয়ামতের দিন কুরবানীকৃত পশু আল্লাহর হুকুমে তার শিং,
চুল ও পায়ের খুর সহ উপস্থিত হবে। আর কুরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যাবে। (তিরমিজী মিশকাত শরীফ-১২৮)
হযরত নবী করীম (সাঃ) স্বীয় কন্যা হযরত ফাতিমা (রাঃ) কে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন-

يا فاطمة قومى الى اضحیک فاشهدیها ، فان لك بأول قطرة تقطر من دمها ان يغفر لك ماسلف من ذنوبک قالت يارسول الله ألنا خاصة أهل البيت أولنا وللمسلمين ؟ قال بل لنا وللمسلمين (الترغيب ج ٢ ص ٩٩)

অর্থঃ হে ফাতিমা,তুমি তোমার কুরবানীর পশু যবেহকালে পশুর নিকট দাঁড়াও কারণ পশুর রক্ত মাটিতে পতিত হওয়ার পূর্বেই তোমার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। হযরত ফাতিমা (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ ক্ষমার প্রতিশ্রুতি কি
শুধু আমরা আহলে বাইতের জন্য না আমাদের এবং সকল মুসলমানদের জন্য ? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ আমাদের এবং সকল মুসলমানদের জন্য। (আত্তারগীব ২/৯৯পৃ:)

আরো একটি হাদীসে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- হে ফাতিমা, কিয়ামতের দিন কুরবানীকৃত পশুর গোস্ত এবং রক্ত তোমার মিজানের পাল্লায়রাখা হবে (ওজন করা হবে) এবং এর ওজন ৭০ (সত্তর) গুণ বৃদ্ধি
করে দেয়া হবে। (আত্তারগীব ২/১০০পৃ:)
রাসূল (সাঃ) আরো ইরশাদ করেন:
 من ضحى طيبة نفسه محتسبا لأضحيته كانت له حجابا من النار
অর্থঃ যে ব্যক্তি সওয়াবের উদ্দেশ্যে আনন্দের সাথে
কুরবানী করবে এ কুরবানী তার জন্য জাহান্নামের অগ্নি হতে রক্ষা পাওয়ার মাধ্যম হবে। উল্লেখিত হাদীসগুলোর প্রতি গভীরভাবে দৃষ্টিপাত করলে বুঝা যায় যে মহান আল্লাহ কত দয়াময়, তিনি সামান্য নেক আমলের বিনিময়ে অসীম সওয়াব দিয়ে থাকেন। যেমন উল্লেখিত হাদীস শরীফে কুরবানীর পশুর প্রতিটি চুলের বিনিময় একটি করে নেকীর কথা উল্লেখ আছে। সুবহানাল্লাহ! একটি পশুর গায়ে কত লক্ষ চুল রয়েছে তাও এমন সীমাহীন যা
একমাত্র প্রতিদান দাতা আল্লাহই জানেন। তবে এতে আরো কথা রয়েছে যে, যার এখলাছ যত বেশী হবে তার নেকীর মধ্যে তত বৃদ্ধি হবে। নফল কুরবানীর বেলায়ও এরূপ ছওয়াব দেয়া হবে।

কুরবানী না করার পরিণতি

কুরবানী করা যেমনি অফুরন্ত ছাওয়াবের কাজ তেমনি কুরবানীকে অবজ্ঞা করা এবং ওয়াজীব সত্ত্বেও কুরবানী না করা নিন্দনীয় অপরাধ ও গুনাহের কাজ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন :
من وجد سعة لأن يضحى فلم يضح فلم يحضر مصلانا
অর্থঃ কুরবানী করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানী করেনি সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে । (আত্তারগীব - ২/ ১০০ পৃষ্ঠা)
দেখুন কত বড় অপরাধ ! মুসলমানদের এত সুন্দর আনন্দ উৎসবমাখা সমাবেশে একমাত্র কাফির মুশরিকদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ ছিল। আর একজন মুসলমানকে এই সমাবেশে আসতে নিষেধ করা মানে তাকে ওদের দলভুক্ত করে দেয়া। আল্লাহ
আমাদের সবাইকে এ অপরাধ হতে বিরত থাকার তাওফীক দান করুন। (আমীন)

কাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব

* যে ব্যক্তি জিলহজ্জ মাসের ১০-১১-১২ তারিখ, এ তিন দিনের মধ্যে ছাহেবে নেছাব অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা অথবা নিত্যপ্রয়োজনের অতিরিক্ত উল্লেখিত পরিমাণ মালের পূর্ণ মালিক হয়ে থাকে তার উপর
কুরবানী করা ওয়াজিব। (আহছানুল ফতওয়া ৭/৫০৮ মেছবাহুন্নুরী শরহে কুদুরী (ছদকা
ফিতরা অধ্যায় ৮৩ ফাঃ মাহমুদিয়া ১৪/৩৩৪)

* একজনের তিন জোড়ার অধিক পোষাক, রেডিও,
টেলিভিশন ইত্যাদি মানবীয় প্রয়োজনের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং এ গুলোও নেছাবের মধ্যে গণ্য হবে।
(আহছানুল ফাঃ ৭/৫০৮ শামী হাঃইঃআঃ ৯/৪৫৩)

* কারো নিকট উপস্থিত নেছাব পরিমাণ সম্পদ নেই কিন্তু ব্যাংক, বীমা, ইত্যাদিতে জমা অথবা কারো নিকট ঋণ দেয়া আছে যা হিসাব করলে নেছাব পূর্ণ হয়ে যায়, তাহলেও তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।

* বিদেশের জন্য ভিসার টাকা জমা দিয়েছে কিন্তু কিছুদিন পর যার নিকট টাকা জমা দিয়েছে সে ভিসা হবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে এবং টাকা ফেরৎ দেয়ারও আশ্বাস দিয়েছে, তাহলে কুরবানীর তারিখে ঐ টাকা হিসাব করে নেছাব পূর্ণ হলে কুরবানী
করা ওয়াজিব কিন্তু যদি কুরবানীর পশু ক্রয় করার মত কোন টাকা অথবা প্রয়োজনের উর্ধে অন্য সম্পদ তার কাছে না থাকে তাহলে কুরবানী ওয়াজিব নয়। (আহসানুল ফাতাওয়া ৭/৫১২)

* পিতা পুত্র একই সঙ্গে কাজ কারবার/ ব্যবসা বাণিজ্য করে, খাওয়া দাওয়াও বাপ বেটা যৌথভাবে করে, এমতাবস্থায় পুত্রের যদি এককভাবে শেয়ার বা কোন সম্পদ না থাকে যা নেছাব পরিমাণ হয়, তাহলে পুত্রের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। পিতার উপর কুরবানী ওয়াজিব। (আহছানুল ফাঃ ৭/৪) 

* নাবালিগের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। যদিও তাঁর নিজস্ব সম্পদ থাকে ওলীদের জন্য জায়েয হবেনা যে নাবালিগের পক্ষ থেকে তার নামে কুরবানী করা। যদি কুরবানী করে ফেলে তাহলে ওলীদের জন্য সেখান থেকে গোস্ত খাওয়া বা ফকীর মিসকীনদেরকে দেয়া জায়েয হবেনা। নাবালিগ সে নিজে খেতে পারবে এবং অতিরিক্ত গোস্ত দ্বারা তার জন্য এমন জিনিস ক্রয় করতে পারবে যা ব্যবহারে অস্তিত্ব নষ্ট হয়না যেমন, কাপড়, হাঁড়ি, পাতিল ইত্যাদি। (আহছানুল ফাঃ ৭/৪৯৭)

* হারাম উপার্জনের মালের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়, চাই সেটা নেছাবের উর্ধে হোক না কেন। কেননা, হারাম উপার্জনের সব মাল ছাওয়াবের নিয়্যত ছাড়াই ছদকা করে দেয়া ওয়াজিব। (আহছানুল ফাঃ ৭/৫০৬)

* কারো নিকট নেছাব পূর্ণ হয় পরিমাণ বা এর চেয়েও বেশী সম্পদ আছে কিন্তু তার এ পরিমাণ ঋণও আছে যে, যদি ঋণ পরিশোধ করে তাহলে তার নেছাব বাকী থাকেনা, এমতাবস্থায়
তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। (আঃফাঃ ৭/৫০৭)

* মুসাফিরের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। (আহসানুল ফাঃ ৭/৫১৯)

* কোন ছাহেবে নেছাব মুসাফির যদি কুরবানীর তিন দিনের মধ্যে ঘরে ফিরে আসে (মুকীম হয়ে যায়) তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব। (আহসানুল ফাঃ ৭/৫১৯)

* কোন ব্যক্তি যদি কুরবানীর তৃতীয় দিন মুসাফির হয় তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।

* কোন মুসাফির সফর অবস্থায় কুরবানী করে, কুরবানীর দিনের মধ্যে মুকীম হয়ে গেছে, তাহলে তার উপর পুনরায় কুরবানী করা ওয়াজিব নয়। (আহছানুল ফাঃ ৭/৫১৯)

* কোন ধনী নাবালিগ অর্থাৎ যে নাবালিগ বাচ্চার নিজস্ব এ পরিমাণ সম্পদ যা কুরবানীর নেছাব পূর্ণ হয়, এমন নাবালিগ বাচ্চা যদি কুরবানীর দিন সমূহের (১০-১১-১২ জিলহজ্জ) মধ্যে সাবালিগ হয়, তাহলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। (ফা:আ:৫/২৯৩, বাদায়ে: ৫/৬৪)

* কোন ব্যক্তি এই বলে মান্নত করেছে যে,আমার অমুক কাজ বা আশা পূর্ণ হলে আমি একটা কুরবানী করব।তাহলে তার কাজ বা আশা সফল হলে তার উপর একটা ছাগল/ভেড়া বা গরু,মহিষের সাত অংশের একাংশ কুরবানী করা ওয়াজিব।

* গরীব লোক তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়নি,তবুও কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করেছে,তাহলে তার উপর ঐ পশু কুরবানী করা ওয়াজিব।

* একজন মহিলা এমনিতে ছাহেবে নেছাব নয়,কিন্তু তার স্বামীর নিকট প্রাপ্য মহর নেছাব পরিমান বা এর চেয়েও বেশী যা এখনও স্বামী থেকে উসূল করা হয়নি,তাহলে ঐ মহিলাকে ছাহেবা নেছাব বলা যাবেনা এবং তার উপর কুরবানীও ওয়াজিব
হবেনা। (আলমগীরী ৫/২৯৩) আহকামে কুরবানী ১৪
অন্যের পক্ষ হতে কুরবানী

* পিতার উপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়াতে ছেলে তাঁর নিজস্ব মাল থেকে পিতার পক্ষ হতে কুরবানী করে দিয়েছে এতে পিতার ওয়াজিব আদায় হবে না,পিতা তার নিজস্ব সম্পদ হতে কুরবানী করতে হবে,আর নাহয় ছেলে তার মাল থেকে পিতাকে কুরবানীর টাকার বা পশুর মালিক বানিয়ে দিতে হবে।

* এমনি ভাবে নিজ সম্পদ হতে অন্যের কুরবানী করলে তাঁর কুরবানী আদায় হবে না,সে অনুমতি দিক বা নাই দিক।(আহছানুল ফ: ৭/৫৪০)
ফায়ায়ে আলমগীরী ৫ম খন্ড ৩০২পৃষ্টায় বর্ণিত,

اذا ضحى بشاة نفسه عن غيره يأمر ذلك الغير أولم يأمر الغير لا تجوز لأنه لا يكون تجويز التضحية عن الغير الاباثبات الملك لذلك الغير الهندية ج ۵ ص۳۰۲

* কোন ব্যক্তি তাঁর পক্ষ হতে কুরবানী করার অছিয়ত করে গিয়েছেন,কিন্তু গরু না ছাগল কুরবানী করবে তা বলে যান নি,এমনকি কুরবানীর টাকার পরিমাণও বলেন নি,তাহলেও অছিয়ত গ্ৰহনযাগ্য হবে এবং ওয়ারিসদের উপর তার পক্ষ হতে একটি ছাগল কুরবানী করে দেওয়া আবশ্যক।

فى الهندية : ولو أوصى بان يضحى عنه ولا يسم شاة ولا بقرة ولا غير ذلك ولم يبين الثمن أيضا جاز ويقع على الشاة . ج / ۵ ص ۲۹۵ ج ۵ ص /۳۰۷

* মৃত ব্যক্তির অছিয়ত পালিত কুরবানীর গোস্ত ছদকা করে দিতে হয়। ওয়ারিছদের জন্য তা খাওয়া জায়েয হবেনা,যদিও অছিয়তকারী ওয়ারিছদেরকে খাওয়ার জন্য বলে যায়। কিন্তূ অছিয়ত ছাড়া কেউ তার নিজ সম্পদ হতে মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করে তা থেকে খেতে পারবে। (আহছানুল ফা: ৭/৪৯৬)

* কোন ব্যক্তি তার পক্ষ হতে কুরবানী করার জন্য অন্য কাউকে উকিল বানিয়ে দিল অর্থাৎ অন্যের দায়িত্বে দিয়ে দিল,কিন্তু গরু কুরবানী করবে না ছাগল কুরবানী করবে তা বলেনি এবং টাকার পরিমাণও বলেনি, তাহলে এ ওকালত ছহীহ হয়নি, অর্থাৎ উকীলের জন্য তার মুয়াক্কালের পক্ষ হতে কুরবানী করা ওয়াজিব নয়।
فى الهندية : اذا وكل رجلا بأن يضحى عنه ولم يسم شيئا ولا ثمنا فانه لا يجوز. ج ۵ ص ۲۹۸

* কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তি তার নিজস্ব সম্পদ হতে পশু ক্রয় করে তার মৃত মাতা, পিতার নামে কুরবানী করেছে, এতে যদি সে তার ওয়াজিব কুরবানীর নিয়ত করে থাকে তাহলে তার ওয়াজিব আদায় হবে, অন্যথায় নয়। (ইমদাদুল মুফতীঈন ৯৫৭)

* একাধিক ভাই মিলে নিজেদের মৃত পিতা অথবা অন্য কোন মৃত ব্যক্তির নামে একটি ছাগল অথবা গরু/মহিষ থেকে এক শরীক কুরবানী করলে ছহীহ হবে না। হ্যাঁ, সবাই মিলে যদি একজনকে কুরবানীর টাকা দান করে দেয়,অতপর সে একুরবানীর কাজ সম্পূর্ণ করে নেয় তাহলে করতে পারে।

ইনশাআল্লাহ ধারাবাহিক ভাবে কুরবানির গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসায়েল সহ বিভিন্ন বিষয়ে পোস্ট করা হবে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post
icon যে কোন প্রয়োজনে টেলিগ্রাম চ্যানেলে মেসেজ দিন