ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার ইরান থেকে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে সাইরেন বেজে উঠলে নাগরিকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছোটেন। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে রিপোর্টারদের মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা গেছে।
এ ঘটনার পর ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দেশজুড়ে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে এবং নাগরিকদের সুরক্ষিত স্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে। সেনাবাহিনীর বার্তায় বলা হয়েছে, 'সাইরেন শুনলে আপনাকে অবশ্যই একটি সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।'
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশ জর্ডানের আকাশসীমায় কিছু ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে মোট ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের সহায়তায় বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই লক্ষ্যভ্রষ্ট করা সম্ভব হয়েছে। তবে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ভূমিতে আঘাত হানে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানা যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ একটি পোস্টে ইরানের প্রেসিডেন্ট মেসুদ পেজেসকিয়ান বলেন - নেতানিয়াহুকে এটা বুঝতে হবে যে ইরান লড়াই করছে না। ইরান তার যে কোনো হুমকির প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে কেবল। এটি আমাদের শক্তির একটি অংশ মাত্র, সুতরাং ইরানের সাথে সংঘাতে প্রবেশ করতে যাবেন না।
উল্লেখ্য, ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরুল্লাহর নিহত হওয়ার পর ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরই মধ্যে ইসরায়েল লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করেছে। এই হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
গত এক বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। লেবাননে ইসরায়েলের এই নতুন স্থল অভিযান মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে আরও তীব্র মাত্রা দিয়েছে।
Post a Comment