বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষাক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তরে আরবি ভাষা যুক্ত করা হয়েছে, যা ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্বকে আরও বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, চারজন বিখ্যাত লেখকের রচনা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে, এর মধ্যে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের গল্প ও প্রবন্ধ অন্যতম। এই রচনাগুলো বাদ দেওয়ার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাক্রম আরও উপযোগী করা।
এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে, শিক্ষার্থীরা পুরনো শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নবম ও দশম শ্রেণির সমন্বিত বইগুলো পড়বে এবং এসএসসি পরীক্ষাও একই শিক্ষাক্রমের ওপর ভিত্তি করেই হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য পুরনো শিক্ষাক্রমের বইগুলো নতুন করে পরিমার্জন করা হচ্ছে এবং আরও বেশি বই অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এনসিটিবি এই কাজের জন্য ৪১ জন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দিয়েছে, যারা পাঠ্যবই সংস্কারের কাজ তদারকি করছেন।
এই পরিবর্তনগুলোর ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও শিক্ষা কাঠামোতে বড় প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে একদিকে ধর্মীয় শিক্ষার প্রসার ঘটছে, অন্যদিকে বাদ পড়া লেখকদের নির্বাচন নিয়ে বিতর্কও তৈরি হচ্ছে।
إرسال تعليق