আসসালামু আলাইকুম, আশা করি ভালো আছেন।
তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে বর্তমানে সবকিছুই আপডেট হচ্ছে। সেই সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও তাদের শিক্ষা মান অভিনব কৌশল এর মধ্যমেও উন্নত হচ্ছে। মানুষ এখন প্রযুক্তি নির্ভরশীল! তাই সব কিছু ঘরে বসে সহজেই করতে পছন্দ করে।
আপনার যদি একটি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন থাকে তাহলে আপনার উচিত সেই প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের নামে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নেওয়া। এতে প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পরিচালনা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। শুরুতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বলা যাক
তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইটের গুরুত্ব সহজ ভাষায় বুঝাতে উদাহরণ হিসেবে কিছু বিষয় তুলা ধরি।
তথ্য সহজলভ্যতা: ধরুন, আপনার একটি মাদ্রাসা রয়েছে। এর ওয়েবসাইটে ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য, ক্লাসের সময়সূচি এবং শিক্ষকবৃন্দের পরিচিতি দেওয়া আছে। অভিভাবকরা সহজেই এই তথ্যগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, ফলে তাদের সময়ও বাঁচে।
যোগাযোগ: একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে যদি একটি ফোরাম থাকে, যেখানে শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে বা শিক্ষকদের প্রশ্ন করতে পারে, তাহলে এটি শিক্ষার পরিবেশকে আরও উন্নত করে। উদাহরণস্বরূপ, ছাত্ররা কোনো বিষয়ে সমস্যার সম্মুখীন হলে তারা সরাসরি শিক্ষককে যোগাযোগ করে সাহায্য পেতে পারে।
বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি: একটি সুশৃঙ্খল এবং পেশাদার ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি বাড়ায়। যেমন, যদি একটি স্কুলের ওয়েবসাইটে সফল শিক্ষার্থীদের সাফল্যের গল্প এবং প্রতিষ্ঠানটির অর্জনের কথা বলা হয়, তাহলে তা নতুন শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে।
আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মিটিং বা কোন ইভেন্টের জন্য জনে জনে তাদের কাছে যেতে হত। তারপর মেসেজিং সিস্টেম চালু হয়। এখন ওয়েবসাইট একটি নোটিশ আপডেট করে দিলেই সকল অবিভাবক জেনে গেলো। তাদের সন্তানদের পড়া লেখার, ভর্তির তথ্য, পরীক্ষার রেজাল্ট, সহ যাবতীয় সব কিছু এক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আঞ্জাম দেওয়া সম্ভব।
উদাহরণ স্বরুপ এই মাদ্রাসার ওয়েবসাইট দেখুন।আপনি কারো সাথে যোগাযোগ ছাড়াই মাদ্রাসা সম্পর্কে A to Z জেনে গেলেন মুহূর্তেই।
এবার চলুন সংঘটনের সুবিধাগুলো জানা যাক।
তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সংগঠনগুলোর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা অপরিহার্য।
প্রথমত, তথ্য শেয়ারিং: একটি ওয়েবসাইট মাধ্যমে সংগঠনের উদ্দেশ্য, কার্যক্রম, এবং সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সহজেই শেয়ার করা যায়। এটি সদস্য এবং জনসাধারণের কাছে তথ্য পৌঁছানোর একটি কার্যকর উপায়।
দ্বিতীয়ত, যোগাযোগ বৃদ্ধি: ওয়েবসাইটটি সদস্যদের জন্য যোগাযোগের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। যেমন, একটি ফোরাম বা যোগাযোগের ফর্মের মাধ্যমে সদস্যরা প্রশ্ন করতে বা আলোচনা করতে পারে।
তৃতীয়ত, বিশ্বস্ততা: একটি পেশাদার ওয়েবসাইট সংগঠনের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করে। এটি নতুন সদস্যদের আকৃষ্ট করতে এবং দানকারী বা স্পন্সরের জন্য একটি ভালো ছাপ তৈরি করতে সাহায্য করে।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইভেন্ট, কর্মশালা এবং সভার তথ্য প্রচার করা যায়, যা সদস্যদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে। ডিজিটাল যুগে, একটি ওয়েবসাইট থাকা মানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছানোর সুযোগ। এটি বিশ্বব্যাপী সম্ভাব্য সদস্য এবং সহযোগীদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দেয়।
এই এই সংগঠনের ওয়েবসাইটটি দেখুন তাদের সংগঠন পরিচালনা কত সুন্দর করে সাজানো
কিভাবে আপনার প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের জন্য ওয়েবসাইট বানাবেন?
কওমি কলমের পক্ষ থেকে আমরা আপনাকে স্বল্প মূল্যে একটি পেশাদার ওয়েবসাইট তৈরি করে দিবো।
আমাদের তৈরিকৃত ওয়েবসাইটে যা যা থাকবে।
- মাদ্রাসার পরিচয় ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।
- সকল শিক্ষক ও সদস্যদের তালিকা।
- রেজাল্ট পাবলিশ করার প্রক্রিয়া
- যে কোন নোটিশ ও আপডেট জানানো
- মাদ্রাসার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সংরক্ষণ ও শেয়ার
- অনলাইনে ভর্তির সু-ব্যবস্থা।
- লাইফ টাইম সাপোর্ট
টেকনোলজির যোগে আপনাকে এই সব বিষয় গুলো টেলিগ্রাম গ্রুপে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। ওয়েবসাইটে সব কিছু আপনার অধিনে থাকবে৷
আমরা আপনাদেরকে ব্লগারে সাইট বানিয়ে দিবো।
এতে আপনার হোস্টিং ও ডোমেন খরচরের কোন টেনশন নাই।
আমাদের তৈরিকৃত ওয়েবসাইটের ডেমু দেখুন 🔻
কেন আপনার প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল করবেন ❓
বর্তমান বিশ্বে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট ও ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থাকা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরতে প্রতিষ্ঠানের একটা ভালো ওয়েবসাইটের বিকল্প নেই। অনেক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইট না থাকায় নিজেদেরকে সেইভাবে তুলে ধরতে পারে না।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় প্রয়োজন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব সহজেই ম্যানেজ করা সম্ভব। যা প্রতিষ্ঠানের সুচারু ব্যবস্থাপনা, উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান থাকবে হাতের মুঠোয়। সুতরাং প্রযুক্তির এই অগ্রয়াত্রায় আপনার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান আধুনিকায়নে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই।
আপনার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল করতে এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠান ম্যানেজ করতে আমরা দিচ্ছি অনলাইন ভিত্তিক স্কুল ম্যানেজমেন্টের পরিপূর্ণ সলিউশন।
প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা, রেজাল্ট, হাজিরা, বেতন, হিসাব সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় সকল ফিচার পাচ্ছেন আমাদের কাছে।
ওয়েবসাইট বানাতে খরচ কেমন পড়বে?
আমরান একদম কম খরচে ওয়েবসাইট বানিয়ে দিচ্ছি। যার মাধ্যমে উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলো ম্যানেজ করতে পারবেন।
এই সাইট গুলো বানাতে পারবেন।
এর জন্য আপনার খরচ পড়বে ৫৫০৳
এখন Url এড্রেস থাকবে Name.blogspot.com
আর যদি শুধু Name.com করতে চান তাহলে ডোমেইন খরচ সহ ১৬০০ টাকা লাগবে।
এবং বাৎসরিক ১৫০০৳ ডোমেইন ফি দিতে হবে।
ওয়েবসাইট বানাতে কি কি প্রয়োজন পড়বে। তা পরবর্তীতে বলে দেওয়া হবে।
আরো বিস্তারিত জানতে আমাকে মেসেজ দিন।