نحمده ونصلي على رسوله الكريم اما بعد: فأعوذ بالله من الشيطان الرجيم. بسم الله الرحمن الرحيم..''كنتم خير امة اخرجت للناس تأمرون بالمعروف وتنهون عن المنكر
وقال النبي صلي الله عليه وسلم: الدال على الخير
كفاعله
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা এই উম্মতকে দুইটি দায়িত্ব দিয়েছেন.
( ১) تأمرون بالمعروف (সৎ কাজের আর্দেশ করা।)
(২) نهي عن المنكر (অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকা।)
শ্রেষ্ঠ উম্মত হওয়ার কথা তারাই বুঝতে পারবেন, যারা দ্বীনের জন্য কষ্ট করেছেন ।
সাহাবায়ে কেরাম এমনি এমনি আল্লাহ তায়ালা এবং রাসুল (সাঃ)কে সন্তুষ্টি করতে পারে নাই। বরং অনেক কষ্ট মুজাহাদা করেই সন্তুষ্টি করেছেন।
তার একটি দৃষ্টান্ত হল.....
ইসলামের প্রথম যুগে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) উপর যখন অত্যাচারীরা অত্যাচার চলাচ্ছিল। مطاف এর উপর সুশান্ত সিং তখন কাফের মুনাফিক রাসূল (সাঃ)কে রেখে, হযরত আবু বকর (রাঃ)উপর অত্যাচার শুরু করল। এক পর্যায়ে কাঠের জুতা দিয়ে তার মাথা আঘাত করতে লাগল।
তিনি বনু তামিম গোত্রের লোক ছিলেন। সে বলল আবু বকর ইসলাম গ্রহণ করছে ঠিক, কিন্তু সে তো আমার গোত্রের লোক।
সুতরাং তাকে মারলে আমরা তোমাদের সাথে প্রতিশোধ গ্রহণ করব। তখন তারা হযরত আবু বকর (রাঃ)কে ছেড়ে চলে গেল। তারা তাকে বাড়িতে নিয়ে গেল, এবং জ্ঞান ফেরার অপেক্ষায় রইল। একদিন পর জ্ঞান ফিরলো।
তারা তাকে জিজ্ঞাসা করল, কি অবস্থা? সে জাগ্রত হয়ে বলল, মুহাম্মদ (সাঃ) কি অবস্থায় আছেন। এই কথা শুনে, তারা (গোত্রের লোকেরা) চলে গেল। তার মা, দুধ নিয়ে আসলো। তিনি বললেন মুহাম্মদ (সাঃ)এর কি অবস্থা? তার মা বলল. আগে দুধ খাও, তার পরে মুহাম্মাদের অবস্হা জানবে? তিনি বললেন মুহাম্মদ (সাঃ)এর অবস্থা জানার আগ পর্যন্ত, আমি কিছু খাবো না।
তার মা উম্মে জামিল ওমর (রাঃ)এর মেয়ের কাছে গেলেন। এবং বললেন মুহাম্মদ (সাঃ) এর কি অবস্থা? তিনি বললেন আমি জানিনা। তার মা বলল মুহাম্মদ (সাঃ)এর অবস্থা জানার আগ পর্যন্ত আবূ ৰকৱ( র)কিছুই খাবেন না। তখন উম্মে জামিল আবু বকর (রাঃ) ঘরে গিয়ে তার কানে কানে বললেন যে, মুহাম্মদ (সাঃ) ভালোই আছেন। তখন তিনি দুধ পান করলেন। এমনি এমনি উত্তম উম্মত হননি!
আল্লাহু আকবার!
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করেন। এবং সাহাবীদের মতো জীবন গড়ার তৌফিক দান করুন। আমিন
إرسال تعليق