শীতকালে সুস্থ থাকার জন্য যে পরিমাণ পানি পান করতে হবে ( গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ )

Image from pixabay

শীতকালের বাতাস শুষ্ক হওয়ার ফলে দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের হয়ে যায়। শ্বাস প্রশ্বাস এবং ত্বকের বাষ্পীভবনের মাধ্যমে অধিক পানি বের হয়ে যায় বলে ঘাটতি পূরণের জন্য বাড়তি পানি পানের প্রয়োজন রয়েছে।

“শীতের মাসগুলোতে শরীর থেকে পানি ক্ষয়ের মাত্রা বাড়তে পারে। এই সময় বাইরে সাধারণের তুলনায় ঘরের ভেতর উষ্ণ এবং শুষ্ক থাকে। তাই তরলের চাহিদা বৃদ্ধি পায়”- ইটদিসনটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করেন ইয়ং।

পানি যোগে চমকপ্রদ চিকিৎসাঃ 

একটা নিয়ম পালন করলে আমরা কিছু রোগ হতে একবারে মুক্তি না পেলেও ৭৫% মুক্তি পেতে পারি। এটি অত্যান্ত কার্যকরী একটি থেরাপি, যা আমি নিজেও দীর্ঘ দিন থেকে করে আসছি, অনেক কে এ পরামর্শ দিচ্ছি ওনারাও সুফল পাচ্ছেন।

খাবার ২০/৩০মিনিট আগে ও খাবারের ১৫/২০ মিনিট পরে পানি পান করলে আপনি সহজে (ABCD) চারটি রোগ হতে নিরাপদ থাকতে পারবেন। 

A= এসিডিট গ্যাসের সমস্যা হতে। 

B= ব্লাড পেশার হতে। 

C= ক্যানসার হতে। 

D= ডায়বেটিস হতে। 

সকালে হাঁটাহাঁটি করুন, এতে শরীরের প্রচুর উপকার। সকালের বাতাসে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাবেন,যা রোগ প্রতিরুধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পরিশ্রম করুন, শরীর যাতে ঘামে, এতে আপনার উপকার, কারণ ঘামের সাথে আপনার শরীরের দুষিত রক্ত বাহির হয়ে যাবে। যাহারা অফিসে চেয়ারে বসে কাজ করেন, ওনারা ১ ঘন্টা পর পর কম হলেও ৫ মিনিট হাঁটা হাঁটি করার চেষ্টা করুন। 

গোছলের আগে ২৫০ গ্রাম পানি খাবেন, বহু উপকার, এতে বিশেষ করে স্টোক হবে না। দিনে কম হলেও তিন লিটার পানি পান করুন, বাজাপুড়া ও বাসি খাবার কে না বলুন।

নিয়মিত একই সময় খাবার খাবেন,কাঁচা লবণ খাবেন না, চিনি কম খাবেন, খাবার ভাল করে চিবিয়ে খাবেন। হস্তমৈথুন করে শরীরে রোগ ডেকে ডেকে আনবেন না।

পানির পাঁচ রূপ: অমৃত, শক্তি, ঔষধ, টনিক, বিষ!

অমৃত - সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ৬০০ গ্রাম পানি পান করা দেহের জন্য অমৃতের মতো কাজ করে।

শক্তি - সারাদিন ধরে তিন থেকে সাড়ে লিটার পানি পান করা দেহের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে।

ঔষধ - অসুস্থ অবস্থায় কুসুম গরম পানি পান করা ঔষধ এর মত কাজ করে।

টনিক - খাবার আধাঘন্টা পর পানি পান করা টনিকের মতো কাজ করে।

বিষ - খাবারের সাথে বা খাবার পর পর পানি পান করা বিষের মত কাজ করে। অর্থাৎ দেহে রোগ উৎপাদন করে। বিঃদ্রঃ গলায় ভাত আটকিয়ে গেলে অল্প পানি পান করে নিবেন। নয়তো বিপদ হতে পারে। 🙂

পানি পান করার কিছু নিয়মঃ

দাঁড়িয়ে কখনও পানি পান করবেন না, সারাদিন ধরে অল্প অল্প করে পানি পান করুন। গোসলের আগে এক গ্লাস পানি পান করা উত্তম। তৃষ্ণা লাগা মানেই হলো আপনি ডিহাইড্রেট হয়ে গেছেন। শরীর আপনাকে বিপদ সংকেত দিচ্ছে। শীতের সময় পানির তৃষ্ণা না লাগলেও পানি পান করতে হবে। একসাথে অনেক পানি পান করলে কিডনির উপরে চাপ পড়ে। তাই একসাথে অনেক বেশি পানি পান না করে অল্প অল্প করে পানি পান করতে হবে। 

রাতে ঘুমের আগে পানি পান থেকে বিরত থাকুন।  এই নিয়ম তরুণদের জন্য, কারন রাতে ঘুমের আগে পানি পান করার ফলে রাতের একটা সময় প্রস্রাবের থলি প্রসাবে পূর্ণ হয়ে যায়, এর ফলে তরুণদের স্বপ্নদোষ হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

পানি পান করার দোয়া সমুহ (বাংলা উচ্চারণ) 

🔹পানি পান করার শুরুতে এই দোয়া পড়তে হয়ঃ
بسم اللّه الرَّحْمنِ الرَّحِيْمِ 
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। 

🔸পান করা শেষ হলে এই দোয়া পড়তে হয়।
اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ جَعَلَه عَذْبًا فُرَاطًا بِرَحْمَتِه وَ لَمْ يَجْعَلْه مِلْحًا اُجَاجًا بِذُنُوبِنَا 
উচ্চারণঃ- আল্হামদুলিল্লাহীল্লাজী জা‘আলাহু আ‘জবান ফুরাতান ওয়া লাম ইয়াজআ‘ললাহু মিলহান উজাজা। 

🔹চা, কফি, ঠান্ডা ইত্যাদি পানীয় পান করার সময় পড়তে হয়।
اَللّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْه وزِدْنَا مِنْه 
উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফীহী ওয়াজিদনা মিনহু। 

🔸যমযমের পানি কিবলামূখী হয়ে পান করার সময় এই দোয়া পড়তে হয়। 
اَللهُمِّ اِنّيْ اَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا وَاسِعًا وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ 
উচ্চারণঃ- আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘সআলুকা ই‘লমান নাফি‘আ ওয়া রিজকান ওয়াছি‘আ ওয়া সিফাআম মিন কুল্লি দায়ীন।

আল্লাহ আমাদের সকলকে সর্বপ্রকার রোগ থেকে হেফাজত করুন আমীন।

পরামর্শ দিয়েছেনঃ ডাঃ রোকসানা ইয়াসমিন রোকেয়া

Post a Comment

أحدث أقدم
icon যে কোন প্রয়োজনে টেলিগ্রাম চ্যানেলে মেসেজ দিন