বাইতুল মাকদিস বা জেরুসালেম হচ্ছে ফিলিস্তীনের একটি অংশ, আর ফিলিস্তীনও স্বতন্ত্র ভূখণ্ড নয়, প্রাচীন ইতিহাসে যে বৃহৎ আয়তনের ভূখ-কে বলা হতো শাম, তারই একটি অংশ ফিলিস্তীন। অর্থাৎ পুরো শাম হচ্ছে একক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী একটি বৃহৎ ভূখণ্ড, ফিলিস্তীন হচ্ছে তার একটি অংশ, আর বাইতুল মাকদিস হচ্ছে ফিলিস্তীনের অংশ। ইতিহাসের বহু শতাব্দী ব্যাপী দীর্ঘ সময়কালে শামের অখ- অবয়ব বিদ্যমান ছিলো এমনকি এই নিকট অতীত পর্যন্ত, আরো সুনির্দিষ্টভাবে বললে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অভিশাপ নেমে আসার আগ পর্যন্ত।
চারহাজার বছরের সুদীর্ঘ সময়কালে ফিলিস্তীনের ভূখণ্ডে মানুষের হাতে মানুষের যত রক্ত ঝরেছে পৃথিবীর আর কোন ভূখণ্ডে তেমন ঘটেনি।
ফিলিস্তীনের ভূখণ্ড, বিশেষ করে বাইতুল মাকদিস বা জেরুসালেম ইহুদী, খৃস্টান, মুসলিম, এই তিন সম্প্রদায়েরই নিকট অত্যন্ত পবিত্র বলে গণ্য। সুতরাং তিনটি পক্ষই চায় রক্ত ও যুদ্ধের বিনিময়ে হলেও এর অধিকার ও নিয়ন্ত্রণ পেতে এবং তা রক্ষা করতে।
আল আকসা |
এখানে আমরা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তিনপক্ষর দাবী-প্রমাণ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্তে আসতে চাই, কাদের দাবী সঠিক; প্রকৃতপক্ষে কারা এই ভূখণ্ডের ভূমিপুত্র; আইন ও যুক্তির সমর্থনে অধিকার নিয়ে কারা বলতে পারে, ফিলিস্তীন আমাদের?!
ইহুদী ও খৃস্টান উভয় সম্প্রদায় প্রথমেই যেখানে একটা মৌলিক হোঁচট খায় তা এই যে, যে আসমানি ধর্মগ্রন্থের সুবাদে তারা ‘আহলে কিতাব’ সেটা তাদের হাতে নেই। যা আছে সেগুলো আর যাই হোক ধর্মগ্রন্থ নয়, বড় জোর ধর্মীয় গ্রন্থ। সুতরাং তাদের কাছে আসমানী কিতাবের সমর্থন নেই। উভয় সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় দুর্বলতা এই যে, তাদের দাবী বা অধিকারের ভিত্তি হলো স্মৃতিমূলক, যেমন মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে, বাইতুল মাকদিস ও মসজিদুল আকছা হচ্ছে নবীর মিরাজের স্মৃতিধন্য স্থান।
আবেগের দিক থেকে এর মূল্য অবশ্যই আছে, কিন্তু তা ঐশী পবিত্রতার ভিত্তি হতে পারে না। তাছাড়া হযরত ইবরাহীম আ, ও হযরত ঈসা আ.-এর স্মৃতি যদি তাদের সম্পদ হয়, তাহলে আরো জোরালোভাবেই তা আমাদেরও সম্পদ। কিন্তু ইসলামের নবীর ক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা তা বলতে পারে না। আমি সবপক্ষের উদ্দেশ্যে নিরপেক্ষতার সঙ্গে কথা বলছি, সুতরাং সবপক্ষের কর্তব্য ধর্মীয় উন্মাদনার ঊর্ধ্বে উঠে যুক্তির ভাষা অনুধাবনের চেষ্টা করা।
তো বলছিলাম দাবী ও অধিকারের সপক্ষে আসামানি কিতাবের সমর্থনের কথা। মুসলিম সম্প্রদায়ের দাবী বা অধিকারের মূল ভিত্তিই হচ্ছে আসমানী কিতাব আলকোরআনের সমর্থন। কোরআনে যত বার বাইতুল মাকদিসপ্রসঙ্গ এসেছে, তার চারপাশের স্থানকে বরকতপূর্ণ করার কথা বলা হয়েছে। দশ স্থারে বেশী হবে, এটা এসেছে। তারপর কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে মুসলিম উম্মাহর আকীদা ও বিশ্বাস এই যে, মানবজাতির উদ্ভব, বিকাশ ও বিস্তারের মুলকেন্দ্র হলো মক্কা, তাই তাকে বলা হয় উম্মুল কোরা। পক্ষান্তরে শামের পবিত্র ভূমি হবে পরকালীন বিচারের উদ্দেশ্যে মানবম-লীর সমবেত হওয়ার স্থান। তাই তাকে বলা হয় ‘আরদুল মাহশার’।
তাছাড়া হাদীছের বয়ানমতে আখেরী যামানায় শামের যমীনেই কায়েম হবে ইসলামের খেলাফত। ইমাম আহমদ ও আবুদাউদে বর্ণিত, যখন তুমি দেখবে যে, আরদে মুকাদ্দাসায় খেলাফত ‘নাযিল’ হয়েছে তখন ... আরো বর্ণিত আছে, ‘আমার উম্মতের একটি জামাত সর্বদা হকের উপর অবিচল থাকবে এবং শত্রুদের দমনকারী হবে। তাদের বিরোধিতাকারিরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। এমনকি তাদের এ অবস্থার মধ্যে আল্লাহর ফায়ছালা (কেয়ামত) এসে যাবে। তারা হকের পক্ষে লড়াই করবে দামেস্ক ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলের প্রবশেদ্বারগুলোর সামনে এবং বাইতুল মাকদিস ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলের প্রবেশদ্বারগুলোর সামনে। এমনকি তাদের শেষ অংশটি (মাহদীর অনুগামী হয়ে) দাজ্জালের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।’ আর দাজ্জাল হবে ইহুদীসম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।
আরেক বর্ণনামতে, ‘জিজ্ঞাসা করা হলো, তারা কোথায় অবস্থান করবে? তিনি বলেন, বাইতুল মাকদিসের আশপাশের অঞ্চলে।
মসজিদুল আকছা সম্পর্কে ইসলামের নবী বলেছেন, ‘পৃথিবীতে প্রথম মসজিদ হচ্ছে মাসজিদুল হারাম, দ্বিতীয়টি হচ্ছে আলমাসজিদুল আকছা।’ আরো বলেছেন, ‘মাসজিদুল আকছার নামায অন্য মসজিদের নামায হতে পাঁচশগুণ উত্তম।
শামদেশে হিজরত এবং সেখানে বসবাস করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন ইসলামের নবী তার উম্মতকে, বলেছেন, ‘তোমরা শামকে আপন করে নাও। শামদেশে যাও। কারণ শাম হলো আল্লাহর যমিনের শ্রেষ্ঠ অংশ, তাতে বাস করবে তার বান্দাদের শ্রেষ্ঠ অংশ’। ... আরো বলেছেন, ‘যখন ফেতনা দেখা দেবে তখন ঈমান শামদেশে নিরাপদ হবে।’
***
এবার আমরা আলোচনা করবো নৃতাত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে। পৃথিবীর সভত্যাসমৃদ্ধ অঞ্চল-গুলোর মধ্যে ফিলিস্তীন হচ্ছে প্রাচীনতম অঞ্চলগুলোর একটি। আধুনিক প্রত্নতাত্মিক খনন-আবিষ্কৃয়া থেকে প্রমাণিত যে, ফিলিস্তীন হচ্ছে প্রথম ভূখ- যেখানে মানুষ কৃষিভিত্তিক স্থিতিপূর্ণ জীবনের পথে অগ্রসর হয়েছে। সেটা হচ্ছে খৃস্টপূর্ব নয় হাজার বছর পূর্বের কথা। ফিলিস্তীনের ভূখ-েই গড়ে উঠেছে ইতিহাসের অন্যতম প্রাচীন শহর ‘আরীহা’, খৃস্টপূর্ব প্রায় আট হাজার বছর পূর্বে।
সেমিটিক আরবগোষ্ঠী খৃস্টের জন্মের ছয় হাজার বছর পূর্বে ফিলিস্তীনের ভূমিতে স্থায়ী বসতি স্থাপন করেছে। একই ভাবে কানানী আরবগোষ্ঠী সেখানে বসতি গড়ে তুলেছে খৃস্টপূর্ব তিনহাজার সালে। ফলে আরদে কান‘আন বা কানানভূমি নামে তা পরিচিতি লাভ করেছে।
এরপর ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে বিভিন্ন জাতি ও জনগোষ্ঠীর দখলে ছিলো এ ভূখ-। সেখানে হয় তারা বসত গড়েছে, নতুবা নিজেদের সা¤্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এর মধ্যে বনী ইসরাইল তা দখলে নিয়েছিলো খৃস্টপূর্ব ১২২০ সালে; ব্যাবিলনীয়গণ খৃস্টপূর্ব ৫৮৬ সালে। সবার শেষে আরবমুসলিমগণ পনের হিজরীতে (৬৩৬ খৃ.)
ফিলিস্তীনী ভূখ-ের উপর ইহুদিদের ঐতিহাসিক দাবীর ভিত্তি কী? আপন ভূমির উপর আরবমুসলিমদের দাবীর সামনে তাদের দাবী ইতিহাসের বিচারেও একেবারে মূল্যহীন। ফিলিস্তীনের ভূমিপুত্ররা এ ভূখ-কে আবাদ করেছে ইহুদিদের রাজ্য ও বসত প্রতিষ্ঠারও একহাজার পাঁচশ বছর আগে। তখন থেকে আজ পর্যন্ত তাদের বসত ছিলো নিরবচ্ছিন্ন। পক্ষান্তরে ইহুদীরা তাদের দখল প্রতিষ্ঠা করেছিলো ফিলিস্তীনের কিছু অংশে, পুরো অংশে নয়। আর তা স্থায়ী হয়েছিলো মাত্র চারশ বছর (খৃস্টপূর্ব ১০০০ Ñ ৫৮৬) তারপর তাদের রাজত্ব বিলুপ্ত হয়েছে যেমন বিলুপ্ত হয়েছে অন্যান্য জাতির দখলদারি ও রাজত্ব। সুতরং তারাও ফিলিস্তীনের জন্য অন্যান্য জাতির মত হয়ে পড়েছে অতীত এবং ইতিহাসের পাঠ্য।
পক্ষান্তরে ফিলিস্তীনের আরবজনগোষ্ঠী শেকড়শুদ্ধ টিকেছিলো তাদের পিতৃ-ভূমিতে। তারপর যখন ইসলাম এলো, ইসলামকে তার স্বাগত জানালো এবং ঈমান, বিশ্বাস ও ধর্মরূপে এমন আপন করে নিলো যে, না ধর্মকে তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব, আর না তাদেরকে ধর্ম থেকে।
তাছাড়া ইহুদীরা ফিলিস্তীন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলো দীর্ঘ একহাজার আটশ বছর (১৩৫ খৃস্টাব্দ থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত)। এ সময় ফিলিস্তীনের সঙ্গে তাদের কার্যত কোন সম্পর্কই ছিলো না, না শাসনের দিক থেকে, না সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক থেকে, না কোন প্রকার ভূমিকা ও অবদানের দিক থেকে। তো এত দীর্ঘ সময়ের এত গভীর সর্বমুখী বিচ্ছন্নতার পর অতীতের পর্দা থেকে উঁকি দিয়ে বলতে চাওয়া, ‘ফিলিস্তীন আমাদের’, নাহ!
পক্ষান্তরে জীবন, সভ্যতা ও সংস্কৃতি এবং ভূমিকা ও অবদানের কথা যদি নাও বলি, যদি শুধু শাসনক্ষমতার কথা বলি তাহলে ফিলিস্তীনের ভূমিতে ইসলামের শাসন ছিলো দীর্ঘতম সময় ধরে। অর্থাৎ ৬৩৬ থেকে ১৯১৭ পর্যন্ত প্রায় বারশ বছর (শুধু ক্রুশেড আগ্রাসনের নব্বই বছর বাদ দিয়ে)।
কথা আরো আছে; তাদের ধর্মীয় বিধানমতেই ফিলিস্তীনের ভূমিতে ফিরে আসা তাদের জন্য নিষিদ্ধ ছিলো।
আরো একটা বড় কথা, স্বয়ং ইহুদী গবেষকদের গবেষণা-মতে সমকালীন ইহুদী জনগোষ্ঠীর আশিভাগই ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তীনের ভূমির সঙ্গে কোনভাবেই সম্পৃক্ত নয়, তদ্রƒপ বংশ ও রক্তসম্পর্কেও তারা বনী ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত নয়। আজকের ইহুদীদের সিংহভাগই উত্তর ককেশাসে বসবাসকারী প্রাচীন তাতারী তুর্কী জনগোষ্ঠী থেকে আগত, যারা অষ্টম খৃস্টাব্দে ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করেছে। সুতরাং যদি কোন ভূখ-ে আজকের ইহুদীদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার থাকে তাহলে সেটা হতে পারে ফিলিস্তীন নয়, দক্ষিণ রাশিয়া।
যদি বলে ফিলিস্তীন হচ্ছে তাদের প্রতিশ্রুত ভূমি তাহলে প্রশ্ন হবে, বনী ইসরাইলের সিংহভাগ মানুষ তো হযরত মূসা আ. এর সঙ্গে আরদে মুকাদ্দাসা অভিযানের অংশ হতে অস্বীকার করেছিলো! কোরআনের ভাষায় তো তাদের মুখে এমন আস্পর্ধাপূর্ণ বক্তব্য এসেছে, ‘যাও তুমি এবং তোমার রব, আর লাড়াই করো। আমরা তো এই এখানে বসলাম।’
ক্ষোভে হতাশায় আল্লাহর নবী হযরত মূসা আ. বলতে বাধ্য হয়েছেন, আয় রব্ব, আমি অধিকার রাখি শুধু আমার এবং আমার ভাইয়ের উপর, সুতরাং আপনি আমার ও পাপাচারী কাউমের মধ্যে পৃথকীয়-রেখা টেনে দিন।
এমনকি ইরানী সম্রাট কোরশ্ যখন তাদের প্রস্তাব দিলেন ব্যাবিলন থেকে আরদে মোকাদ্দাসে গমনের তখন তারা পরিষ্কারভাষায় তা প্রত্যাখ্যান করেছিলো।
ইহুদিদের সর্বশেষ যুক্তি হলো উত্তরাধিকার। জেরুসালেম তাদের জাতীয় ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এটি তাদের নবীদের সমাধিস্থল। কিং ডেভিড (হযরত দাউদ আ.) এর সা¤্রাজ্যের রাজধানী ছিলো এই জেরুসালেম, আর তারা হলো আবরাহাম থেকে নিয়ে বনী ইসরাইলের সকল নবীর উত্তরাধিকারী।
প্রথম কথা হলো সর্বশেষ আসমানি কিতাব আলকোরআন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছে, ইবরাহীম ইহুদি বা খৃস্টান ছিলেন না, বরং তিনি তাওহীদের অনুসারী মুসলিম ছিলেন। সুতরাং মুসলিমগণই হবে তাঁর উত্তরাধিকারী, ইহুদী বা খৃস্টানরা নয়। মুসলিমদের আসমানী কিতাব যা প্রমাণ করছে তা খ-ন করতে হলে সমস্তরের প্রমাণ পেশ করতে হবে যে, তিনি ইহুদি, বা খৃস্টান ছিলেন।
তাছাড়া তারা তো নবীদের জীবদ্দশায় তাঁদের শুধু কষ্টই দিয়েছে অবাধ্যতা দ্বারা, বিদ্রোহ দ্বারা, বিদ্রুপ ও উপহাস দ্বারা। কোন নবীর তো চরিত্রে কলঙ্ক লেপনের মত জঘন্য আপরাধও তাদের ‘আমলনামায়’ রয়েছে। এমনকি বহু নবীর রক্তের দায়ও রয়েছে তাদের উপর। সুতরাং উত্তরাধিকার নবীর তারা কিছুতেই দাবী করতে পারে না।
তাদের একটি দাবী হলো, ইহুদিদের ফার্স্ট টেম্পল ছিলো ঠিক ঐ স্থানে যেখানে বর্তমানে মসজিদুল আকছা অবস্থিত। আর ফার্স্ট টেম্পল নির্মাণ করেছিলেন রাজা সলোমন (সোলায়মান আ)। দ্বিতীয় টেম্পল ধ্বংস হয়ে গেলেও একটি দেয়াল এখনো অবশিষ্ট রয়েছে, যেটাকে তারা বলে ক্রন্দন প্রাচীর। তো তারা চায়, মসজিদুল আকছা যে কোনভাবে ধ্বসিয়ে তার স্থলে টেম্পল বা হায়কালে সোলায়মানি নির্মাণ করতে।
প্রথম কথা হলো, সোলায়মান আ. সম্পর্কে তারা শিরক ও মূর্তিপূজার যে অপবাদ আরোপ করেছে তারপর তার উত্তরাধিকার দাবী করা লজ্জাজনক বইকি। তাছাড়া এ দাবীর স্বপক্ষে ঐতিহাসিক কোন তথ্য তাদের হাতে নেই। প্রমাণহীন দাবী কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দ্বিতীয় কথা হলো তাদের হায়কালে সোলায়মানি মুসলিম আমলে মুসলিমদের দ্বারা তো ধ্বংস হয়নি। সুতরাং মুসলিমদের ইবাদতখানায় ‘হাত দেয়া হবে কেন?
আমাদের শেষ কথা, আমরা জানি, যুক্তির দ্বারা কিছু হয় না, যা হয় শক্তি দ্বারা হয়। আর মুসলিম উম্মাহ এখন শক্তিহীন। তবে সময় পরিবর্তনশীল। আমরা অপেক্ষা করবো সেই সময়ের জন্য, যা আমাদের নবী ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছে। তখন ইনশাআল্লাহ দেখা হবে। এর আগ পর্যন্ত আমাদের শুধু প্রস্তুতি গ্রহণের পালা। তবে আমাদের প্রতিশ্রুতি এই যে, আগেও আমরা অত্যাচারী ছিলাম না, ভবিষ্যতেও আমরা কোন প্রকার অত্যাচার করবো না। *
আদিব হুজুর হাফিজাহুল্লাহ
إرسال تعليق