মুসলিম উম্মাহকে সঠিক পথে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে মসজিদের ইমামদের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, অধিকাংশ মসজিদের মুসল্লীরা ইমামদের যথাযথা কদর করেন না।
এটা মুসলিম সমাজের একটি বড় দুর্বলতা। এদিকে বেশিরভাগ ইমামগণও জ্ঞান-স্বল্পতা, গাফিলতি, পরিস্থিতির প্রতিকূলতা প্রভৃতি কারণে নিজেদের দায়িত্ব সঠিক ও পরিপূর্ণভাবে আদায় করতে পারেন না।
জুমুআর দিন খুতবার আগে বাংলায় বয়ান করার নিয়ম বাঙালীদের প্রায় সব মসজিদে আছে। কিন্তু অধিকাংশ খতীবদের বয়ানে সমাজ কুরআন ও সুন্নাহর তেমন কিছু নসীহত পায় না। আবার কখনও জাল হাদীস, মিথ্যা কেচ্ছা-কাহিনি ও আবেগতাড়িত কথাবার্তা বলে দায় সারা হয়।
ফলে মুসলিম উম্মাহ খতীবদের সাপ্তাহিক দিক নির্দেশনা থেকে শুধু মাহরুম থাকে তাই নয়, বরং তারা বহু ভুল বার্তা শুনে গোমরাহ হন। বোঝা গেল, সুস্থ সমাজ গঠনে খতীবদের জুমুআর বয়ানের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই আমাদেরকে জুমুআর নামাজের বয়ানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেওয়া উচিত,
নিবেদকঃ মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন চাঁদপুরী
বই মুতাআলার ক্ষেত্রে কিছু দিক নির্দেশনা।
এ কিতাব থেকে বয়ান-বক্তৃতা করার সময় মনে রাখবেনঃ
(১) আমাদের বয়ানটি কোন্ মাসে ও কোন্ জুমুআর জন্য লেখা, তা খেয়াল রাখুন ।
(২) বয়ানের বিষয়বস্তু অবশ্যই লক্ষ্য করুন।
(৩) বয়ানের মধ্যে আমরা যদি কোন কথা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বলে থাকি আর সেটা যদি আপনার পরিবেশের জন্য সামাঞ্জস্যপূর্ণ না হয়, তাহলে আপনি সেটাকে বর্জন করুন।
(৪) আপনি বয়ান হুবহু মুখস্থ করে কিংবা বয়ানের সারমর্ম নিজের ভাষায় বলতে পারেন।
(৫) সাধারণত, বয়ানের তথ্যগুলি হাওয়ালা সহ লেখা আছে। আপনি হাওয়ালাগুলি বাদ দিয়েও বলতে পারেন। তাতে আপনার জন্য সহজ হবে। কিন্তু বর্তমান মানুষেরা উদ্ধৃতি নির্ভরকথা শুনতে পছন্দ করেন।
(৬) আপনি আমাদের বয়ানের আলোকে নিজের পরিবেশ অনুযায়ী নিজের মতো সাজিয়ে বয়ান তৈরী করে উপস্থাপন করতে পারেন।
১ম খন্ডের বইটিতে যা আছেঃ
এ খন্ডে বিশেষ করে খতীবদের জন্য নিম্নলিখিত
২৭টি বিষয়ে বয়ান রয়েছেঃ
(১) যুল কা'দাহর ফযীলত, (২) হজ্জ, (৩) কুরবানী ও
জরুরী মাসাইল, (৪) ফুল হিজ্জা'র প্রথম দশক ও কুরবানী, (৫) তাকবীরে তাশরীক ও ঈদুল আযহার আমল, (৬) ঈদুল আযহা, (৭) তাকওয়া ও পরহেযগারী, (৮) গোনাহ ও তার ভয়াবহতা, (৯) নবীজির সমাজসেবা, (১০) হিজরী সালের সূচনা ও মুহাররমের ফযীলত, (১১) কারবালার ঘটনার শিক্ষনীয় বিষয়, (১২) শয়তান ও তার চক্রান্ত, (১৩) আল্লাহর ৫টি বিশেষ নিয়ামত, (১৪) মানুষ কেন আশরাফুল মাখলূকাত, (১৫) ইমের গুরুত্ব, (১৬) হাদীসে জিবরাঈল, (১৭) হালাল-হারাম, (১৮) অসৎকাজ থেকে নিষেধ করা, (১৯) বিশ্বনবীর সংক্ষিপ্ত জীবনী, (২০) নবীজির নবী হওয়ার ৪টি দলীল, (২১) উম্মতের উপর নবীজির ৫টি হক, (২২) হাশর মাঠের ৫টি প্রশ্ন, (২৩) হুকূকুল্লাহ ও হুকুকুল ইবাদ, (২৪) ইখলাসের গুরুত্ব, (২৫) ৬টি আমল ও তার ফযীলত, (২৬) নামায, (২৭) সূরা আসরের তাফসীর।
২য় খন্ডের বইটিতে যা আছেঃ
এ কিতাবে বিশেষ করে খতীবদের জন্য নিম্নলিখিত
২৭টি বিষয়ে বয়ান রয়েছেঃ
(২৮) তাওবা, (২৯) শির্ক ও কবীরা গোনাহ, (৩০) মা-বাপের হক, (৩১) কিয়ামত,(৩২) স্বামী-স্ত্রীর হক, (৩৩) কিয়ামতের ছোট আলামত, (৩৪) ‘হিরাল' বাদশার ঘটনা, (৩৫) বিধর্মীদের রীতিনীতি অনুসরণ (৩৬) মি'রাজের ঘটনা (৩৭) নবীজির ৫টি নসীহত (৩৮) শাবান মাস ও শবে বরাআত, (৩৯) শবে
বরাআতে নফল ইবাদত, (৪০) রমাযানের আমল ও ফযীলত, হালাল-হারাম, (৪০) রমাযানের আমল ও ফযীলত, (৪১) রমাযান সম্পর্কে নবীজির ঐতিহাসিক ভাষণ, (৪২) রমাযানের ফযীলত, (৪৩) ই'তিকাফ ও যাকাত, (৪৪) লাইলাতুল কদর, (৪৫) রমাযানের শেষ জুমুআ ও ঈদ, (৪৬) ১৪৪৩ হিজরী, ঈদুল ফিতরের বয়ান, (৪৭) আদর্শ সন্তান লাভের উপায়, (৪৮) গোনাহ বর্জন, (৪৯) আল কুরআনের বাস্তবতা, (৫০) জীবনে পরিবর্তন আনতে হবে, (৫১) হজ্জ ও উমরাহ, (৫২) নবীজিকে ভালবাসার ৪টি কারণ, (৫৩) কুরবানী ও আকীকাহ, (৫৪) যুল
হিজ্জাহ ও কুরবানী।
এছাড়াও ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর খুতবাতুল ইসলাম বইটি নিচে দেওয়া লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করতে পারেন।
আপনার বক্তৃতাকে দলিল ভিত্তিক করার জন্য বিষয় ভিত্তিক আয়াত ও হাদিস বইটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন, এর মাঝে অনেক সুন্দর সাজানো গুছানো বিষয়ভিত্তিক আয়াত ও হাদিস দেওয়া রয়েছে ।
আজ এই পর্যন্তই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ আর যে কোন পিডিএফ বইয়ের প্রয়োজন হইলে আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে মেসেজ দিবেন ধন্যবাদ
إرسال تعليق