সুপ্রিয় পাঠক! আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে বদরের ময়দান থেকে কোষমুক্ত তরবারি হাতে দীনে হক তথা ইসলামকে বিজয়ী করার মানসে রক্তপিচ্ছিল যে কাফেলাটির অপরাজেয় অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা আজও চলমান। বর্তমান আফগান-কাশ্মীর, ইরাক-সিরিয়া ও ইয়ামান-ফিলিস্তিনসহ রক্তাক্ত মুসলিম বিশ্বই যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। আকায়ে মাদানী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী কিয়ামত পর্যন্ত সেই যাত্রা অব্যাহত থাকবে। দীনে হকের পতাকাবাহী একটি কাফেলা সর্বদাই তাদের কলিজার খুন প্রবাহিত করে জিহাদ-কিতালের রক্তাক্ত ঝাণ্ডাকে উড়াতে থাকবে। কোন জালিমের জুলুম এবং ইনসাফকারীর ইনসাফ কোনকিছুই তাদের এই অগ্রযাত্রাকে প্রতিহত করতে পারবে না।
সেই অপ্রতিরুদ্ধ কাফেলেরই এক অভিন্ন বরকতময় অভিযানের নাম “গাজওয়াতুল হিন্দ।” যার সম্পর্কে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই দেড় হাজার বছর পূর্বেই ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন। শুধু ভবিষ্যদ্বাণী করেই ক্ষ্যান্ত হননি বরং তাঁর প্রাণপ্রিয় সাহাবায়ে কেরামকে উদ্বুদ্ধ করে তাদের কাছ থেকে বরকতময় এই অভিযানে অংশগ্রহণের অঙ্গীকারও গ্রহণ করেছেন এবং তাতে অংশগ্রহণকারী সকল মুজাহিদদের জন্য বিজয় ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মহান সুসংবাদও শুনিয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ভবিষ্যদ্বাণীকৃত মহা সুসংবাদপ্রাপ্ত এই গাজওয়াতির পরিচয় কী? কীভাবে চিনবো এই গাজওয়া? কবে এবং কোথায় সংঘটিত হবে এই গাজওয়া এবং সর্বশেষ কোথায় গিয়ে থামবে এই বিজয়ী বাহিনীর অগ্রযাত্রা?
হ্যাঁ! সম্মানিত পাঠক! নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র হাদীসের আলোকে উপর্যুক্ত প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর নিয়েই রচিত বক্ষ্যমাণ পুস্তিকাটি। মূল্যবান এই পুস্তিকাটি রচনা করেছেন পাকিস্তানের লাহোর ইউনিভার্সিটির স্বনামধন্য প্রভাষক মুহতারাম প্রফেসর ড. ইসমতুল্লাহ। বাংলা ভাষায় এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন বই-পুস্তক আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাভাষী অনুসন্ধানী পাঠকদের জ্ঞানের তৃষ্ণাকে নিবারণ করে গাজওয়াতুল হিন্দের মুবারক অভিযান সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন করার মাধ্যমে সেই মহান বরকতময় গাজওয়ায় আমি অধম ও অক্ষমের সামান্য অংশগ্রহণের সদিচ্ছায় সাইজে ক্ষুদ্র হলেও বিষয়বস্তুর বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পুস্তিকাটির বাংলা অনুবাদ আপনাদের খিদমতে পেশ করা হল।
বইটি পাঠ করে একজন পাঠকের অন্তরেও যদি গাজওয়াতুল হিন্দের এই মহান কাফেলায় অংশগ্রহণের বাস্তব এবং কার্যকরি ইচ্ছা জাগ্রত হয়, তাহলে আমি আমার শ্রম সার্থক জ্ঞান করব। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে গাজওয়াতুল হিন্দের সৈনিক হয়ে নবীউস সাইফ ও নবীউল মালাহিমের বরকতময় ভবিষ্যদ্বাণীকে বাস্তবায়নের তাওফিক দান করুন। আমিন! ইয়া রাব্বাশ-শুহাদা-ই ওয়াল মুজাহিদীন।
মোল্লা আবু খাওলা বাংলাদেশী
৫ জুলাই ২০১৯ ঈসায়ী
গাজওয়াতুল হিন্দ বই ডাউনলোডঃ
অনুবাদঃ মোল্লা আবু খাওলা
Post a Comment