“যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করেন। তিনি তাকে এমন স্থান থেকে রিজিক দেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারে না। তাওয়াক্কুল কর আল্লাহর উপর, কারণ তিনিই সবকিছুর চূড়ান্ত ব্যবস্থা করেন।”
“দুনিয়া হলো মুমিনের জন্য পরীক্ষার স্থান এবং কাফেরদের জন্য আরামের জায়গা। আল্লাহ তা'আলা পরীক্ষা করেন তার বান্দাদের ধৈর্যশীলতা যাচাই করতে। তাই প্রতিটি বিপদে ধৈর্য ধারণ করো এবং মনে রেখো, বিপদের পরেই আল্লাহর রহমত আসে।”
“জীবন ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। তাই দুনিয়াকে নয়, আখিরাতকে লক্ষ্য করো। আল্লাহ বলেন, 'যে কেউ আখিরাতের কল্যাণ কামনা করে, আমি তাকে এর পুরস্কার দান করব এবং আমি সৎকর্মশীলদের প্রচেষ্টা বিফল করি না।' (সূরা আল-ইসরা: ১৯)”
“নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রিয় বান্দা সেই ব্যক্তি, যে তাওবার মাধ্যমে নিজের ভুলত্রুটি শুধরে নেয়। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, 'প্রতিটি মানুষই ভুল করে, তবে উত্তম হলো সে ব্যক্তি, যে ভুল করার পর তাওবা করে।' (তিরমিজি, হাদিস: ২৪৯৯)”
“তোমার রব বলেছেন, 'আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।' (সূরা আল-মু'মিন: ৬০) আল্লাহর সাহায্য চাও নামাজের মাধ্যমে এবং প্রতিটি কাজের শুরুতেই তাকে স্মরণ করো। কারণ, আল্লাহ ছাড়া কারো সাহায্য স্থায়ী হয় না।”
“সুন্দর চরিত্র ও উত্তম আচরণ ঈমানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যার চরিত্র সবচেয়ে উত্তম।’ তাই তোমার প্রতিটি কাজে এবং কথা বলার সময়ে উত্তম আচরণ বজায় রাখার চেষ্টা করো।”
“তুমি যদি আল্লাহকে খুশি করতে পারো, তবে তিনি সারা বিশ্বকে তোমার জন্য সহজ করে দেবেন। তিনি বলেছেন, 'যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করেন এবং তাকে অপ্রত্যাশিত স্থান থেকে রিজিক দান করেন।' (সূরা আত-তালাক: ২-৩)”
“পৃথিবীর প্রতিটি সুখ সাময়িক, কিন্তু আখিরাতের প্রতিদান চিরস্থায়ী। আল্লাহ বলেছেন, 'যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনকে কামনা করে, আমি তাকে তা দিই। কিন্তু আখিরাতে তার জন্য কোনো অংশ থাকবে না।' (সূরা আশ-শূরা: ২০) দুনিয়ার নয়, আখিরাতের জন্য কাজ করো।”
“আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে উত্তম মুসলিম সেই ব্যক্তি, যার হাত ও জিহ্বা থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।’ তাই নিজের কথা ও কাজের মাধ্যমে কখনো কাউকে কষ্ট দিও না। মনে রেখো, আল্লাহর প্রিয় বান্দারা অন্যের জন্য কল্যাণকামী হয়।”
“জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর দিকনির্দেশনা অনুসরণ করাই হলো প্রকৃত সাফল্য। আল্লাহ বলেছেন, 'যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, তার জন্য সংকীর্ণ জীবন নির্ধারিত।' (সূরা ত্বহা: ১২৪) তাই আল্লাহর স্মরণকে কখনো ভুলে যেও না।”
“নিশ্চয়ই যারা ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাদের জন্য সীমাহীন পুরস্কার রাখেন। আল্লাহ বলেন, 'আমি ধৈর্যশীলদের পুরস্কার তাদের কাজের তুলনায় অনেক বেশি দেব।' (সূরা যুমার: ১০)”
“যে ব্যক্তি মানুষকে ক্ষমা করে, আল্লাহ তার জন্য রহমতের দ্বার খুলে দেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ক্ষমা করো, আল্লাহ তোমাকে সম্মানিত করবেন।’ ক্ষমাশীল হওয়া মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।”
“নবী (সা.) বলেছেন, ‘সদকা কখনো সম্পদ কমায় না। বরং এটি তোমার সম্পদকে বৃদ্ধি করে এবং তোমার পাপকে মুছে দেয়।’ তাই প্রতিদিন অন্তত কিছু না কিছু সদকা করার অভ্যাস গড়ে তুলো।”
“জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণ করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।’ তাই জ্ঞানার্জনের প্রতি সদা মনোযোগী হও।”
“আল্লাহর স্মরণ ছাড়া অন্তর শান্তি পায় না। তিনি বলেছেন, 'যে ব্যক্তি আমার স্মরণে মগ্ন থাকে, তার জন্যই রয়েছে শান্তি।' (সূরা রা’দ: ২৮) তাই প্রতিদিন আল্লাহর জিকির করো।”
“প্রত্যেকটি কাজে নিয়ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কাজের ফল নির্ভর করে নিয়তের উপর। প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করে, সে তারই প্রতিদান পাবে।’ তাই প্রতিটি কাজের শুরুতে শুদ্ধ নিয়ত করো।”
“তোমার রব বলেছেন, 'তোমরা দোয়া করো, আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব।' (সূরা গাফির: ৬০) তাই প্রতিদিন আল্লাহর কাছে দোয়া করো, কারণ দোয়া হলো মুমিনের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র।”
“দুনিয়ার জীবনে যত কিছুই অর্জন করো না কেন, আখিরাতের জন্য কোনো প্রস্তুতি না থাকলে তা বৃথা। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি, যে নিজের মৃত্যুর প্রস্তুতি গ্রহণ করে।’”
“আল্লাহ বলেছেন, 'যে আমার পথে একটি পা বাড়ায়, আমি তার দিকে দুই পা এগিয়ে যাই।' (হাদিস কুদসি) তাই আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ থাকো এবং তার নৈকট্য লাভের জন্য চেষ্টা করো।”
“নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার পরিবারের জন্য উত্তম।’ তাই পরিবারের সঙ্গে সদাচরণ করো এবং তাদের প্রয়োজনগুলো গুরুত্ব দিয়ে পূরণ করো।”
“আল্লাহর পথে খরচ করো, কারণ আল্লাহ বলেন, 'যে ব্যক্তি আমার পথে খরচ করে, আমি তাকে আরও বেশি দান করি।' (সূরা বাকারা: ২৬১) সৎকর্মে ব্যয় করলে তা কখনো কমে না, বরং বাড়ে।”
“প্রত্যেক দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সেরা পন্থা। নবী (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো জান্নাতের চাবি।’ তাই প্রতিদিন নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করো।”
“আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের জন্য যে দোয়া করে, আল্লাহ সেই দোয়া তার জন্যও কবুল করেন।’ তাই সবসময় অন্যের কল্যাণের জন্য দোয়া করো।”
“নবী (সা.) বলেছেন, ‘হাসি হলো সাদকার একটি অংশ।’ তাই মানুষের সঙ্গে সদা হাসিমুখে থাকো এবং তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করো।”
“পৃথিবীর কোনো বিষয়ই চিরস্থায়ী নয়। দুঃখ কিংবা সুখ—সবই ক্ষণস্থায়ী। আল্লাহ বলেছেন, 'আমি তোমাদের ভালো-মন্দ দিয়ে পরীক্ষা করি।' (সূরা আম্বিয়া: ৩৫) তাই প্রতিটি অবস্থায় ধৈর্য ধারণ করো।”
“নিশ্চয়ই দানশীলতা মানুষের হৃদয়কে আলোকিত করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দান করা আল্লাহর রহমত ডেকে আনে।’ তাই প্রতিদিন অন্তত কিছু না কিছু দান করার অভ্যাস গড়ে তোল।”
“আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের জন্য যা চায়, তা তার ভাইয়ের জন্যও চায়, সে সত্যিকারের মুমিন।’ তাই সবসময় অন্যের মঙ্গলের জন্যও চেষ্টা করো এবং কল্যাণকামী হও।”
“আল্লাহর পথে সবকিছু সহজ হয়ে যায়। তিনি বলেছেন, 'যে আমার উপর ভরসা করে, আমি তার জন্য যথেষ্ট।' (সূরা তালাক: ৩) আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ ভরসা রাখো এবং তার সাহায্য চাও।”
“মহান আল্লাহ বলেন, 'ধৈর্যশীলদের জন্য জান্নাতে বিশেষ পুরস্কার অপেক্ষা করছে।' (সূরা বাকারা: ১৫৩) তাই জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জে ধৈর্য ধারণ করো এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকো।”
“তোমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য প্রস্তুতির জায়গা। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সেই বুদ্ধিমান, যে মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য কাজ করে।’ তাই দুনিয়াকে নয়, আখিরাতকে প্রাধান্য দাও।”
Post a Comment