ইজরায়েলী পণ্য বর্জন করা সময়ের দাবী, কেন বর্জন করবেন ইজরায়েলী পণ্য? বিস্তারিত এখনি পড়ুন!

ইসলাম প্রিয় ভাই ও বোনেদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, আল্লাহর দেয়া নেয়ামত চক্ষু ব্যবহার করে পোস্টটি পড়ার জন্য....
ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে 

আমাদের প্রিয় হযরত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন" পৃথিবীর সমস্ত মুসলমান একটি অঙ্গের ন্যায়, মানুষের শরীরের কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হলে পুরো শরীরের যেমন ব্যথা অনুভব হয়।
ঠিক তেমনিভাবে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে মুসলমানগণ নির্যাতিত হলে সেই ব্যথা আমাদের ভিতরও অনুভব হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু আজ বড় দুঃখ আর পরিতাপের বিষয় এই যে, আমাদের প্রথম কেবলা বাইতুল মোকাদ্দাস ইসরাইলের ইহুদীরা দখল করে রেখেছে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর দশকের পর দশক জুলুম নির্যাতন চালিয়ে আসছে, এমনকি আমাদের মুসলমান ভাইদের বাসা বাড়ি অসহায় সম্পত্তি দখল করে নিচ্ছে রূপ নিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সব সমস্ত কাফের সম্প্রদায় মুসলমানদেরকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য তারা আজ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইহুদী আর খ্রিস্টান ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়া সত্বেও মুসলমানদের বিরুদ্ধে তারা ঐক্যবদ্ধ। তার বাস্তব চিত্র সম্পর্কে আমরা অবগত।

"অতএব এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলের পণ্য ক্রয় করে, মুসলমান নিধনে তাদের সহযোগিতা করা হারাম।'

এই পরিস্থিতিতে মুসলমানদের উপর জিহাদ ফরজ হয়ে গিয়েছে। যেহেতু আমরা স্বশরীরে জিহাদে অংশগ্রহণ করতে পারছি না, তাই আমাদের ঈমানের দায়িত্ব তাদের পণ্য বর্জনের মাধ্যমে এই জিহাদে অংশগ্রহণ করা। আসুন আমরা তাদের পণ্য বর্জন করে তাদের মূল চালিকা শক্তি অর্থনীতিতে আঘাত হানি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ মুসলমানদের এমন কোন ঘর নেই যে ঘরে ইহুদি খ্রিস্টানদের অন্য সামগ্রী নেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ঈমানী দায়িত্ব ছিল বাজারে ইহুদি নাসারাদের পণ্য ব্যতীত অন্য কোন পণ্য পাওয়া না গেলেও আমরা তাদের পণ্য ক্রয় করব না।

চোখ দুটো বন্ধ করে নিজেকে তাদের স্থানে দাঁড় করিয়ে একটু ভাবুন! আমি এই পরিস্থিতির শিকার হলে কি করতাম। নিজেদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন,
তাদের যে পণ্যগুলো আমরা ব্যবহার করি এগুলো কি আমাদের এতটাই জরুরী? যা না নাহলে আমাদের জীবন চলবে না? আমরা মনে করি আপনারা সচেতন হলে এই পণ্যগুলো মুসলমানদের বাসায় আসবে না। ব্যবসায়ীরা বলছে এর বিকল্প অনেক পণ্য বাজারে রয়েছে যদিও আমাদের কাছে পণ্য গুলোর মান কম মনে হয়।
কিন্তু ফিলিস্তিনের মুসলমানদের এই পরিস্থিতিতে আমরা এখনো যদি তাদের পণ্য বর্জন না করে অর্থ দিয়ে ইসরায়েলকে সহযোগিতা করি। তাহলে আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের জবাব দিতে হবে। কেয়ামতের কঠিন ময়দানে আমরা ছাড় পাব বলে মনে হয় না।

বিশেষ করে মা-বোনদের উদ্দেশ্যে বলবো

যেখানে আমরা আরেক মুসলিম বোনের প্রাণপ্রিয় স্বামী, কলিজার টুকরা সন্তান সহ সবকিছু হারিয়ে তারা আজ নিঃস্ব।

সেখানে যদি আপনি তাদের পণ্য সামগ্রী (যেমন সেরেলাক,  নিডো, নান দুধ, হরলিক্স,মেগি লুডুলস ইত্যাদি) খাবার গুলো খানিয়ে আপনার সন্তানের শরীর স্বাস্থ্য ভালো করার চেষ্টা করেন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে সেই শরীরে মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে দিতে পারেন।এবং যে সকল মা বোনেরা uniliver, Loreal,Garniar,ইত্যাদি কোম্পানির যাবতীয় প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করে আপনার চেহারা সুন্দর করার বা রাখার চেষ্টা করতেছেন, আল্লাহ চাইলে সেই চেহারা ব্রণ দিয়েও নষ্ট করে দিতে পারেন, যা কোন ডাক্তারই ভালো করতে পারবে না।আর পরকালে শাস্তি তো থেকেই গেলো।

তাই আসুন আল্লাহর আজাব কে ভয় করি। ইসরায়েলের সকল পণ্য স্হায়ীভাবে চিরদিনের জন্য বর্জন করে ইজরায়েলের সহযোগিতা করা বন্ধ করি।

আমরা অধিক পরিমাণে ইজরায়েলের যে সকল পণ্য ব্যবহার করি তার মধ্যে শুধুমাত্র ইউনিলিভার কোম্পানির ৪০০ উপরে পণ্য রয়েছে, কোকাকোলা কোম্পানির ৫০০ টি ব্র্যান্ডের প্রায় ৩৫০০ প্রোডাক্ট রয়েছে, নেসলের ২৯ টি ব্র্যান্ডের পণ্য রয়েছে, যা এই ছোট পোস্টিতে সমস্ত পণ্যের নাম উল্লেখ করা সম্ভব নয়।তাই আমরা পণ্য কেনার আগে যাচাই করে নিব।

পরিশেষে ব্যবসায়ী ভাইদের উদেশ্য বলবো,

ফিলিস্তিনের ভাইয়েরাও আপনার আমার মত ব্যবসা বাণিজ্য করে সুখের আশায় ঘর বাড়ি তৈরি করছিলো,যা আজ ইয়াহুদি নাসারারা ধ্বংসালালীয় পরিণত করেছে,আর আপনি আমি সুখের আশায় তাদের পণ্য দিয়ে ব্যবসা করছি।
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়, ফিলিস্তিনের মুসলিম ভাইয়েরা ঘরবাড়ি হারিয়ে পথিকের মতো জীবন যাপন করছে,আমরা যদি তাদের পণ্য দিয়ে ব্যবসা করা ছেড়ে দেই তাহলে এমনটা নয় যে আমরা না খেয়ে মারা যাবো!
তাই আমাদেরও ঈমানী দায়িত্ব, ব্যবসা হোক বা না হোক তাদের পণ্য আমরা বিক্র য়  করবো না।
তাই আসুন আমরাও বিক্রয় করা ছেড়ে দেই।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পণ্য বর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের উচিত ইসলাম বিদ্বেষী সকলের পণ্য বর্জন করা।যেমন রাসুল (সাঃ) এর নবয়তের অস্বীকারকারী কাদিয়নী পণ্য, রাসুল (সাঃ) কে অবমাননাকারী ফ্রান্সের পণ্য এবং সকল ইসলাম বিদ্বেষী কোম্পানীর পণ্য।

পণ্য বয়কট ছোট করে দেখবেন না।বয়কট একটি দেশকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে দেয়। যেমন ২০০৪ সালে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সেই বয়কট তাদের ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে ফেলে ছিল।

আসুন দেশকে ভালোবাসি, দেশীয় পণ্য ক্রয় করি, দেশের টাকা দেশে রাখি।

সব কিছু পড়ে বুঝে শুনেও অনেকেই বলতে পারেন এর বিকল্প পণ্য নেই। সব কিছু বর্জন করা সম্ভব নয়,তাদের উদেশ্য বলবো আগ্নেগিরির আগুনের লাভা আর দাবানল দেখেছেন তো? দেখে থাকলে এর থেকেও ভয়াবহ জাহান্নামের আগুন এর অপেক্ষা করুন।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এই সমস্ত পণ্য বর্জন করার তৌফিক দান করেন, আমিন..

Post a Comment

أحدث أقدم
icon যে কোন প্রয়োজনে টেলিগ্রাম চ্যানেলে মেসেজ দিন